Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ঝিনাইদহে অধিগ্রহণকৃত জমি থেকে লাখ লাখ গাছ বিক্রির অভিযোগ

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম






ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কুফাডাঙ্গা মৌজায় গ্রিড স্টেশনের জন্য জমি অধিগ্রহণকৃত জমি থেকে লাখ লাখ টাকার সরকারি গাছ বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কোনো মাথাব্যাথা নেই। জালাল উদ্দীন গাজী নামে এক নার্সারি ব্যবসায়ী রাতের আঁধারে এই চারা বিক্রি করে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। সরেজমিন পরিদর্শন করে জানা গেছে, ওয়েস্টার্ন গ্রিড নেটওয়ার্ক ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলার ১৩২নং কুলফাডাঙ্গা মৌজায় ১৬ একর ৪০ শতক জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এজন্য এলাকার প্রায় ৩৫/৪০ জন কৃষকদের ৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা চেকের মাধ্যমে প্রদান করা হয়। এসব জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ বাবদ ২৯ লাখ ৫০ হাজার একশ টাকা কৃষকদের প্রদান করা হয়। অধিগ্রহণকৃত জমির মধ্যে জালালউদ্দীন গাজির লিজ নেয়া জমিতে ৭৫ হাজার আম, কাঁঠাল, কড়াই ও মেহগনি গাছের চারা ছিল। জমি অধিগ্রহণের সময় জালালউদ্দীন গাজীকে গাছের চারা বাবদ ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রদান করা হয় ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ঝিনাইদহ বনবিভাগের কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম গাছের মূল্য নির্ধারণ করেন। সূত্রমতে এলাকার কৃষক আবু সুলতান পান ১৪ হাজার চারশ টাকা, ওমর আলী পান ২৬ হাজার চারশ টাকা, শমসের কাজী পান ৫১ হাজার তিনশ টাকা ও একরামুল হক নান্টু পান সাড়ে তিন লাখ টাকা। এভাবে এলাকার ১৮ জন কৃষককে গাছের মূল্য পরিশোধ করা হয়। জমি অধিগ্রহণের পর এসব সম্পদের মালিক হয়ে যায় ওয়েস্টার্ন গ্রিড নেটওয়ার্ক ডেভেলপমেন্ট। কিন্তু তাদের কোনো তদারকি না থাকায় জালালউদ্দীন গাজী নামে এক নার্সারি মালিক রাতের আঁধারে লাখ লাখ টাকার চারা বিক্রি করে দিয়েছেন। জালালউদ্দীন গাজীর দেখাদেখি অন্যান্য কৃষকরাও গাছপালা বিক্রি করে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে পিজিসিপি প্রকল্পের পিডি মাসুম আলম বকশী খবরের সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমি শুনেছি অধিগ্রহণকৃত জমি থেকে গাছের চারা বিক্রি করে দিচ্ছে। সরেজমিন গিয়ে আমি প্রমাণও পেয়েছি। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের একটি জিডি করা ছাড়া আর কোনো করণীয় নেই। তিনি বলেন, মাটি ভরাটের টেন্ডার হয়েছে। দ্রুত বিষয়টি দেখা হচ্ছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এগুলো হচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ