পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের মুদ্রণ, প্রকাশনা ও প্যাকেজিং শিল্পের কাঁচামাল আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের দাবি জানিয়েছে এ খাতের ৬ ব্যবসায়ী সংগঠন। তারা জানান, দেশের মুদ্রণ প্রকাশনা ও প্যাকেজিং শিল্পের প্রধান কাঁচামাল হিসেবে ডুপ্লেক্স বোর্ড, আর্ট পেপার, আর্ট কার্ড, সুইডিস বোর্ড, ফোল্ডিং বক্স বোর্ড এবং সেলফ অ্যাডহেসিভ পেপারের বিপুল চাহিদা থাকলেও এসব পণ্যের আমদানিতে সর্Ÿোচ্চ হারে শুল্ক বিদ্যমান রয়েছে। এর ফলে বন্ড সুবিধায় আমদানিকৃত কাঁচামাল খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এতে অবৈধ্য ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছেন। অন্যদিকে সরকার হারাচ্ছে বড় অঙ্কের রাজস্ব। পাশাপাশি প্রকৃত ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
গতকাল রাজধানীর পল্টন টাওয়ারে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত ছয়টি সংগঠনের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। এতে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ পেপার ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম ভরসা, বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির চেয়ারম্যান শহীদ সেরনিয়াবাত, বাংলাদেশ পেপার মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফজলুর রহমান পর্বত, বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রক ও বিপণন সমিতির সভাপতি তোফায়েল খান, চট্টগ্রাম কাগজ ও সেলোফিন ব্যবসায়ী গ্রæপের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বেলাল এবং মেট্রপলিটান প্রেস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন খান উজ্জ্বল।
ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো বলে, আমরা মনে করি, রপ্তানিকারকদের বন্ড সুবিধা অব্যাহত রেখে বাণিজ্যিকভাবে ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে উপরোল্লিখিত বিদেশি কাগজ আমদানি করার সুযোগ দিলে বন্ডের অবৈধ ব্যবহার বন্ধ হবে ও বাজার স্থিতিশীল হবে। সরকারি রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে। এ দেশের মুদ্রণ শিল্প আরো বিকশিত হবে।
লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির চেয়ারম্যান শহীদ সেরনিয়াবাত বলেন, আমরা একটি বিষয় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে চাই, বন্ড সুবিধার আওতায় আমদানির ক্ষেত্রে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু বাস্তবতা হলো- আমদানি হওয়া কাগজ পণ্য খোলাবাজারে বিক্রি হচ্ছে। ফলে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এ খাতের ব্যবসায়ীরা ‘অসুস্থ’ প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছেন। বন্ড সুবিধায় আমদানি হওয়া কাগজ পণ্য ২০ থেকে ৩০ শতাংশ মুনাফা ধরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এতে অবৈধ ব্যবসায়ীরা লাভবান হয়। সরকার বড় অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে। প্রকৃত ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
তিনি বলেন, রপ্তানিমুখী তৈরী পোশাক শিল্পের চাহিদার ভিত্তিতে শুধুমাত্র ৩০০ গ্রাম ও তদূর্ধ্ব গ্রামের কাগজ ও বোর্ড বন্ড সুবিধায় আমদানি করার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিককালে বন্ড সুবিধা ভোগকারী কিছু প্রতিষ্ঠান সরকারি এই নীতিমালাও লঙ্ঘন করে নির্বিচারে বিভিন্ন গ্রামের কাগজ ও বোর্ড আমদানি করছে। বন্ড সুবিধার আওতায় শূন্য শুল্কে আমদানি করা ৩০০ গ্রামের চেয়ে কম ওজনের এসব কাগজ ও বোর্ড (যেমন- ডুপ্লেক্স বোর্ড, ফোল্ডিং বক্স বোর্ড ইত্যাদি) খোলাবাজারে বিক্রি হচ্ছে।
প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ পেপার ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম ভরসা বলেন, বন্ডের কাগজ চোরাচালান ও চোরাকাবারির সঙ্গে জড়িতদের দায়-দায়িত্ব আমরা নেব না। আমরা দেশিয় বিকাশমান কাগজশিল্পের সুরক্ষা চাই। তারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে দেশে কাগজের শিল্প গড়ে তুলেছেন। পাশাপাশি আমরা বন্ডের কাগজ আমদানি ও ব্যবহারের ওপর সরকারের কঠোর নজর দেখতে চাই। বন্ডের কাগজ কিভাবে বন্দর থেকে খালাস হয়ে খোলাবাজারে যাচ্ছে, সেটা মনিটরিংয়ের দায়িত্ব কাস্টমসের। তার মতে, প্রতি বছর ৫ লাখ টন কাগজ আমদানি হয়, যা মোট চাহিদার ১০ শতাংশ।
শফিকুল ইসলাম ভরসা বলেন, উচ্চ হারে শুল্ক থাকায় এ শিল্পের ব্যবসায়ীরা অব্যাহতভাবে লোকসানের মুখে রয়েছেন। তিনি বলেন, কাঁচামাল হিসেবে ডুপ্লেক্স বোর্ড, আর্ট পেপার, আর্ট কার্ড, সুইডিস বোর্ড, ফোল্ডিং বক্স বোর্ড এবং সেলফ অ্যাডহেসিভ পেপারের বিপুল চাহিদা রয়েছে। কিন্তু এই পণ্যগুলো দেশে উৎপাদন হয় না। কিছু কাগজের মিল কারখানা রয়েছে, যারা শুধু কাঁচামাল হিসেবে সেগুলোতে শুধু ছাপা ও লেখার কাগজ, নিউজ প্রিন্ট, মিডিয়া ও লাইনার পেপার, সিগারেট পেপার, টিস্যু পেপার ও নিম্নমানের বোর্ড উৎপাদন করে। এ পরিপ্রেক্ষিতে অন্যান্য দেশীয় শিল্পের কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে যে হার বিদ্যমান আছে মুদ্রণ শিল্পেও সেই হারে শুল্ক আরোপ করে কাঁচামাল আমদানির সুযোগ দেয়ার জন্য আহ্বান জানান ভরসা।
আরেক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রক ও বিপণন সমিতির সভাপতি তোফায়েল খান বলেন, বন্ডের অবৈধ কাগজ ছাপাখানায় যাক, এটা আমরা চাই না। আমরা বন্ডের অপব্যবহার বন্ধ চাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।