বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, শহীদ জিয়া বাকশালের ধ্বংসস্তূপের ওপর বহুদলীয় গণতন্ত্রের পতাকা উড্ডীন করেছিলেন। আর সেই বহুদলীয় গণতন্ত্রের হাত ধরেই বাকশালের কফিন থেকে আওয়ামী লীগের পুনঃজন্ম হয়েছিল এবং
শেখ হাসিনা স্বেচ্ছানির্বাসন থেকে দেশে ফিরে রাজনীতি করতে পারছেন। কিন্তু ন্যূনতম কৃতজ্ঞতাবোধ না থাকায় আওয়ামী লীগ শহীদ জিয়াসহ জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু করেছে। শহীদ জিয়ার সাথে সাথে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সন্ত্রাস-নৈরাজ্য সৃষ্টি করে নিজেদের ব্যার্থতা,দুঃশাসন,দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি,অর্থনৈতিক দূরাবস্থা আড়াল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ।
বিএনপি'র সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আজ দিনব্যাপী ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলায়
বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন কর্মসূচীতে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন।
আজ বুধবার ধোবাউড়া উপজেলা
বিএনপি স্থানীয় কার্যালয়ে, ধোবাউড়ার বাঘবেড় ইউনিন
বিএনপির উদ্যোগে মুন্সিরহাট বাজারে এবং হালুয়াঘাট উপজেলার ধারা বাজারে ইউনিয়ন
বিএনপি, ছাত্র দল উপজেলার আমতৈল ইউনিয়নের নাগলা বাজারে, পৌর ছাত্র দল পৌর শহরের ধান হাটা জামে মসজিদে, কৃষক দল কৈচাপুর ইউনিয়নের দর্শা নদীর পাড়ে, মহিলা দল হালুয়াঘাট পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল, ও দুঃস্থদের মধ্যে খাদ্য ও কাপড় বিতরণ করে।
বিকেলে হালুয়াঘাট উপজেলার ধারা ইউনিয়ন
বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা ও দেয়া মাহফিলের সাথে শহীদ জিয়ার কর্মময় জীবনের ওপর আলোকচিত্র ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনীও অনুষ্ঠিত হয়। বিপুল সংখ্যক মানুষ এসব কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।
এসব কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কোনো স্বার্থান্বেষী মহল ষড়যন্ত্র করে বা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে তাকে জনগণের হৃদয় থেকে মুছে ফেলতে পারবে না। তিনি বলেন শহীদ জিয়া তলা বিহীন ঝুড়ির অপবাদ ঘুচিয়ে দেশ ও জাতিকে উন্নয়নের মহাসড়কে তুলে স্বনির্ভর বাংলাদেশের পথে উন্নয়ন-উৎপাদনের মহা কর্মযজ্ঞ শুরু করেছিলেন। কৃষক,শ্রমিক,মহিলা,যুবকসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে জাতীয় উন্নয়নে সম্পৃক্ত করেছিলেন। সামরিক বাহিনী থেকে এসেও তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র ও রাজনীতি দিয়ে সমাজকে বিকশিত করেছিলেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শহীদ জিয়ার রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিকে এবং তাঁর রাজনীতি, জনপ্রিয়তাকে ভয় পায়। সেজন্য তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রযন্ত্রকে অপব্যবহার করে মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা ছড়ায়। কিন্তু,জনগণের হৃদয়ে যাঁর অবস্থান, তাঁকে কখনই ধ্বংস করা যাবে না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনই জনগণের ভোটে জয়ী হতে পারবেনা। অতীতেও তারা জনগণের ভোটে জয়ী হয় নাই। জনগণের ওপর তাদের কোনো আস্থা নাই। সে কারণেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সংবিধান থেকে একটি ফরমায়েসী রায়ের কারণে এক কলমের খোঁচায় বাতিল করে দিয়েছে। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন জনগণের উপর আস্থা থাকলে অবিলম্বে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন, জনগণকে তাদের পছন্দমতো প্রার্থী এবং প্রতীকে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিন। আওয়ামী লীগের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জনগণ কখনোই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে নাই।
ধোবাউড়া উপজেলা
বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মফিজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম কাজল, আনিসুর রহমান মানিক, অধ্যাপক আজহারুল হক,ফরহাদ রাব্বানী সুমন, মোয়াজ্জেম হোসেন খান লিটন, হালুয়াঘাট উপজেলার ধারা ইউনিয়ন
বিএনপি, উপজেলা ও পৌর ছাত্র দল, মহিলা দল,কৃষক দলের কর্মসূচিতে উপজেলা
বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, উপজেলা
বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আসলাম মিয়া বাবুল, আবু হাসনাত বদরুল কবীর, আবদুল হাই,নাদিম আহম্মদ,
বিএনপি নেতা আরফান আলী,পরান আলী কান্চু, বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজিম উদ্দিন, আবদুল হামিদ, মোনানায়েম হোসেন খান তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, , শহিদুল হক খান সুজন, কাজী ফরিদ আহমেদ পলাশ, আবদুল আজিজ খান, হোসনে আরা নীলু, আনোয়ার হোসেন,আবদুল হান্নান, সোহেল আজাদ, রুহুল আমিন খান, আলী মামুদ, আব্দুল মালেক,আব্দুল মজিদ,আব্দুল জলিল,আব্দুল গণি,মশিউজ্জামান, মেহেদী হাসান দুলাল, আসাদুজ্জামান সুজন, প্রভাষক মাসুম বিল্লাহ, আলী আমজাদ খান দীপু, তোফাজ্জল হোসেন, আবু রায়হান, নাইমুর আরেফিন পাপন, তাজবীর হোসেন অন্তর, সিরাজুল ইসলাম শাহীন, এম আর আল আমিন, এমদাদুল হক অনন্ত, নাদিম আহমেদ, মির্জা তাইয়েব, সুব্রত পাল, সাদ্দাম হোসেন, বক্তব্য রাখেন।
হালুয়াঘাট উপজেলা
বিএনপির উদ্যোগে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ২৯ মে, রবিবার,হালুয়াঘাট সাধারণ পাঠাগারে আলোচনা, দোয়া, আলোকচিত্র ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।