Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লোহাগড়ার মধুমতীতে আড়াআড়ি বাঁধ পানিপ্রবাহ হ্রাস, বাধাগ্রস্ত মাছের বংশবিস্তার

আতিয়ার রহমান, নড়াইল থেকে | প্রকাশের সময় : ২২ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

লোহাগড়ায় বাঁশের বেড়া দিয়ে চলছে অবাধ মাছ শিকার। আড়াআড়িভাবে নদীতে বেড়া দিয়ে মাছ শিকার বন্ধে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের নিষ্ক্রিয়তা চোখে পড়ার মতো। মৎস্য সংরক্ষণ আইনে নদীতে বাঁশের বেড়া দিয়ে পানিপ্রবাহে বাধা দিয়ে মাছ শিকার নিষিদ্ধ করা হলেও এ আইনকে তোয়াক্কা না করে লোহাগড়ার মধুমতী নদীতে বেড়া দিয়ে অবাধে চলছে মৎস্য আহরণ। ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে বিভিন্ন জাতের দেশি প্রজাতির মাছ। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে মাছের বংশবিস্তার। ফলে উপজেলার অসাধু মৎস্য শিকারিরা মাছের বংশ বিস্তার রোধে বাধার সৃষ্টি করছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের রামকান্তপুর এলাকায় মধুমতী নদীর পাড় থেকে শুরু করে অন্তত ৮০০ ফুট লম্বা আড়াআড়িভাবে নদীর মাঝ বরাবর বাঁশের বেড়া দেয়া হয়েছে। বেড়ার প্রায় ৮শ’ থেকে সাড়ে ৮শ’টি বাঁশ পোঁতা হয়েছে। বেড়ার সঙ্গে বিভিন্নস্থানে জাল পাতাসহ ৪টি নৌকা বাঁধা রয়েছে। একটি নৌকা নিয়ে দুজন জেলে ইলিশ মাছ ছাড়ানোর কাজে ব্যস্ত। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, ঐ বেড়ার কারণে নদীতে পণ্যবাহী নৌযান চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রামকান্তপুর গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, “টিভিতে দেখি যে জাটকা ইলিশ ধরলে জেল ও জরিমানা হয়, কিন্তু প্রায় ২০/২৫ দিন ধরে এই এলাকায় নদীতে কারেন্টজাল, খেতাজাল এমনকি আড়াআড়িভাবে বেড়া দিয়ে প্রতিনিয়ত জেলেরা মাছ ধরলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। সচেতন মহলের অভিযোগ, বিষয়টি উপজেলা মৎস্য দফতরের কর্মকর্তারা ও প্রশাসন জানলেও টনক নড়ছে না কারোরই। মধুমতীতে বাঁশের বেড়া দিয়ে মাছ শিকারের সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রণজিত কুমার বলেন, “রামকান্তপুর এলাকায় নদীতে আড়াআড়িভাবে বেড়া দিয়ে জেলেরা মাছ শিকার করছে বিষয়টি আমি আগেই শুনেছি। মৎস্য সংরক্ষণ আইনের ১৯৫০ সালের ৩ ধারা মোতাবেক এটি একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। প্রশাসন ও পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে আমরা অতি দ্রুত বেড়া উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করব”। 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ