রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
খুলনার কয়রা উপজেলা সদর থেকে গোবরাবাজার সড়ক সংস্কার ও মেরামত কাজে হেলেপড়া গাইডওয়াল সিমেন্টের খুটির ঠেক দিয়ে সোজা করা হয়েছে। ওই গাইডওয়াল সড়কের ভারসম্য রক্ষায় কতটা সক্ষমতা রাখবে এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। গত ২৬ মে সড়কের হেলেপড়া ওই গাইডওয়াল ও কাজের অনিয়ম নিয়ে পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হয়। এরপর কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেখানে এমন ‘কর্মযজ্ঞ’ চালিয়েছে।
দুর্যোগ ঝুঁকি বৃদ্ধি ব্যবস্থপনা প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১৭শ’ মিটার দৈর্ঘ্যরে এ সড়কটি সংস্কার ও মেরামত ব্যয় ধরা হয়েছে দু’কোটি ২৩ লাখ ১৪ হাজার টাকা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নিয়াজ ট্রেডার্স এবং মেসার্স রাজু ইন্টারন্যাশনাল (জেভি) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের এক পাশে নির্মিত গাইডওয়ালের অধিকাংশই হেলে পড়েছে। হেলেপড়া সে সব স্থানে সিমেন্টের খুটির সাহায্যে ঠেক দিয়ে সোজা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আবার মূল সড়কের ভাঙাচুরা অংশ না খুড়ে সেখানে নতুন খোয়া ও বালু ঢেলে বেড তৈরি করা হয়েছে। তার উপরেই কার্পেটিং করার আয়োজন চলছে।
কোন কোন স্থানে নিম্নমানের ইটের খোয়া ঢেলে রোলার চাপা দেয়ায় তা কাঁদা মাটিতে পরিণত হতে দেখা গেছে। সড়কের পাশের বাসিন্দারা এসব অনিয়মে বাঁধা দিয়েও থামাতে পারছেন না। কয়রা উন্নয়ন সমন্বয় ও সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ উদ্দীন বলেন, খোঁজ নিয়ে জেনেছি মূল ঠিকদার সেখানে কাজ করছেন না। ওই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সাব কন্ট্রাক্ট নিয়ে অন্য একজন সেখানে কাজ করছেন। এ কাজে তার কোন দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা নেই বলে মনে হয়েছে। তাছাড়া অধিক লাভের আশায় তিনি নিম্নমানের কাজ করার চেষ্টা করছেন। একটি বেসরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকৌশলী মহিদুল ইসলাম বলেন, সড়কের ভারসম্য ও স্থায়িত্ব রক্ষায় গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হয়। সেগুলো যদি ত্রুটিপূর্ণ হয় তাহলে ভারসম্য রক্ষায় তা কোন কাজে আসবে না।
সংশ্লিষ্টদের উচিৎ হবে হেলেপড়া গাইডওয়াল আবার নতুন করে নির্মাণ করা। কাজের ঠিকাদার আবুল ফজল রাজু কাজটি নিজে করছেন না স্বীকার করে বলেন, কাজের ত্রুটির বিষয়ে জানতে পেরে তাকে (সাব কন্ট্রাক্টর) সতর্ক করে দিয়েছি।
কয়রা উপজেলা প্রকৌশলী দারুল হুদা বলেন, হেলেপড়া গাইডওয়াল ভেঙে নতুন করে নির্মাণের জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্দেশ না মানলে বিল আটকে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান বলেন, কাজের কোন ত্রুটি ধরা পড়লে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। সেই সাথে কাজটি সার্বক্ষনিক নজরদারিতে রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।