বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মো: ফরিদ মিয়ার ছেলে মোজাম্মেল হোসেনকে (২১) গলায় মাফলার পেঁচিয়ে হত্যা করে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মৃগালী গ্রামের সড়কের পাশে লাশ ফেলে সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনার পরদিন (১৫ ফেব্রুয়ারি) নিহতের পিতা বাদী হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে তদন্তে নামে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল। ঘটনার দীর্ঘ তদন্তে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শুক্রবার (৩ জুন) রাতে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়ে আসামি গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আসামি হল- ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার দত্তপাড়া গ্রামের আবুল মনসুরের ছেলে মো: আবু রায়হান (২৫), গাংপাড়া গ্রামের নূর আহাম্মদ মিলনের ছেলে মোজাম্মেল হক (১৯) এবং ধামদী গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে মো: জিয়াাউর রহমান সাইদুল (২১)।
শনিবার (৪ জুন) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: সফিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, আসামিরা যাত্রীবেশে মোজাম্মেল হোসেনের সিএনজি ভাড়া করে ময়মনসিংহ শহরে এসে সময়ক্ষেপণ করে রাত গভীর হলে ঈশ্বরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা করে। ফেরার পথে আসামিরা চালক মোজাম্মেলের মোবাইল ফোন ব্যাবহার করে তার বাবা মো: ফরিদ মিয়াকে ফোন করে বিকাশের মাধ্যমে বিশ হাজার টাকা পাঠাতে বলে।
কিন্তু তাদের কথামত টাকা না পাঠানোর কারণে খুনিরা পূর্বপরিকল্পনা মত চালক মোজাম্মেল হোসেনের গলায় মাফলার পেঁচিয়ে নাক ও মুখ চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সড়কের পাশে লাশ ফেলে সিএনজি ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে পালিয়ে যায়।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।