Inqilab Logo

রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুয়াকাটায় ফটোগ্রাফারদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ পর্যটকরা

পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৪ জুন, ২০২২, ১২:০২ এএম

প্রিয়জনদের নিয়ে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে আনন্দে ভ্রমণে আসেন পর্যটকরা। কিন্তু সৈকতে নামার পর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পর্যটকরা অনেকটা বিমোহিত হলেও স্থানীয় ফটোগ্রাফারদের দৌরাত্মে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন আগতরা। এছাড়া সৈকতে পাতা বেঞ্চের ভাড়া রাখা হয় দ্বিগুন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিনিয়ত সকাল থেকে কুয়াকাটা চৌরাস্তায়, ট্যুরিষ্ট পুলিশ বক্সের সামনে এবং সৈকতের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে বেশ ফটোগ্রাফারের দল দাঁড়ানো থাকে। একজন পর্যটক কুয়াকাটা চৌরাস্তায় নামার সঙ্গে সঙ্গে তাকে চারপাশ দিয়ে ঘিরে ফেলেন ফটোগ্রাফাররা। সেখানে তারা ছবি তুলবেন না বলে পর্যটকরা চলে আসলে দ্বিতীয় দফায় ট্যুরিষ্ট পুলিশ বক্সের সামনে ফের তাদের ধরা হয়। তৃতীয় দফায় সৈকতে গোসলে নামার সঙ্গে সঙ্গে ৩/৪ জন ফটোগ্রাফার পর্যটকের পিছনে পিছনে ছুটে চলেন। এতে অনেকটা বিরক্ত হয়ে পড়েন পর্যটকরা। এছাড়া সৈকতে পাতা বেঞ্চে বসলেই ঘণ্টা প্রতি দিতে হয় দ্বিগুন ভাড়া ৪০ টাকা। প্রশাসনের সঠিক তদারকি না থাকায় এরকম কাণ্ড ঘটছে বলে দাবি পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের। সৈকতে বেঞ্চ ব্যবসায়ী এবং ফটোগ্রাফারদের নিয়ন্ত্রণের আনার দাবি পর্যটকদের।

ঢাকার মিরপুর থেকে কুয়াকাটা সৈকতে ঘুরতে আসা পর্যটক ইশরাফ জাহান লিমা বলেন, তিন দফায় আমাদের ছবি তোলার জন্য ফটোগ্রাফাররা ধরেছেন। এতে অনেকটা বিরক্ত হয়ে হোটেলে ফিরে এসেছি। আর সমুদ্রে নামিনি। কামরাঙ্গিরচর থেকে আসা পর্যটক রাহেলা-মিজান দম্পত্তি জানান, ফটোগ্রাফরদের কর্মকাণ্ড অনেকটা হেনস্তা করার মতো। আর বেঞ্চ ভাড়া আমাদের কাছ থেকে রাখা হয়েছে ঘণ্টায় ৪০ টাকা, এটা দ্বিগুন রাখা হয়েছে। কুয়াকাটা ফটোগ্রাফার মালিক সমিতির সভাপতি আলআমিন জানান, আমাদের ২ শত সদস্য রয়েছেন। নিয়ম হচ্ছে চৌরাস্তায় নয়, সৈকতের আশে পাসে ফটোগ্রাফাররা দাঁড়িয়ে থাকবেন,পর্যটকরা পছন্দমতো ফটোগ্রাফারদের নিয়ে ছবি তুলবেন। এর বাইরে কেউ পর্যটকদের বিরক্ত করলে তার বিরুদ্ধে সাংগাঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সৈকতের বেঞ্চ ব্যবসায়ী আব্বাস কাজী জানান, ৪০ টাকা করেই ঘণ্টা ভাড়া দেই। এই ভাড়া কে ঠিক করে দিয়েছে সেটা জানতে চাইলে তিনি এর সঠিক উত্তর দিতে পারেননি।

কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল খালেক জানান, ফটোগ্রাফারদের জন্য বেশকিছু নিয়ম করে দেয়া হয়েছে। এর বাইরে তারা কিছু করলে বা পর্যটকদের কাছ থেকে কোন অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রে যে হারে বেঞ্চ ভাড়া দেয় এখানেও সে হারে বেঞ্চ ভাড়া ঠিক করে দেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ