Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফুলপুরে স্কুলে ঢুকে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, অভিযুক্তকে খুঁজছে পুলিশ

ফুলপুর (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ জুন, ২০২২, ৪:৪৫ পিএম

ময়মনসিংহের ফুলপুরে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্লাস রোমে ঢুকে স্কুল ছাত্রীকে জড়িয়ে ধরে শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে বিচার না পেয়ে অবশেষে থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর পরিবার। বর্তমানে ঘটনা ধামাচাপা দিতে একটি মহল পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তার পরিবার। মামলা দায়েরের পর থেকেই অভিযুক্তকে খুঁজছে পুলিশ।

অভিযোগে জানা যায়, ফুলপুর উপজেলার চরআশাবট গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে (১৩) জারুয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে। সে বাড়ি থেকে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে জারুয়া গ্রামের মোজাম্মেল হক সরকারের বখাটে পুত্র শুভ (১৮) প্রায়ই প্রেমের প্রস্তাব দেয় এবং উত্যক্ত করে। এমনকি গায়ের কাপড় ধরেও টান দেয়। এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে বিচার দিয়েও কোন কাজ হয়নি। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এবং স্কুলে বিচার দেওয়ার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে গত সোমবার (৩০ মে) সকালে শুভ স্কুলের ক্লাস রোমে প্রবেশ করে ঐ ছাত্রীকে জোরপূর্বক জড়িয়ে ধরে শ্লীলতাহানি করে এবং স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। তখন ছাত্রীর ডাকচিৎকারে ছাত্র-ছাত্রীরা আসতে থাকলে শুভ পালিয়ে যায়। এ ঘটনা স্কুলের প্রধান শিক্ষক আজাহারুল ইসলামসহ অন্য শিক্ষকদের জানিয়ে বিচার প্রার্থী হন ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তার পরিবার। স্কুল কর্তৃপক্ষ সঠিক কোন বিচার না করায় মঙ্গলবার (৩১ মে) পিতা-মাতাকে সাথে নিয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী ঘটনার বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়েরের দুদিন পর বৃহস্পতিবার (২ জুন) বিকালে ফুলপুর থানায় ছাত্রীর মা বাদি হয়ে শুভকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকেই পুলিশ আসামীকে খুঁজছে। শুক্রবার স্কুল বন্ধ থাকায় শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্বাক্ষী ও স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আসামী গ্রেফতার হয়নি।

জারুয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজহারুল ইসলাম বলেন, ঐদিন স্কুলে আমি সকাল থেকে ছিলাম কিছু শুনিনি। পরে ছাত্রীর অভিভাবক এসে বললে আমি পরিচালনা কমিটিকে নিয়ে বিচারের ব্যাবস্থা করি এবং বিচারে ছেলে প্রকাশ্যে মাফ চেয়ে মুচলেখা দেয়। কিন্তু তা মেয়ের পক্ষ মেনে নেয়নি।
ফুলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে। । আসামী গ্রেফতার করার চেষ্টা অব্যাহত আছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ