Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় একজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, দুই আসামির যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রিপোর্টার, | প্রকাশের সময় : ৬ জুন, ২০২২, ৮:১৩ পিএম

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় পূর্বশত্রুতার জেরে ইমরান রশিদ নামে এক যুবককে হত্যার দায়ে একজনের আমৃত্যু ও দুই আসামির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাদেরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।

সোমবার (৬ জুন) দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।


আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কাটদহর চর এলাকার জমশের আলীর ছেলে জিয়া। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন- একই এলাকার আসান আলীর ছেলে মোস্তফা এবং শাকদহর চর এলাকার ইবাদত আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর।

দণ্ডপ্রাপ্ত জিয়া ও জাহাঙ্গীর বর্তমানে পলাতক। তবে রায় ঘোষণার সময় মোস্তফা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। একইসঙ্গে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মিলন, আহসান, এবং জসিম নামে তিনজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।


কুষ্টিয়া জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালত এবং এজাহার সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কাটদহর চর এলাকার বাদশা মাস্টারের ছেলে ইমরান রশিদ ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর রাতে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে খাবার খাওয়ার পর প্রতিবেশী চাচাতো ভাই আশরাফুলের বাড়িতে যান। সেখানে চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে ওই বাড়িতেই ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১টার দিকে আসামিরা দল বেঁধে অস্ত্র নিয়ে ইমরানের বাড়িতে যান এবং তার খোঁজ করেন। এসময় ইমরানের পরিবারের লোকজন আসামিদের জানান, ইমরান তার চাচাতো ভাইয়ের বাড়িতে ঘুমাচ্ছেন। এ কথা শোনার পর আসামিরা ইমরানের চাচাতো ভাইয়ের বাড়িতে যান এবং ইমরানকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে বুকে গুলি করে হত্যা করে।


দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা চরমপন্থী দলের সদস্য, চাঁদাবাজি অপহরণ, খুনসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তাদের অপরাধ কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়ায় এবং পূর্বশত্রুতার জেরে ইমরানকে হত্যা করা হয়। এই ঘটনার পরেরদিন ২২ নভেম্বর নিহত ইমরান রশিদের ছোট ভাই হুমায়ুন রশিদ বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় মামলা করেন।

তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে ২০০৫ সালের ২৯ অক্টোবর আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। এর পর আদালত এ মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার রায় ঘোষণা করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ