বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঝিনাইদহে পুলিশ পরিচয়ে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার ১২ দিন পর আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান খানকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। তাঁকে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাচেষ্টা মামলায় আসামী করা হয়েছে। আজিজুর রহমান ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ৮ নং মালিয়াট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। পুলিশ তাকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানাধীন পুটখালী এলাকা থেকে গ্রেফতারের দাবী করছে। আজিজুলের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল রাশেদ খানের দাবি, তার বাবাকে গত ৮ নভেম্বর গ্রামের মাঠ থেকে তুলে নিয়ে যায় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। কালীগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার ইমরান আলমের ভাষ্যমতে, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ইতোপূর্বে গ্রেফতার আবু সাইদ ও কাওছারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আটক আজিজুর রহমান খান হত্যাচেষ্টা ষড়যন্ত্রের মূল অর্থদাতা। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে দুই হাজার ভারতীয় রুপি, একটি ইন্ডিয়ান মোবাইল সিম ও সামান্য কিছু বাংলাদেশি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। এদিকে, আটক আজিজুর রহমান খানের ছেলে পুলিশ সদস্য রাশেদ খান দাবি করেন, গত ৮ নভেম্বর মঙ্গলবার থেকে তার বাবা নিখোঁজ ছিলেন। এদিন সকাল ১০টার দিকে গ্রামের পাশে চাকুলিয়া বটতলা এলাকায় আগে থেকে দাঁড়িয়ে থাকা ৪-৫ জন লোক একটি কালো মাইক্রোবাসে করে তাকে তুলে নিয়ে যায়। অভিযোগ করা হচ্ছে, ১৫ লাখ টাকার চুক্তিতে গত ১ নভেম্বর দিবাগত রাতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যা প্রচেষ্টা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় এমপি আনারের পিএস আব্দুর রউফ বাদী হয়ে ২ নভেম্বর কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো তিনজনসহ মোট আটজনকে আসামি করা হয়। এদের মধ্যে পুলিশ প্রথমে আবু সাঈদকে গ্রেফতার করে। তাকেও প্রথমে উঠিয়ে নিয়ে গুম করে রেখে গ্রেফতার দেখায়। পরে তার স্বীকারোক্তিতে হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসের কর্মচারী (সার্ভেয়ার সহকারী) কওছার আলীকে ইউএনও অফিস থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। পরে সরকারী কর্মচারীদের আন্দোরনের মুখে কাওছার আলীকে গ্রেফতারের কথা স্বীকার করে পুলিশ। এ মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান খানসহ এ পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে কি কারণে এবং কেন এমপি আনারকে হত্যা করার চেষ্টা করা হচ্ছিল তার বিস্তারিত তথ্য পুলিশ জানাতে পারছে না। ফলে দলের বিরোধী পক্ষকে ঘায়েল করার বিষয়টি দিন দিন স্পষ্ট হয়ে উঠছে বলে মনে করেন কালীগঞ্জের আওয়ামীলীগ নেতারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।