Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জিয়াউর রহমানের অবদানের কথা বললে শেখ হাসিনা খুবই মন খারাপ করেন : রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০২২, ১২:০০ এএম

মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের অবদানের কথা বললে শেখ হাসিনা খুবই মন খারাপ করেন বলে মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, যেই কাজ তার (শেখ হাসিনার) বাবার করার কথা ছিল সেই কাজ জিয়া কেন করলো? সেই রাগে ক্ষোভে বরেণ্য মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানকে প্রতি মুহূর্তে প্রতি ক্ষণে তার চরিত্র হনন করার জন্য মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছেন। কিন্তু যিনি স্বচ্ছ সূর্যের আলোর মতো স্পষ্ট তাকে ছোট করা যায় না। তার আমলে মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পেরেছে।
গতকাল মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে কৃষকদলের উদ্যোগে দরিদ্রের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, জিয়াউর রহমানকে হত্যা করলো কে সেটা আমরা জানি। আমরা বলতে চাই না। কিন্তু মানুষের মনে একটা প্রশ্ন শেখ হাসিনা ১৭ মে বাংলাদেশে আসলেন আর ৩০ মে জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হলো। এটা নিয়ে মানুষ নানা কথা বলে। শেখ হাসিনার পথকে কন্টক মুক্ত করার জন্য জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে এ কথা অনেকেই বিশ্বাস করে। কারন শেখ হাসিনা দেশে আসার মাত্র ১৩ দিনের মধ্যেই জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। শেখ হাসিনার দেশী এবং আন্তর্জাতিক প্রভুদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এটি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা এখন তার পথের কাঁটা মনে করেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে। সেই কারনে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নানান মামলা আর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ, একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসনে বিরোধীদল থাকবে না এটা তার মেন্টালিটি, এই মানসিকতার কারনে তিনি বিরোধী দল রাখতে চান না। তিনি যাতে নির্বিঘেœ বাংলাদেশে তার কর্তত্ব অর্জন করতে পারেন আবার বাকশাল কায়েম করতে পারেন, গুম-খুনের পথ অবলম্বন করে তার ক্ষমতায় যাওয়ার পথ সুগম হয় সেই কারনে জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী ও সরকার শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে দেয়নি সরকার এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, মানিকগঞ্জ, বরিশালে হামলা করা হয়েছে, ২৯ মে বগুড়ায় হামলা করা হয়েছে। এটা কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, মিছিল, মিটিং না তারপরও সারাদেশে হামলা করা হয়েছে, রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করা সকল দলের গণতান্ত্রিক অধিকার কিন্তু বাংলাদেশে এটি করা মহাপাপ।
কৃষকদলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় এসময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ বক্তব্য দেন।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ