পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একটা কথা বারবার বলতে চাই, ভাষার পরিবর্তন করেন। মঙ্গলবার ওবায়দুল কাদের সাহেব যেভাবে হুমকি দিয়েছেন এটা কোনো রাজনৈতিক ভাষা নয়। আপনারা মিথ্যা কথা বলেন কেন; গণতন্ত্র চান। আপনারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসই করেন না। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে এ ভাষায় কথা বলতেন না। ছাত্রদের মারলেন, সেটাকে আবার জাস্টিফাই করছেন। এটাই আওয়ামী লীগ, এটাই হলো তাদের চরিত্র। এরা একদিকে লুট করবে, মানুষকে হত্যা করবে, সন্ত্রাস করে ক্ষমতা দখল করে আরও বেশি করে লুটপাত করবে।
গতকাল বুধবার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৪১তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী কৃষকদল আয়োজিত ‘বাংলাদেশে কৃষি বিপ্লব-শহীদ জিয়ার নীতি ও কর্মসূচি’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, তথ্যমন্ত্রী গত মঙ্গলবার বলেছেন তিনি (জিয়াউর রহমান) বিশ্বাস ঘাতক ছিলেন। উনার (তথ্যমন্ত্রী) জন্ম হয়েছিল কি না সে সময় আমি জানি না। কতটুকু দেখেছেন তাও আমি জানি না। উনার এখানে থেকে যে কালচারটা, তার সংস্কৃতির প্রমাণ পাওয়া যায়। আমরা কখনোই তাদের নেতাদের ছোট করে কথা বলি না। জিয়াউর রহমান শিখিয়েছেন, যার যা অবদান আছে আমরা স্বীকার করি। তারা প্রতি মুহূর্তে আমাদের নেতাদের, দেশের নেতাদের, যারা এ দেশের জন্য কাজ করেছে, যারা এ দেশ সৃষ্টি করেছে তাদের অবজ্ঞা করে-খারাপ কথা বলে।
কৃষিতে জিয়াউর রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে, তার নাম থাকবে না। মনে রাখতে হবে আমাদের এমন এক নেতার প্রতিষ্ঠিত দলে আমরা কাজ করি, যেখানে চুরি-লুটপাট এগুলোর স্থান ছিল না। যেখানে অন্যায়ের কোনো স্থান ছিল না। সততার এমন একটা পরাকাষ্ঠ আমরা আর দেখিনি। সেই জিয়াউর রহমানকে উপড়ে ফেলতে চায়, তার নাম মুছে ফেলতে চায়।
জোট গঠনের আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এই অচলাবস্থা, দম বন্ধ করা পরিবেশ, এ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হলে অভ্যুত্থান ঘটাতে হবে। দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে হবে। তারেক রহমানকে দেশের ফিরিয়ে আনতে হবে।
সরকারের কারসাজিতে দেশে চালের দাম বেড়েছে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এখন তো ভরা মৌসুম। চালের দাম তো কমে আসার কথা। কিন্তু সে জায়গায় চালের দাম বাড়তি। এখানে আবারও কারসাজি। আওয়ামী লীগ লুটেরাদের কারসাজিতে এই চালের দাম বাড়ছে। তারা এখন মুনাফা লুটবে এবং আমাদের সাধারণ মানুষের পকেট কাটবে।
কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর গোলাম হাফিজ কেনেডি, কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শাহিদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।