Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডুবানো চুবানোর রাজনীতি আর নয়

সাবেক ছাত্রনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক সংগঠক, শিল্পপতি ও পেশাজীবী নেতৃবৃন্দের এবি পার্টিতে যোগদান অনুষ্ঠানে এবি পার্টি নেতৃবৃন্দ

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ মে, ২০২২, ৯:১৮ পিএম

বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের সাবেক নেতা, সাংস্কৃতিক সংগঠক, তরুণ শিল্পপতি সহ একদল নবীন-প্রবীণ রাজনৈতিক কর্মীর এবি পার্টিতে যোগদান উপলক্ষ্যে সোমবার ৩০ মে বিকেল ৪ টায় পল্টন, বিজয়নগরস্থ এবি মিলনায়তনে এক সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।

এবি পার্টির আহ্বায়ক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান এএফএম সোলায়মান চৌধুরীর সভাপতিত্বে যোগদান ও সংবর্ধনা সভায় দলীয় নেতাদের হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে এবি পার্টিতে যোগ দেন সাবেক ছাত্রনেতা ও বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক শাহাদাত উল্লাহ টুটুল এবং তরুণ শিল্পপতি আশরাফ মাহমুদ রুমেল সহ একদল কর্মী।

শাহাদাত উল্লাহ টুটুল বিশ শতকে ঢাকা মহানগরে একটি ইসলামী ভাবাদর্শের ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্ব দেন এবং পরে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একজন সাংস্কৃতিক সংগঠক ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম ব্যবস্থাপক হিসেবে সুপরিচিত। আশরাফ মাহমুদ রুমেল জাতীয়তাবাদী মতাদর্শের ছাত্র রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্প পরিবারের তরুণ উদ্যোক্তা। এই দুই প্রতিভাবান তরুণ নেতার নেতৃত্বে যোগদানকৃত কর্মীরা এবি পার্টিকে গতিশীল সংগঠনে রূপান্তরিত করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

দলে যোগদানকৃত অন্যান্য নেতৃবৃন্দ হলেন, পাবনা সাথীয়ার বিশিষ্ট সমাজ সেবক উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ রওশন আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম চুন্নু, বিশিষ্ট সাংবাদিক মাহমুদা আক্তার আসমা, ব্যবসায়ী ও নারী নেত্রী নিশি ইসলাম সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী।

দলে নবাগতদের স্বাগত জানিয়ে সভায় বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী তাজুল ইসলাম, দলের সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মন্জু, যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, বিএম নাজমুল হক। সংবর্ধনা সভা সঞ্চালনা করেন এবি যুব পার্টির কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক এবিএম খালিদ হাসান।

সভাপতির বক্তব্যে এএফএম সোলায়মান চৌধুরী বলেন, আমার বাংলাদেশ পার্টি ২০২১ সালে জন্মগ্রহন করলেও গন্তব্য অনেক দূর। ইতোমধ্যে পার্টি গোটা দেশে সাড়া ফেলতে পেরেছে। রাজনীতিতে নতুনত্ব আনতে হবে, এখন সময় নবীনদের। পঞ্চাশ বছরের জঞ্জাল যুক্ত রাজনীতি চলতে পারেনা। এটি আমরা চলতে দিতে পারিনা। নতুনদের স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, আগামীদিনে তাদের নেতৃত্বেই সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের ভিত্তিতে বাংলাদেশকে একটি কল্যাণরাষ্ট্রে পরিনত করা পর্যন্ত এবি পার্টি দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, সাবেক ছাত্রনেতা শাহাদাতুল্লাহ টুটুল ও আশরাফ মাহমুদ রোমেল সহ নবাগতদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, এবি পার্টি এমন এক বক্তব্য ও কর্মসুচি নিয়ে মাঠে এসেছে যারা দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসে তারা একসময় এখানেই একত্রিত হবে ইনশাআল্লাহ। পঞ্চাশ বছর শাসন আর শোষনের মাধ্যমে দুইটি দল মানুষকে আকর্ষণ করার কোন পর্যায়ে আর নেই। কাজেই নতুন রাজনীতি আর নতুন নেতৃত্বই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

বিশিষ্ট আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, একটি দল স্বাধীনতার চেতনা বিক্রি আরেক দল একজন দেশপ্রেমিক রাষ্ট্র নায়ককে বিক্রি করে আর চলতে পারবেনা। আমরা নতুন দল, নতুন রাজনীতির উদ্যোগ এজন্যই নিয়েছি যেন আমাদের সন্তান, আমাদের নতুন প্রজন্ম কোন ব্যাক্তি রাজনীতির দাসে পরিনত না হয়। আমরা দেশের মানুষকে সকল গোলামীর জিঞ্জির থেকে মুক্ত করে স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রের আলোকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবো ইনশাআল্লাহ।

সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মন্জু বলেন, আমরা করোনার চ্যালেঞ্জিং সময়ে নতুন রাজনীতি শুরু করেছিলাম নানা সমস্যা মাথায় রেখে। আজ আমাদের আনন্দের দিন কারন ঢাকার রাজপথে নেতৃত্ব দেয়া সাবেক ছাত্রনেতারা আজ আমাদের সাথে যুক্ত হচ্ছেন। আমরা নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করেছি, কিন্তু নির্বাচন কমিশন নিবন্ধনের জন্য বিপরীতমুখী অনেক শর্ত রেখেছে আমরা তার প্রতিবাদ জানাই, সংশোধনের দাবি জানাই। দেশ আজ চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। একদল যখন আরেকদলকে ডুবানো চুবানোর রাজনীতিতে মেতেছে সেই সময়ে আমাদের নতুন নেতারা যুক্ত হচ্ছেন। অধিকার আদায়ের আন্দোলনে আমরা একত্রে নেতৃত্ব দিবো ইনশাআল্লাহ।
এবি পার্টিতে যোগ দিয়ে শাহাদাতুল্লাহ টুটুল বলেন, দেশ ও দেশের মানুষের শত্রু যখন জালিম, শোষক শ্রেণি সেই সময়ে আমাদের বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। শুধুমাত্র গোপন আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তণ সম্ভব নয়। গণমানুষের জন্য কর্মসূচি প্রদানের মাধ্যমে রাজনীতিতে সক্রিয় ভুমিকাই একটি সমাজ পরিবর্তন করতে পারে। সেজন্যই আজকের এই নতুন সুচনা।

সংবর্ধিত নেতৃবৃন্দ ছাড়াও সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমদ ভূঁইয়া, সহকারী সদস্য সচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, অর্থ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম এফসিএ, মাহনগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন, সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।



 

Show all comments
  • আব্দুল বাছেত ৩০ মে, ২০২২, ১১:২৯ পিএম says : 0
    স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে যে দলগুলো দেশ পরিচালনা করেছে, তারা ক্ষমতায় যাওয়ার পূর্বে দেশের মানুষকে নানা চমকপ্রদ কথা বললেও ক্ষমতায় যাওয়ার পর জোর করে ক্ষমতায় থাকার জন্য নানা কূটকৌশল অবলম্বন, লুটপাট তন্ত্র প্রতিষ্ঠা, আমলা তন্ত্রের তোষন করে করে নাগরিকদের দাসানুদাসে পরিনত করা ছাড়া আর কোন কিছুই করতে পারেনি। এ কারণে দেশবাসী দেশের রাজনৈতিক সাংস্কৃতির পরিবর্তন চায়।এবি পার্টি মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা পত্রে উল্লেখিত তিন মূলনীতি সাম্য,মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের ভিত্তিতে দেশকে আক্ষরিক অর্থেই একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিনত করার সময়োপযোগী রাজনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যদি দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক কর্মীরা এগিয়ে আসে, তাহলে দেশ আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ