Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ভারী যান চলাচলে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কে বাড়ছে দুর্ভোগ

নজির হোসেন নজু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে | প্রকাশের সময় : ২২ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সৈয়দপুরের উপজেলার কাঁচা ও পাকা সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) এসব সড়ক মেরামত ও সংস্কার করতে পারছে না। সূত্র জানায়, উপজেলায় তিন ধরনের সড়কের মধ্যে উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামীণ পর্যায়ে পাকা সড়ক রয়েছে। এসব পাকা সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় ১/২ বছরের মধ্যে রাস্তাগুলো বেহাল দশায় পৌঁছেছে। কোথাও সড়কের মাঝে মাঝে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে, কোথাও সড়কের পাড় ধসে পড়েছে। ফলে এসব রাস্তায় এখন রিকশা চলাচলও দুরূহ হয়ে পড়েছে। উপজেলার পৌর এলাকার মিস্ত্রীপাড়া থেকে বসুনিয়া পাড়া, বাঙালীপুর মোড় থেকে দারুল উলুম মোড়, সোহেল রানা মোড় থেকে আদর্শ কলেজ হয়ে সুরকী মহল্লা পর্যন্ত, ফায়ার সার্ভিসের সামনে থেকে সাবেক পৌর মেয়র আখতার হোসেনের বাড়ি পর্যন্ত। এছাড়াও কামারপুকুর ইউনিয়নে আদানী মোড় থেকে চৌধুরীপাড়া পর্যন্ত, কাঙ্গালুপাড়া থেকে নেজামের চৌপথী, কামারপুকুর থেকে তোফায়েলের মোড়, রংপুর সড়ক থেকে আইসঢাল আলিম মাদ্রাসা পর্যন্ত, বাঙ্গালিপুর ইউনিয়নে চৌমহনী থেকে লক্ষণপুর হয়ে পীরপাড়া, সাইল্যার মোড় থেকে পীরপাড়া, কাশিরাম ইউনিয়নে হাজারীহাট থেকে ঢেলাপীর পর্যন্ত, নেজামের চৌপথী থেকে মুচিরহাট, খাতামধুপুর ইউনিয়নে হামুড়হাট থেকে হাজারীহাট, খিয়ারজুম্মা থেকে হাজারীহাট পর্যন্ত, বোতলাগাড়ি ইউনিয়নে ঢেলাপীর থেকে বোতলাগাড়ি স্কুল হয়ে শ্বাসকান্দর মোড়, কাঙ্গালপাড়া ব্রিজ থেকে ডাঙ্গাপাড়া পর্যন্ত গ্রামের ও শহরের ভেতরের পাকা ও কাঁচা সড়কগুলো বেহাল দশায় পৌঁছেছে। এসব সড়কে দিনেরাতে ইটভাটার মাটি পরিবহনে ট্রাক্টরসহ ভারী যানবাহন চলাচল করায় এবং কৃষি কাজে ব্যবহৃত পাওয়ার টিলার অবাধে চলাচলের কারণে সড়কগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মাঝে মধ্যে এসব চলাচলে বাধা দিলেও গ্রামীণ সড়কগুলোতে এসব যানচলাচল অব্যাহত রয়েছে। অবৈধভাবে টাক্টরগুলো ধারণক্ষমতার বেশি পণ্য পরিবহন করায় কাঙ্গালপাড়া ব্রিজে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে সড়কগুলোর পিচ, খোয়া ওঠে ও পাড় ধসে করুণ দশায় পরিণত হচ্ছে। কোনো কোনো স্থানে যানবাহনতো দূরের কথা খালি পায়ে চলাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে। এতে মাঝে মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনার কারণে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। এব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা প্রকৌশলী আবু মো. শফিউল আলম বলেন, মেরামত ও সংস্কারকাজে বরাদ্দ কম তাই পাকা সড়কগুলো মেরামত ও সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে এবারে এমপির বরাদ্দে ৯টি নতুন পাকা সড়ক নির্মাণ ও দুটি গ্রামীণ পাকা সড়ক মেরামত কাজের অনুমোদন মিলেছে। এসব পাকা সড়ক বাঁচাতে এলাকার মানুষকে সচেতন ও পাওয়ার টিলারসহ এধরনের যানচলাচল বন্ধ করা ছাড়া কোনো উপায় নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ