Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

যশোরে ১৩৫টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে বিজিবি, আটক ৬

যশোর ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০২২, ৮:২৫ পিএম

যশোরে ১৩ কোটি টাকা মূল্যের আরও একটি বড় স্বর্ণের চালান জব্দ করেছে বিজিবি। বুধবার (১ জুন) ভোর ৪ টার দিকে যশোর-মাগুরা সড়কের বাহাদুরপুর এলাকায় তিনটি প্রাইভেট কারে তল্লাশি চালিয়ে ১৫ কেজি ৮শ’ গ্রাম ওজনের এই ১৩৫টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন, বেনাপোলে দুর্গাপুর গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৩০), পুটখালী গ্রামের আতিয়ারর রহমানের ছেলে নাজমুল হোসেন (২৫), চাঁদপুর জেলার ঘাগড়া গ্রামের আরিফ মিয়াজী (৩৬), কুমিল্লা দাউদকান্দি উপজেলার নৈয়ার গ্রামের সিরাজুল ব্যাপারির ছেলে শাহজালাল (৩২), মাদারীপুর জেলার বলশা গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে আবু হায়াত জনি (২৮) ও নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার অতিউল্লাহ বেপারীর ছেলে রবিউল ইসলাম রাব্বি (২৯)। স্বর্ণেরবারগুলো বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

বুধবার বিকালে যশোর ব্যাটালিয়নের (৪৯ বিজিবি) অধিনায়ক লে. ক. শাহেদ মিনহাজ ছিদ্দিকী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যশোর ৪৯ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা জানতে পারে ঢাকা থেকে তিনটি প্রাইভেটকালে যশোরের বেনাপোল দিয়ে স্বর্ণ পাচার হচ্ছে। তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবির সদস্যরা ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ একটি চৌকস দল শহরের বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ফাঁদ পাতে। ভোর ৪ টার দিকে পরপর মেরুন রংয়ের ঢাকা মেট্রো-গ-২৬-৩৩৮৭ এবং সাদা রঙের ঢাকা মেট্রো-গ-২৬-৩৫-৭৫ ও ঢাকা মেট্রো-ম-০০-৭০২৫ তিনটি প্রাইভেটকার তল্লাশি করে গোপন বক্স বসিয়ে অভিনব কায়দায় রাখা ১৬ কেজি স্বর্ণেরবার উদ্ধার করা হয়। যার বাজার মূল্যে ১৩ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এসময় ৬জনকে আটক করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানিয়েছেন, স্বর্ণেরবারগুলো ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে যশোর সীমান্ত নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এটি পার করে ইউএস ডলার নিয়ে ঢাকায় ফেরত যাওয়ার কথা ছিল তাদের। এই অঞ্চল দিয়ে পাচারকালে উদ্ধারকৃত এটিই বড় সোনার চালান বলে দাবি করে যশোরে বিজিবির এই শীর্ষ কর্মকর্তা আরো বলেন, যশোরের সবচেয়ে বড় সোনাচালানের হোতা পুটখালীর নাসির ও বেনাপোলের রমজান। আজকের অভিযানের ৬জনই সবাই নাসিরের দলে কাজ করেন। তারা এই কাজের সাথে নাসিরের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে বলে সবাই স্বীকার করেছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, নাসির ও রমজান কখনো এই সিন্ডিকেটের সামনে আসে না। তারা আড়ালে থেকেই এসকল লোকজন দিয়ে স্বর্ণ পাচার কাজে ব্যবহার করে। যশোরের জেলা প্রশাসন সোনাচালান বন্ধে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। সকল সোনাচালাকারীদের আটকে অভিযান চলমান রয়েছে। এর আগে গত ২০ মে বিজিবি যশোরের চৌগাছা সীমান্ত থেকে ১৪ কেজি ৪৫০ গ্রাম ওজনের ১২৪টি স্বর্ণের বারসহ শাহআলম নামে একজনকে আটক করেছিল। উদ্ধারকৃত ওই সোনার দাম ছিল ১০ কোটি ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ