Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আমতলীতে একই বাড়ীর ৭জনকে অজ্ঞান করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি

বরগুনা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০২২, ৮:২৩ পিএম

বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া গ্রামের তালুকদার বাড়ীর দু’টি বসতঘরে অজ্ঞাত দূর্বৃত্তরা চেতনানাশক ঔষধ স্প্রে প্রয়োগ করে বাড়ীর সকলকে অজ্ঞান করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১০ টার দিকে ওই ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার সকালে স্বজনরা অজ্ঞান হওয়া ওই ৭ জনকে উদ্ধার করে প্রথমে আমতলী ও পরে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেন।

জানা গেছে, উপজেলা চালিতাবুনিয়া গ্রামের মৃত্যু রফিক তালুকদারের বসত ঘরে থাকা তার স্ত্রী হিরু বেগম (৬৫) ও তার শ্যালক জাকির হোসেনকে (৬২) এবং একই বাড়ীর পার্শ্ববর্তী বসত ঘরের সাইদুর রহমানের (৪৫), মা মনোয়ারা বেগম (৭৫), স্ত্রী মুন্নী বেগম (৩২), পুত্র নাঈম (১২) ভাতিজা রিফাত (১২) রাতের খাবার খাওয়ার পরে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। ধারনা করা হচ্ছে অজ্ঞাত দূর্বৃত্তরা চেতনানাশক ঔষধ স্প্রে প্রয়োগ করে বাড়ীর সকলকে অজ্ঞান করে। ওই দুই বসতঘর থেকে নগদ ৫ লক্ষ টাকা ও ৭ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে নিয়ে গেছে অজ্ঞাত দূর্বৃত্তরা। এর মধ্যে মৃত্যু রফিক তালুকদারের বসত ঘর থেকে নগদ দুই লক্ষ টাকা ও ২ ভরি স্বর্ণালংকার এবং সাইদুর রহমানের বসত ঘর থেকে নগদ ১ লক্ষ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে গেছে অজ্ঞাত দূর্বৃত্তরা ।

অজ্ঞান হওয়া সাইদুর রহমানের ছোট ভাই হাবিবুর রহমান জানায়, দূর্বৃত্তরা চেতনানাশক ঔষধ স্প্রে প্রয়োগ করে বাড়ীর সকলকে অজ্ঞান করে। সকালে ডাকাডাকি করেও কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে পিছনের দরজা খোলা দেখে এবং রফিক তালুকদারের বসত ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে সকলকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখে দ্রুত আমতলী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের দ্রুত বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানেই তাদের চিকিৎসা চলছে। ভাই সাইদুর রহমান, ভাতিজা নাঈম ও পুত্র রিফাতের জ্ঞান ফিরলেও বাকীদের এখনো জ্ঞান ফেরেনি।ওই দুই বসতঘর থেকে নগদ ৫ লক্ষ টাকা ও ৭ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে নিয়ে গেছে অজ্ঞাত দূর্বৃত্তরা। এ বিষয়ে আমতলী থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) রনজিৎ কুমার সরকার মুঠোফোনে বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। এখনো কোন অভিযোগ পাইনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ