Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাগজ আমদানিতে শুল্ক কর কমানোর দাবি

গোলটেবিল বৈঠকে নোয়াব

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ জুন, ২০২২, ১২:০৫ এএম

শিল্প হিসেবে সংবাদপত্রের স্বীকৃতি রয়েছে। কিন্তু কোনো সুযোগ-সুবিধা পায় না সংবাদপত্র শিল্প। কাগজ এই শিল্পের মৌলিক কাঁচামাল। কাগজ আমদানির ওপর পাঁচ শতাংশ ডিউটি দিতে হয়। পাশাপাশি ১৫ শতাংশ ভ্যাট। আর এআইটি ও অন্যান্য চার্জসহ প্রায় ২৭ শতাংশ দিয়ে আমদানি করতে হয়। মহামারি করোনা এবং চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কাগজের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। প্রতি টনের দাম পড়ছে ১ হাজার ডলার। যা এ শিল্পকে সঙ্কটের মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। তাই আগামী বাজেটে সংবাদপত্রের কাঁচামাল কাগজ আমদানিতে শুল্ক কর কমানোর দাবি করেছেন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- নোয়াব। একই সঙ্গে সংবাদপত্রের করপোরেট কর হার ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণের কথা বলেছেন।
আসন্ন বাজেটকে সামনে রেখে গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে ‘আসন্ন বাজেট এবং বাংলাদেশের সংবাদপত্র শিল্পের সমস্যা ও সঙ্কট’ ইস্যুতে গোলটেবিল বৈঠকে এমন দাবি করেন নিউজ পেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (নোয়াব) নেতৃবৃন্দ। বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় ছিল দুটি। একটি হলো নিউজ পেপার কি রকম আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে আছে। অপরটি নানা ধরণের নতুন নতুন আইন হচ্ছে। যা সংবাদপত্র শিল্পের জন্য প্রতিবন্ধক।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম, এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, নোয়াবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মতিউর রহমান, ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, সংবাদের এডিটর ইন চিফ আলতামাস কবীর, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর আসিফ নজরুল, বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ড্রাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, অর্থনীতিবিদ রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, বিএফইউজের একাংশের সভাপতি এম আবদুল্লাহ, আরেক অংশের সভাপতি ওমর ফারুক।
সূচনা বক্তব্যে নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, শিল্প হিসেবে সংবাদপত্রের স্বীকৃতি রয়েছে। অন্যান্য শিল্পের সমস্যার চেয়ে সংবাদপত্রের সমস্যা ব্যতিক্রম। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল শিল্পে ব্যবহƒত মৌলিক কাঁচামালে শূণ্য শুল্ক আরোপ। এটা করা হলে আমদানি নির্ভরশীলতা কমবে। অন্যান্য দেশের সঙ্গে প্রতিযোগীতায় আমাদের দেশীয় শিল্পের সক্ষমতা বাড়বে। আমদানির ওপর চাপ কমবে। পাশাপাশি রফতানি প্রবৃদ্ধিও হবে। এ বিষয়টি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) বোঝাতে সক্ষম হলেও পরবর্তীতে বাজেটে বাস্তবায়ন হচ্ছে না। তিনি বলেন, সংবাদপত্রকে শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হলেও অন্যান্য শিল্পের মতো সুযোগ আমরা পাচ্ছিনা। আমাদের মৌলিক কাঁচামাল হচ্ছে কাগজ। আমরা আমদানি করি তার ওপর পাঁচ শতাংশ ডিউটি দেই। তারপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট। আর এআইটি ও অন্যান্য চার্জসহ প্রায় ২৭ শতাংশ দিতে হয় আমদানি করতে। এরমধ্যে ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধের কারণে কাগজের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। প্রতি টনে দাম পড়ছে ১ হাজার ডলার। পাশাপাশি কাগজেরও সঙ্কট রয়েছে। আমরা রাশিয়া, কোরিয়ার কাগজ ব্যবহার করি, মালয়েশিয়ার কাগজ ব্যবহার করি। অনেক জায়গায় এলসি করেও আমরা কাগজ পাচ্ছিনা। স্থানীয় শিল্পের কাগজ ব্যবহারের চেষ্টা আমরা করছি, কিন্তু গুণগত মান অত্যন্ত খারাপ হওয়ায় ব্যবহার করা যাচ্ছেনা। এই উভয় সঙ্কটে আমরা দীর্ঘদিন অতিবাহিত করেছি। প্রায় ২০ বছর ধরে আমরা যখনই সরকারের সঙ্গে আলোচনা করি তারা অনুধাবন করেন, কিন্তু বাস্তবায়ন হয় না। একটা কাগজ তৈরিতে খরচ হয় ২৩ টাকা, আমরা ১০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করি, বিশেষ করে বড় পত্রিকাগুলো। ছয়টাকা আমরা রেখে চার টাকা হকারকে ছেড়ে দিতে হয়। নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, বিজ্ঞাপন হচ্ছে আয়ের মূল উৎস। করোনার কারণে এবং করোনা পরবর্তীতে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সারা দুনিয়ায় মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। তারমধ্যে এমনিতেই বিজ্ঞাপন বন্ধ হয়ে গিয়েছে, এরপর বিজ্ঞাপনের উপরেও আবার নয় শতাংশ ট্যাক্স দিতে হয়। এরমধ্যে ৪ শতাংশ টিডিএস, এআইটি ৫ শতাংশ। করপোরেট ট্যাক্স দিতে হচ্ছে ৩০ শতাংশ। তিনি বলেন, এমনিতেই সংবাদপত্র রুগ্ন শিল্প, তারপরও এসব বাধায় আমাদের এগিয়ে যেতে কষ্ট হচ্ছে। সরকারের কাছে বিজ্ঞাপনবাবদ আয় ১০০ কোটি টাকারও বেশি বাকি আছে। দীর্ঘদিন দাবি করে আসলেও তা পাচ্ছি না।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ২০১৬ থেকে শিল্প হিসেবে স্বীকৃত হয়ে থাকলে শিল্পের পণ্য হলো তথ্য এবং মতামত। এর পাবলিক ভ্যালু আছে। সেই বিষয়টি স্বীকৃতির মধ্যে কতটুকু প্রতিফলিত? সত্যিকার অর্থে প্রতিফলিত হয় তাহলে সরকারের সঙ্গে দেন দরবার করার দরকার হয়না। পাবলিকলি সাপোর্টেবল একটা ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার কথা, যেহেতু যে পণ্যটি তৈরি হচ্ছে তার পাবলিক ভ্যালু আছে। অন্য সব বাদ দিলাম জনগণের তথ্য জানার অধিকার, মত প্রকাশের অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার এই বিষয়গুলো যেখানে অত্যন্ত জোরালোভাবে স্বীকৃত সেখানে সংবাদপত্র শিল্পের যে মূল পণ্যটি সেটাকে কেন স্বীকৃতি দেয়া হবে না। সংবাদপত্রের স্বীকৃতির প্রতিফলন কোন পাবলিক ডকুমেন্টসে নেই। বাংলাদেশের পারসপেকটিভ প্ল্যান দেখেন, অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা দেখেন, জাতীয় বাজেট দেখেন, মিডিয়া শব্দটির কোন উপস্থিতি নেই। যেখানে বলা হয়েছে, সেখানে শুধু সচেতনতা সৃষ্টির জন্য উল্লেখ রয়েছে। এর বাইরে পাবলিক গুড হিসেবে ভ্যালুটা নেই। এ কারণে শিল্প হিসেবে দেনদরবার করতে হচ্ছে। অনেক দেশে বাজেটের বরাদ্দ থেকে বিশেষ তহবিল সৃষ্টি করা হয় প্রতিবছর। সকল রাজনৈতিক দলের সম্মতিতে সেটা সরকার করে। স্বাধীন মিডিয়ার বিকাশের জন্য এটা করা হয়, পারফরমেন্সের ওপর ভিত্তি করে স্পেশাল ফান্ড থেকে ব্যবস্থা করা হয়। তিনি বলেন, যারা সত্যিকার অর্থে গণমাধ্যমকে জবরদখল করে ফেলেছে, যারা গণমাধ্যমের নামে যে ধনী গোষ্ঠী যেভাবে তারা গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে তারাই সুবিধা পেয়ে যাবে। গণমাধ্যমের ব্যবসার প্রচলিত কাঠামো সেটা থেকে সরে আসার সময় এসেছে।
নোয়াব’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহফুজ আনাম বলেন, সংবাদপত্রের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ‘র’ ম্যাটেরিয়াল হচ্ছে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা। আপনি নিউজপ্রিন্ট বলেন, কালি, প্রেস বলেন সবই আমি পেলাম, কিন্তু আমি যদি মত প্রকাশের স্বাধীনতা না পাই, তাহলে আমি সেটা সংবাদপত্র বের করব না, আমরা একটা পিআর জার্নাল বের করব। বর্তমানে বেশ আলোচিত একটি উদ্ধৃতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল (বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি) দিয়েছে, সেটা আবার আমি কোড করেছিÑ বাংলাদেশে এখন সাংবাদিকতা হচ্ছে একটি পুকুরে অজস্র কুমির ছেড়ে দিয়ে সেখানে সাতার কাটতে বলা যেমন, বাংলাদেশ সাংবাদিকতা তেমন। তো ওই কুমিরগুলো কী সেটা অনেক বিস্তারিত আলোচনা হলেও যেটি আমি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই তা হল, আমাদের আইন কাঠামো। তিনি বলেন, ‘মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেছে, ২৬টি আইন আছে আমাদের এখানে।’ আমি গভীরভাবে জানি প্রায় দশটা আইনের মত। আমার একটা প্রশ্ন হল, সাংবাদিকতা এবং গণমাধ্যমের ওপর এত আইন কেনো? আমি যদি দেখি, যারা মাদক কারবারি, ভেজাল পণ্য বাজারে ছাড়ে, যারা ব্যবসার নামে অসামাজিক কাজ করেÑ তাদের বিরুদ্ধে কয়টা আইন আছে? আমি হিসেব করে দেখেছি, এত বেশি আইন আর কোনো পেশার বিরুদ্ধে নেই যেটা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আছে, প্রত্যেকটা আইন আমাদের ক্ষমতাকে সীমিত করে। একটা আইনও নেই, যেখানে বলা আছে সাংবাদিকতা বিকশিত করার জন্য এই আইন করলাম। অর্থাৎ সাংবাদিকদের প্রটেকশন। তারা যত্রতত্র অ্যারেস্ট হবে না। তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা হলেই সঙ্গে সঙ্গে তারা অ্যারেস্ট হবে না। কোনো সাংবাদিক বা কোনো সংবাদপত্র, কোনো গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ আসে, এই এই প্রটেকশন তারা পাবে। আমাদের সোর্সের কোনো প্রটেকশন নেই। আমাদের হুউসেলব্লোয়ার আইনÑ যেটা পৃথিবীর সব জায়গায় আছে, আমাদের এখানে নেই। অর্থাৎ সাংবাদিকতা-গণমাধ্যমকে সীমিত করার সহস্য আইন এবং আমাদের সাহায্য করার কোনো আইন নেই। একটা আইন আছে আমাদেরÑ রাইটস টু ইনফরমেশন (আরটিআই)। ওটাকেও কিন্তু আমরা একটা পাশে ফেলে দিয়েছি। এখন আবার আমাদের অফিসিয়াল সিক্রেসি আইন আছে, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন নিয়ে আমরা অজস্র কথা বলেছি। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন যতদিন আছে, ততদিন আপনি সুষ্ঠু সাংবাদিকতা করতে পারবেন না। আমি বিশেষভাবে প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করব, স্যার আপনি একটু আইনগুলো দেখুন। আপনার প্রেস কাউন্সিলের যেসব আইন আছে, ওইটার সঙ্গে যে সাংঘর্ষিক, সেখানে কিন্তু প্রেস কাউন্সিলের সভাপতি হিসেবে একটা অবস্থান নিতে পারেন। যে আইনগুলো আপনাকে জš§ দিয়েছে, আপনার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে, সে নতুন আইনগুলো যদি আপনার কাজে বাঁধা দেয়, তাহলে আপনি সেখানে একটা ভূমিকা রাখতে পারেন। মাহফুজ আনাম বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের ব্যাপারে প্রেস কাউন্সিল থেকে বলিষ্ঠ প্রতিবাদ আসা উচিত। আর এই যে, গণমাধ্যমে কর্মীদের আইন যেটা হচ্ছেÑ আমি মনে করি, এর অনেক কিছু প্রেস কাউন্সিল করতে পারে। একটা পরিসংখ্যান এসেছে, সংবাদপত্র মালিকদের বিরুদ্ধে সংবাদপত্র কর্মীদের পাঁচ-ছয়টার বেশি মামলা হয় না পুরো বছরে। সেখানে জেলা প্রতি একজন বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। মনে হচ্ছে, আপনারা যেন চাচ্ছেন, আরো বেশি মামলা আসুক। আমি মনে করি, আইন কাঠামোর মধ্যে আমাদের আবদ্ধ করা হয়েছে। আরেকটা কথা আমি বলতে চাই, গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে সরকার ভীষণভাবে আমলাদের দ্বারা প্রভাবিত। আমলারা যা বলে দেয়, সরকার ওই দৃষ্টিভঙ্গীতে দেখে। আমলারা কোনো দিন চাইবে না স্বাধীন গণমাধ্যমের বিকাশ। যতগুলো আইন হচ্ছে, প্রত্যেকটা আমলাতান্ত্রিক আরো বেশি আমলাতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণের প্রসারে বেশির ভাগ আইন হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পুলিশকে বেশি ক্ষমতা দিয়েছে সাংবাদিকদের ধরার জন্য।
বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম বলেন, প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবে আমি বেশ কিছুদিন যাবতই বাংলাদেশের বাইরে যাই, পত্রপত্রিকার সাংবাদিক ও মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। একটা জেলা শহরে দেখা যায় অনেক পত্রিকা আছে, কিন্তু সে পত্রিকার কোনোটাই রেগুলার ছাপা হয় না। পত্রিকার মালিক, সম্পাদক, সাংবাদিক যাই বলিÑ তারা ওই পত্রিকার নাম নিয়ে সমাজে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করছে এবং পত্রিকার নাম ভাঙ্গিয়ে অন্যভাবে কিছু ইনকামের চেষ্টা করছে। এটা আপনাদের বন্ধ করা দরকার। এতে আমাদের সংবাদপত্র শিল্পের অনেক উন্নতি ও কল্যাণ হবে। আমরা সঠিক কর্তৃপক্ষের কাছে সমস্যাগুলো যদি সঠিকভাবে প্লেস করতে পারি, তাদের বোঝাতে পারি, বলতে পারি, আমার বিশ্বাস আজ অথবা আগামীকাল আমাদের সংবাদপত্রের সমস্যার সমাধান হবে। বিশেষ করে ট্যাক্সের ব্যাপারে। ট্যাক্সের জাল বিস্তার করতে পারলে রেগুলার ট্যাক্স পেয়ারদের ওপর থেকে চাপ কমে যাবে। আমি মনে করি, ট্যাক্স নিয়ে আলাপ করতে গেলে, সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা দরকার। আমাদের সমস্যাগুলো তাদের বলা দরকার। সরকার জানে, তারপরও নোয়াব ও সংবাদপত্রের নেতারা যদি সঠিক জায়গায় তাদের অসুবিধার কথা প্লেস করে অবশ্যই সমাধান হবে।##



 

Show all comments
  • jack ali ৭ জুন, ২০২২, ১১:৩১ এএম says : 0
    কোরআন দিয়ে দেশ শাসন করলে আমরা সবকিছু নিজেরাই বানাতে পারতাম যারা দেশটাকে শাসন করে তারা আল্লাহর শত্রু এবং দেশের শত্রু
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ