Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কালো ধান চাষে ভাগ্য বদল

এস. কে.সাত্তার, ঝিনাইগাতী (শেরপুর) থেকে | প্রকাশের সময় : ৫ জুন, ২০২২, ১২:০৩ এএম

শেরপুরের শ্রীবরদীতে ‘কালো ধান’ চাষে ভাগ্য বদলে যাচ্ছে কৃষকের। চিন থেকে বীজ এনে ৫ একর জমিতে রোপন করেছেন। কৃষি বিভাগ বীজ জেলায় ছড়িয়ে দিতে আগ্রহী। শ্রীবরদীর চককাউরিয়া গ্রামের ৪ বন্ধু মুক্তাদির আহম্মেদ নয়ন, স্বপন আহসান, নিশাত, শান্ত ও রাণীশিমুলের হাসধরার গোলাম রসুল ৩ হাজার টাকা কেজিতে ১৮ কেজি কালো ধান বীজ সংগ্রহ করেন। এই প্রথম ৫ একর জমিতে রোপন করেছেন। খরচ হয়েছে লাখ টাকা। আবাদে সফলতার স্বপ্ন বুনছেন তারা। কৃষি বিভাগ জানায়, এ প্রথম কালো ধানের আবাদ হয়েছে। কালো ধান সৌন্দর্য ও পুষ্টিগুণে ভরা। পাতা ও কান্ডের রং সবুজ, ধান ও চালের রং কালো। কালো চালের ধান হিসেবে পরিচিত। চালকে ‘ওয়ার্ল্ড সুপার ফুড’ বলা হয়। দামও অন্য চালের চেয়ে বেশি। ধনী দেশে এ চালের ব্যাপক চাহিদা। হাসধরার কৃষক গোলাম রসুল বলেন, বিদেশ হতে ধানের বীজ সংগ্রহ করেছি। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ২ একর জমিতে চাষ করেছি। ধান কাটা শুরু হয়েছে। ফলন ও ভাল। লাভজনকও পুষ্টিসমৃদ্ধ আগামীতে এই ধান চাষের চিন্তা করছেন কৃষকরা। আলহামদুলিল্লাহ লাভবান হব। চককাউরিয়ার কৃষক মো. আলী বলেন, ‘ধানে খুব লাভ। চারা চেয়েছি। ১ একরে রোপন করবো। কৃষি অফিস থেকে বলছে, এ ধান ওষুধের মতো। তাই রোপন করবো।’ কৃষক ফকির মিয়া বলেন, নতুন ধান আইছে, দেখতে কালা। হুনতাছি বিরাট লাভ, লাগাইতে খরচ কম। আমি আবাদ করমু। চারা চাইছি, দিবার চাইছে। ১ হাজার টাকা করে কেজি চাইছে।’ উদ্যোক্তা নয়ন বলেন, চিন্তা করেছি চাকরির জন্য না ঘুরে কিছু করব। চিন্তা থেকেই শুরু ৪ বন্ধু চীন থেকে ১০ কেজি ব্ল্যাক ধানের বীজ সংগ্রহ করি। ৩ একর জমি লিজ নিয়ে রোপণসহ খরচ হয়েছে লাখ টাকা। চিন্তায় ছিলাম, ধান হয় না- নাই হয়। কৃষি বিভাগের পরামর্শে ফলন আসতে শুরু করেছে। হিসাব করে দেখেছি, ৩ একরের বীজ, বিক্রি ও খাওয়াসহ ১০ লাখ টাকা আয় হবে।’ অন্য উদ্যোক্তা স্বপন আহসান বলেন, ধান বীজ সারা জেলায় ছড়িয়ে দেবো। চিন্তা করেছি, ৩ হাজার টাকা কেজি বীজ কিনে আনলেও আগ্রহী কৃষকদের ১ হাজার টাকা কেজিতে বীজ দেব। কৃষক সহজে, স্বল্প খরচে- বেশি লাভে ডায়বেটিস ও ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবে এ ধান চাষ করতে পারবে।
শ্রীবরদী উপজেলা কৃষি অফিসার মো. হুমায়ূন দিলদার বলেন, উদ্যোক্তাদের সার্বিক সহযোগিতা করেছি। কৃষকদের আগ্রহ বাড়াতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এ ধান চাষ বাড়ালে কৃষক লাভবান হবে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. মুহিত কুমার দে বলেন, ৪ উদ্যোক্তার খেত পরিদর্শন করেছি। ধান ভালো হয়েছে। তাদের কাছে বীজ সংগ্রহ করে জেলায় কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাচ্ছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ