Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

কক্সবাজারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ

কক্সবাজার জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৭ জুন, ২০২২, ১২:০৪ এএম

কক্সবাজারের বেসরকারি হাসপাতাল ফুয়াদ আল খতীব হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় এক প্রসূতির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আইনি ঝামেলা এড়াতে তিন দিন পর পরিবারের সঙ্গে সমঝোতা করবেন বলে জানা গেছে। মৃত প্রসূতি ফারজানা (২৭) টেকনাফ পৌরসভার নাইক্ষ্যংপাড়া এলাকার জিয়াউর রহমানের স্ত্রী। ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর খবর সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষ ওই হাসপাতালে ভিড় করে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত রোববার দুপুর ১২টার দিকে নিহতের স্বজনরা ফুয়াদ আল্-খতীব হাসপাতাল অবরুদ্ধ করে রাখে। নিহতের স্বামী জিয়াউর রহমান জানান, গত শনিবার রাত ১১টায় আমার স্ত্রীকে ডাক্তার দেখাতে ফুয়াদ আল্ খতীব হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. ফাতিমা জান্নাত বলেন, আপনার স্ত্রীকে সিজার করতে হবে ওনার সময় হয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, রাত সাড়ে ১১ টায় স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

স্বামী জিয়াউর রহমান জানান, আল্ট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট অনুযায়ী আমার স্ত্রীর আরো ১-২ সপ্তাহ সময় ছিল কিন্তু চিকিৎসক নিশ্চিত করে জানালেন এখনই সিজার করতে হবে। অন্যথায় বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে। তখন বাজে রাত ১১:৪০ মিনিট। আমার স্ত্রীর বড় ভাই সাংবাদিক কাইসারুল হক জুয়েলকে নিয়ে টাকা আনতে বের হই। আমারা টাকা নিয়ে প্রায় রাত সাড়ে ১২টার সময় হাসপাতালে এসে দেখি আমার স্ত্রী নেই। হাসাপাতলের একজন দায়িত্বরত স্টাফ আমাকে বলল আপনার স্ত্রীকে সিজার করতে ডাক্তার ভেতরে নিয়ে গেছেন। প্রায় ৩ ঘন্টা পর আমাদেরকে ডাক্তারে এসে বলল,আপনার সন্তান নেন। আপনার স্ত্রীর অবস্থা ভালনা। তখন ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করলাম কি সমস্যা হয়েছে। ডাক্তার উত্তর না দিয়ে চলে যান। রোগীকে রেফার করলেন জেলা সদর হাসপাতালের আইসিউতে।

নিহতের বড় ভাই সাংবাদিক কায়সারুল হক জুয়েলের অভিযোগ, তাদের না জানিয়েই এবং তাদের অনুপস্থিতিতে কেন তার বোনকে সিজার করা হয়েছে । তিনি বলেন, তার বোন ফারজানা সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল। ভুল চিকিৎসায় তার মৃত্যু হয়েছে। এবিষয়ে ডা. ফাতিমা জান্নাতের সাথে বক্তব্য নেয়ার অনেক চেষ্টার পরেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। ফুয়াদ আল্ খতীব হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুদ্দিন খালিদ জানান, আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ বোর্ড গঠন করে চেষ্টা করেছি। হয়ত তার হায়াত এতটুকুই ছিল । তিনি আরো জানান, স্বামীর এবং তার স্বজনদের দস্তখত নিয়েই আমরা সিজার করেছি।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দিন জানান, ফুয়াদ আল্ খতীব হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় এখনও রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে রোগীর চিকিৎসার সব কাগজপত্র দেখা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ