Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুষ্টিয়ায় পৃথক দুটি হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবনসহ অর্থদন্ডাদেশ

কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রির্পোটার | প্রকাশের সময় : ৫ জুন, ২০২২, ৮:২২ পিএম

কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার মোটরসাইকেল চাপায় বন্ধুকে হত্যার দায়ে ইন্তাদুল হক(৩৪) ও রুহুল আমীন(৩৪) এবং দৌলতপুর থানার শ্বাসরোধ করে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী হোচেন আলী(৫৩)র যাবজ্জীবন কারাদন্ডসহ অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার দুপুর দেড়টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ অতিরিক্ত আদালত-১এর বিচারক তাজুল ইসলাম এবং আদালত-২এর বিচারক রেজাউল করীম জনাকীর্ণ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের উপস্থিতিতে এই রায় দেন। রায়ে কারাদন্ডসহ ২৫হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর সাজার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্তরা হলেন দৌলতপুর উপজেলার নারায়নপুর দহকুলা গ্রামের আফছার মোল্ল্যার ছেলে ইন্তাদুল হক(৩৪), জালু মোল্লার ছেলে রুহুল আমিন(৩৪) এবং স্ত্রী হত্যায় দীঘলকান্দি পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত আসান আলীর ছেলে হোচেন আলী(৫৩)।

আদালতের মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৫ জানুয়ারী সন্ধ্যায় দৌলতপুর উপজেলার নারায়ণপুর দহকুলা গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে ফিরোজ(২৫)কে তার বন্ধু ইন্তাদুল(২৫) ও জালু মোল্লার ছেলে রুহুল আমিন(২৫) বাড়ি থেকে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। পরে ওইদিন রাত ১১টার দিকে একটি মাইক্রোতে মৃত ফিরোজের লাশ তার বাড়ির সামনে ফেলে রেখে চলে যায়। এঘটনায় পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ এনে ঘটনাস্থল মিরপুর হওয়ায় নিহত ফিরোজের পিতা বাদি হয়ে দুইজনের নামোল্লেখসহ মিরপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।

অপর মামলায় ২০১১ সালের ১৮নভেম্বর রাতে পারিবারিক কলহের জেরে দৌলতপুর উপজেলার দীঘলকান্দি পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হোচেন আলী তার স্ত্রী মরজিনা খাতুন(৩৭)কে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এঘটনায় নিহতের ভাই উপজেলার শেরপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সামছুদ্দিন মন্ডলের ছেলে মারজেল মন্ডল বাদি হয়ে দৌলতপুর থানায় বোনের স্বামী হোচেন আলীকে আসামী করে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলা দুটি তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ১৩ এপ্রিল নিহত ফিরোজের বন্ধু ইন্তাদুল এবং জালু মোল্লার ছেলে রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন মিরপুর থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক ইকবাল হোসেন। সেখানে একই তরুণীর সাথে দ্বিমুখী প্রেমের প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ার কারণে বন্ধু ইন্তাদুল ফিরোজকে কৌশলে মটর সাইকেল চাপাদিয়ে হত্যা করেছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে। এবং ২০১২সালের ১৬ এপ্রিল দৌলতপুর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক আবুল কালাম আজম পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী হোচেন আলীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী জানান, পৃথক দুটি হত্যা মামলায় পুলিশের দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে দীর্ঘ সাক্ষ্য শুনানি শেষে আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডসহ প্রত্যেকের পৃথক ভাবে ২৫হাজার টাকা করে অর্থ দন্ডাদেশ অনাদায়ে আরও ১বছরের সাজা দন্ডাদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ