রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মাদারীপুর সরকারি কলেজ প্রিন্সিপালের কক্ষ ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। গত সোমবার বেলা ১২টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতরেই এ ঘটনা ঘটে। উত্তেজনা বিরাজ করায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। স্থানীয় ও কলেজ সূত্র জানায়, মাদারীপুর জেলা আ.লীগ ও ছাত্রলীগ দু’ভাগে বিভক্ত। একাংশের নেতৃত্বে রয়েছে স্থানীয় এমপি ও আ.লীগের সভাপতি মন্ডলির সদস্য শাজাহান খান। অপর গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাদারীপুর সরকারি কলেজ থেকে একটি স্মরণিকা বের করার উদ্যোগ নেয়া হয়। এতে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জনপ্রতিনিধিদের বাণী দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর সাথে আ.লীগ নেতা বাহাউদ্দিন নাছিমের বাণী যোগ করাকে কেন্দ্র করে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের তার অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে অধ্যক্ষ প্রফেসর জামান মিয়ার কক্ষ ঘেরাও দেয়া হয় এবং প্রিন্সিপালর কক্ষও ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মাদারীপুর সরকারি কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ সরদার বলেন, এটা সরকারি সম্পদ। ছাত্রলীগের কোন কর্মী জড়িত থাকলে তা তদন্ত করে দোষিদের সনাক্ত করুক। আমরাও দোষিদের বিচার চাই।
ছাত্রলীগের সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রিপন হাওলাদার বলেন, ‘আমরা সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে থেকে আন্দোলন করে আসছি। কিন্তু ছাত্রলীগের কতিপয় কর্মী কলেজের পরিবেশ নষ্ট করছে। আমরা এর বিচার চাই।’
এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর থানার ওসি (তদন্ত) সালাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, উত্তেজনা থাকায় কলেজ ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মাদারীপুর সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর জামান মিয়া বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাদারীপুর সরকারি কলেজ থেকে একটি স্মরণিকা বের করার উদ্যোগ নেয়া হয়। স্মরণিকায় কাদের বানী ও ছবি ছাপা হবে সেটা নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এ কারণে আমরা ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সাথে দফায় দফায় মিটিং করেছি কিন্তু কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। পরে স্থানীয় এমপি শাজাহান খান সিদ্ধান্ত দেয়। এতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বাণী ও ছবি ছাপা হবে। এটা জানার পরই একটি মহল আমার কক্ষে হামলা চালিয়েছে। আমি বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।