রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
শেরপুরের শ্রীবরদীতে ‘কালো ধান’ চাষে ভাগ্য বদলে যাচ্ছে কৃষকের। চিন থেকে বীজ এনে ৫ একর জমিতে রোপন করেছেন। কৃষি বিভাগ বীজ জেলায় ছড়িয়ে দিতে আগ্রহী। শ্রীবরদীর চককাউরিয়া গ্রামের ৪ বন্ধু মুক্তাদির আহম্মেদ নয়ন, স্বপন আহসান, নিশাত, শান্ত ও রাণীশিমুলের হাসধরার গোলাম রসুল ৩ হাজার টাকা কেজিতে ১৮ কেজি কালো ধান বীজ সংগ্রহ করেন। এই প্রথম ৫ একর জমিতে রোপন করেছেন। খরচ হয়েছে লাখ টাকা। আবাদে সফলতার স্বপ্ন বুনছেন তারা। কৃষি বিভাগ জানায়, এ প্রথম কালো ধানের আবাদ হয়েছে। কালো ধান সৌন্দর্য ও পুষ্টিগুণে ভরা। পাতা ও কান্ডের রং সবুজ, ধান ও চালের রং কালো। কালো চালের ধান হিসেবে পরিচিত। চালকে ‘ওয়ার্ল্ড সুপার ফুড’ বলা হয়। দামও অন্য চালের চেয়ে বেশি। ধনী দেশে এ চালের ব্যাপক চাহিদা। হাসধরার কৃষক গোলাম রসুল বলেন, বিদেশ হতে ধানের বীজ সংগ্রহ করেছি। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ২ একর জমিতে চাষ করেছি। ধান কাটা শুরু হয়েছে। ফলন ও ভাল। লাভজনকও পুষ্টিসমৃদ্ধ আগামীতে এই ধান চাষের চিন্তা করছেন কৃষকরা। আলহামদুলিল্লাহ লাভবান হব। চককাউরিয়ার কৃষক মো. আলী বলেন, ‘ধানে খুব লাভ। চারা চেয়েছি। ১ একরে রোপন করবো। কৃষি অফিস থেকে বলছে, এ ধান ওষুধের মতো। তাই রোপন করবো।’ কৃষক ফকির মিয়া বলেন, নতুন ধান আইছে, দেখতে কালা। হুনতাছি বিরাট লাভ, লাগাইতে খরচ কম। আমি আবাদ করমু। চারা চাইছি, দিবার চাইছে। ১ হাজার টাকা করে কেজি চাইছে।’ উদ্যোক্তা নয়ন বলেন, চিন্তা করেছি চাকরির জন্য না ঘুরে কিছু করব। চিন্তা থেকেই শুরু ৪ বন্ধু চীন থেকে ১০ কেজি ব্ল্যাক ধানের বীজ সংগ্রহ করি। ৩ একর জমি লিজ নিয়ে রোপণসহ খরচ হয়েছে লাখ টাকা। চিন্তায় ছিলাম, ধান হয় না- নাই হয়। কৃষি বিভাগের পরামর্শে ফলন আসতে শুরু করেছে। হিসাব করে দেখেছি, ৩ একরের বীজ, বিক্রি ও খাওয়াসহ ১০ লাখ টাকা আয় হবে।’ অন্য উদ্যোক্তা স্বপন আহসান বলেন, ধান বীজ সারা জেলায় ছড়িয়ে দেবো। চিন্তা করেছি, ৩ হাজার টাকা কেজি বীজ কিনে আনলেও আগ্রহী কৃষকদের ১ হাজার টাকা কেজিতে বীজ দেব। কৃষক সহজে, স্বল্প খরচে- বেশি লাভে ডায়বেটিস ও ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবে এ ধান চাষ করতে পারবে।
শ্রীবরদী উপজেলা কৃষি অফিসার মো. হুমায়ূন দিলদার বলেন, উদ্যোক্তাদের সার্বিক সহযোগিতা করেছি। কৃষকদের আগ্রহ বাড়াতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এ ধান চাষ বাড়ালে কৃষক লাভবান হবে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. মুহিত কুমার দে বলেন, ৪ উদ্যোক্তার খেত পরিদর্শন করেছি। ধান ভালো হয়েছে। তাদের কাছে বীজ সংগ্রহ করে জেলায় কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাচ্ছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।