Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বেলকুচিতে ছাত্রলীগ নেতার হামলায় ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান আহত

বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ জুন, ২০২২, ১২:১৪ এএম

বেলকুচি উপজেলার ভাঙাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম ভূইয়াএর উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে বেলকুচি পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আকতার হামিদের বিরুদ্ধে। জানা যায়, গত রোববার ভাঙাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদে কাজ শেষ করে আনুমানিক বিকাল ৫টার সময় মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন, বেলকুচি থানার পাশে রজনীকান্ত সড়কে মাজেম মিয়ার গরান নামক স্থানে পৌছালে এ সময় লোহার রড কাঠের বাটাম দিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি আকতার হামিদের নেতৃত্বে ১০/১২জন জহুরুল ভুইয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে হঠাৎ হামলা চালায়, এ সময় চেয়ারম্যান জহুরুল ভূইয়াকে রক্ষা করতে গেলে ভাঙাবাড়ি ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান ও উপজেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল কাদের তালুকদার (ন্যাড়া কাদের)কে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। গুরুতর অবস্থায় ইউপি সদস্য কাদের তালুকদারকে প্রথমে বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়, অবস্থার সংকটাপন্ন দেখে পরবর্তীতে সিরাজগঞ্জ এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী হসপিটালের ভর্তি করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যান জহরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আকতার হামিদের ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন হল মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত চরচালার মাসুম ও সুবর্ণসারা গ্রামের রিজন, আদাচাকি গ্রামের বুদ্দুর ছেলে হাফিজের কাছে মাদকের টাকার জন্য তারা যায়, টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা মারপিট করে। এমতাবস্থায় আমি উপজেলা পরিষদে আসার সময় আহত পরিবারের লোকজন আমাকে বিষয়টি জানায়, আমি তখন তাদের গার্জিয়ানদের সাথে কথা বলে পরবর্তীতে একটি মীমাংসার কথা বলে তাদেরকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে উপজেলা পরিষদে যাই। পরিষদের কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে বেলকুচি পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আকতার হামিদ আমাকে প্রথমে গাড়ি রোধ করে পরবর্তীতে তাদের হাতে থাকা রড, কাঠের বাটাম দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা চালায়। আমাকে রক্ষা করার জন্য আমার সাথে লোকজন এগিয়ে গেলে তাদের উপরও সন্ত্রাসী হামলা চালায়। হামলায় আমিসহ বেশ কয়েকজন আহত হই। তার মধ্যে আমার পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের তালুকদার গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় প্রথমে বেলকুচি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়, পরবর্তীতে অবস্থার সংকটাপন্ন হলে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে। বেলকুচি পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আকতার হামিদ বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি মারামারি থামানোর জন্য চেষ্টা করেছি। বেলকুচি থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, বিষয়টি আমি অবগত, শোনা মাত্রই বেলকুচি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফোর্স পাঠিয়েছিলাম। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ