Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

অর্থনৈতিক অঞ্চলের বালু লুট বন্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ

ইনকিলাবে সংবাদ প্রকাশের পর

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০২২, ১:১৭ পিএম

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ইনকিলাবে ‘বাধা উপেক্ষা করেই অর্থনৈতিক অঞ্চলের বালু লুট’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঈশ্বরগঞ্জকে সরেজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থান নিতে নিদের্শ দিয়েছে। মঙ্গলবার জেলা রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মোঃ তরিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে ওই নিদের্শ দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, ব্রহ্মপুত্র নদের চরাঞ্চলকে ইতোমধ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে প্রতিদিন ট্রাকে করে বালু উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে একটি প্রভাবশালী মহল। অর্থনৈতিক অঞ্চল থেকে প্রায় এক বছর ধরে ৫ কোটি ঘনফুটের এ বালু প্রভাবশালীর হস্তক্ষেপে নেওয়া শুরু হয়। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন এবং সংসদ সদস্যের নিষেধাজ্ঞার পরও থামছে না বালু লুটপাট। এরি প্রেক্ষিতে জাতীয় দৈনিক ইনকিলাবে গত ২৪মে ‘বাধা উপেক্ষা করেই অর্থনৈতিক অঞ্চলের বালু লুট’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।

উল্লেখ্য যে, আগামী ১৫ বছরে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু করা সরকারী সংস্থা বাংলাদেশ অথনৈতিক অঞ্চল (বেজা) নতুন করে ৯টি অর্থনৈতিক স্থান চুড়ান্ত করেছে। তার মধ্যে সরকারীভাবে পাঁচটির একটি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ও রাজিবপুর ইউনিয়নের চররামমোহন মৌজায় ৪২৩ একর জমিতে। এ অর্থনৈতিক অঞ্চলটির ফলে উপকৃত হবে ঈশ্বরগঞ্জ, নান্দাইল, ত্রিশাল, গৌরীপুর, কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর অঞ্চলের মানুষ। জেগে উঠা বালুচরে অর্থনৈতিক অঞ্চলের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হওয়ায় এলাকাবাসী উল্লোসিত। অর্থনৈতিক অঞ্চলের শিল্পকারখানায় কাজ করে এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পাল্টাবে বলে আশা করছেন সাধারন মানুষ।

২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন করা প্রস্তাবিত এই অর্থনৈতিক জোনে বিআইডবিøওটিসি পাশের ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে ৪কোটি ৮৩লক্ষ ঘনফুট বালু উঠিয়ে কার্যক্রম শুরু করে। এ অবস্থায় সেখান থেকে বালু ট্রাক ভর্তি করে নিয়ে যাচ্ছে একটি প্রভাবশালী মহল। তাদের দেখাদেখি পাশেই ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে স্থানীয় আরেকটি চক্র। এতে নদের পাড় ভেঙ্গে হুমকীর মুখে পড়ছে গ্রামবাসি। কয়েক বছর ধরে এই কর্মকান্ড অব্যাহত থাকায় বিলীন হয়েছে অনেক গ্রাম। অন্যদিকে অর্থনৈতিক অঞ্চলের বালু শতশত ট্রাক ভর্তি করে নেওয়ায় অর্থনৈতিক জোনের কর্মকান্ডে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজা জেসমিন বলেন, নির্দেশনা পাওয়ার পর পরই ওই এলাকা প্ররিদর্শন করা হয়েছে। বালু লুট বন্ধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ