Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রেমিকাকে নিয়ে পালানোর সময় পুলিশের হাতে আটক, মুচলেকায় মুক্ত

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ জুন, ২০২২, ১:৩৬ পিএম

প্রেমিকাকে নিয়ে পালানোর পথে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থেকে মিজানুর রহমান রুবেল (২২) নামে একজনকে আটক করে মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ। এ সময় ওই তরুণী ও তার চাচাতো ভাইকেও থানা হেফাজতে নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (৭জুন) সকালে আটককৃতরা মুঠোফেনে জানায়, সোমবার (৬ জুন) বিকাল সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলার কলেজ রোড বাস¯ট্যান্ড থেকে মির্জাগঞ্জ থানার এস আই আবুল কালাম তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায় বলে । পরে পরিবারের লোকজন আসলে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মুচলেকার মাধ্যমে মুক্ত হন তারা।
আটককৃত রুবেল পার্শ^বর্তী বরগুনা জেলার সদর উপজেলার আয়লা গ্রামের বাবুল দফাদারের ছেলে। প্রেমিকা তামান্না ওই গ্রামের সৌদি প্রবাসী কবির দফাদারের মেয়ে ও আয়লা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী এবং ওই তরুণীর চাচাতো ভাই মোঃ ওমর ফারুক।
আটককৃতদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রুবেলের সাথে তামান্নার ৫ বছরের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। পরিবার থেকে মেনে না নেওয়ায় তারা পালিয়ে বিয়ে করার জন্য বরিশাল যাওয়ার উদ্দেশ্যে চান্দাখালি বাস¯ট্যান্ড থেকে গাড়িতে ওঠে। মেয়ের চাচাতো ভাই ওমর ফারুক ঝালকাঠি যাওয়ার উদ্দেশ্যে ওই একই গাড়িতে উঠে তাদেরকে দেখতে পায় এবং তার কাকিকে মুঠোফোনে কল করে জানান। পরে তারা সুবিদখালী বাস¯ট্যান্ডে পৌঁছালে সেখানে নামলে চাচাতো ভাই সাথে তাদের ধস্তাদস্তি হয় এসময় এস আই আবুল কালাম তাদেরকে আটক করে।
তামান্নার মা জানান, আমার মেয়ে তামান্না একটি ছেলের সাথে বরিশাল যাওয়ার সময় আমার ভাতিজা ওমর ফারুক দেখতে পেয়ে আমাকে কল করে জানায়। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি পুলিশ তাদেরকে আটক করে মির্জাগঞ্জ থানায় নিয়ে গেছে। পরে আমরা থানায় চলে আসি এবং রাত সাড়ে ১১ টার দিকে কিছু খরচ দিয়ে মুচলেকার মাধ্যমে তাদেরকে মুক্ত করি।
আটকের বিষয়ে মির্জাগঞ্জ থানার এস আই আবুল কালাম জানান, সুবিদখালী বাস¯ট্যান্ডে তারা (আটককৃতরা) বিশৃঙ্খলা ও ধস্তাধস্তি করার সময় আমরা তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যাই।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, মেয়ের বয়স হয়নি ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে। উভয় পক্ষের কোনো অভিযোগ নাই। তাই নারী শিশু আইন অনুযায়ী মুচলেকা রেখে তাদের পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ