Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

খুলনায় বাবলু হত্যা মামলার রায়

খুলনা ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ৬ জুন, ২০২২, ১২:০২ এএম

খুলনার দৌলতপুরের মিজানুর রহমান খান বাবলু হত্যার দায়ে এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ মামলার অন্যান্য আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামি সিরাজুল ইসলাম মামুন দৌলতপুরের পাবলা মধ্যপাড়া এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে। গতকাল রোববার দুপুরে খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এসএম আশিকুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাজী সাব্বির আহমেদ। আদালত সূত্র জানায়, ২০০৫ সালের ২৩ অক্টেবর রাত ৮টার দিকে মিজানুর রহমান খান বাবলুসহ আরও কয়েকজন দৌলতপুর থানা এলাকার এ এস ট্রেডার্স নামে একটি গ্যাসের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। এসময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত ওই দোকানকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করে। বোমার আঘাতে বাবলু গুরুতর আহত হন। এসময় আরও কয়েকজন আঘাতপ্রাপ্ত হয়। মারাত্মক আহত অবস্থায় বাবলুকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আশরাফ আলী খান বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে দৌলতপুর থানা এলাকার পাবলা মধ্যপাড়া এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে সিরাজুল ইসলাম মামুনকে গ্রেফতার করে। আদালতে ১৬৪ ধারায় এ হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততার কথা ও ৮ জন আসামির নাম উল্লেখ করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। এ মামলায় অন্যান্য আসমিরা হলো আশরাফুজ্জামান আরিফ ওরফে তিলা অরিফ, এস এম আবু সাইদ, মো. তৌহিদুজ্জামান তৌহিদ, মিজান, আশরাফুজ্জামান বাবু ওরফে কমান্ডার বাবু, রেজাউল ইসলাম ওরফে আলম ওরফে শহীদ, শাহাদাৎ হোসেন ওরফে লিটন ওরফে খোড়া লিটন ও মো. শাহিন বিশ্বাস ওরফে শাহীন ওরফে ভাগিনা শাহীন।

এদের মধ্যে কয়েকজন আসামি মারা গেছে। ২০০৬ সালের ৫ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পরিদর্শক চিত্তরঞ্জন পাল উল্লিখিত আসামিদের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় বলে অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ