Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে সরকারের কারসাজিতে : সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ জুন, ২০২২, ১২:০৪ এএম

সরকারের কারসাজিতেই খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চাল, দুধ, পাউরুটিসহ খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, আটা, ময়দা, দুধ, পাউরুটি দাম বেড়েছে। আমাদের গরীব লোকরা বেশির ভাগ রিকশা শ্রমিক যারা, তারা দিনের বেলা রিকশা চালিয়ে ফুটপাট থেকে একটা কলা ও পাউরুটি খায়। আজকে সেই রুটির দাম ডাবল হয়ে গেছে, তিনগুন হয়ে গেছে। চালের দাম ১০ থেকে ১৫ টাকায় উঠে গেছে। এমনকি সরকার বাড়িয়ে দিয়েছে ইতোমধ্যে যে ১০ টাকা কেজি চাল যারা ৬২ হাজার লোককে দেয়া হতো সেখানে তারা ১৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। অর্থ্যাৎ সরকার নিজেই এই মূল্য বৃদ্ধি করার জন্য সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে এবং তাদের কারসাজিতেই খাদ্যপণ্য, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জনগণের দুর্ভোগ হচ্ছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাসাবোতে হেলথ এইড ডায়াগনস্টিক এন্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ২৪ মে ছাত্রলীগের হামলায় গুরুতর আহত ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহহিয়া ও উত্তর ছাত্র দলের নেতা শাহাবুদ্দিন শিহাবকে দেখার পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বিএনপি মহাসচিব চিকিৎসকদের কাছ থেকে তাদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকারের সমস্যাটা হচ্ছে- তারা সবকিছুর মধ্যেই অবৈধ মুনাফা চায় এবং জনগণের ন্যূনতম প্রয়োজন যেটা খাদ্য সেটিকেও তারা এখন জিম্মি করে মুনাফা লুটতে চায়। এটা আজকের ব্যাপার না, প্রথম ১৯৭৪ সালে যে দুর্ভিক্ষটা হয়েছিলো সেখানে কিন্তু খাদ্যসংকট ছিলো তা না, দুঃশাসন-দুর্নীতির কারণে দুর্ভিক্ষ হয়েছিলো। আজকে ঠিক একইভাবে খাদ্যশষ্য অন্যায়ভাবে দাম বাড়াচ্ছে, মজুদ করছে, আটকে রাখছে। আর্টিফিশিয়াল একটা ক্রাইসিস তৈরি করে তারা বাজারে দামটা বাড়িয়ে দিচ্ছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাকে ধরে রাখতে চায়, জনগণের ভালোবাসায় নয়। এটা হচ্ছে তাদের মৌলিক চরিত্র। আজকে শুরু নয় বা এবারে শুধু নয়, প্রতিবার, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে তাদের রাজনীতিকে এখানে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছে। তারা সন্ত্রাস করে, ভয়ভীতি দেখিয়ে দেশের মানুষকে একটা ‘ফিয়ারো ফোবিয়া’র মধ্যে রেখে আবারো আগামী নির্বাচন করতে চায়, সেই নির্বাচন পার হতে চায়। বাংলাদেশের এবার তা অবশ্যই হতে দেবে না। বাংলাদেশের মানুষ মনে করে যে, এই নির্বাচন কোনো মতেই আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকা সম্ভব না। তাদেরকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় জনগণের অংশগ্রহনের মধ্য দিয়ে এখানে নির্বাচন হতে হবে। ক্ষমতাসীনদের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধে গড়ে তোলার আহবানও জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আর কোনো রকমের সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেবে না। জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মধ্য দিয়েই এই সন্ত্রাসকে পরাজিত করে জনগনের বিজয় ঘোষিত হবে।

এই সময়ে বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, ঢাকা মহানগর দক্ষিন বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুগ্ম আহবায়ক ইউনুস মৃধাসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মির্জা ফখরুল

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ