রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
বিরামপুরের দিওড় ইউনিয়নের সৈলহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবার রহমানের বিরুদ্ধে সরকারি স্কুল মাঠ দখল করে বিল্ডিং নির্মাণের প্রতিবাদে এলাকাবাসী বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যায়, সৈলহার সরকারি প্রাইমারি স্কুলটি পূর্বে বেসরকারি ছিল, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিবন্ধন শর্ত অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক মাহবুবার রহমান দলিল নং ৫৩০৩ তাং ২৮/১১/১৯৯৩ ইং দাগ নং ১০২৩, খতিয়ান নং- ৩৮৩, পরিমাণ ২৯ শতাংশ জমি, পরবর্তীতে ২২/৬/১৯৯৪ তারিখে দলিল নং ৩৯০৭, একই দাগে ৩৩ শতাংশ জমিসহ মোট ৬২ শতাংশ জমি সৈলহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পক্ষে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর দানপত্র রেজিস্ট্রি প্রদান করেন। বর্তমানে স্কুলটি জাতীয়করণ হয়। স্কুলের ৬২ শতাংশ জমি মধ্যে ৩৩ শতাংশ জমি স্কুলের নামে দেখিয়ে ২৯ শতাংশ জমি জবর দখল করে নেয় প্রধান শিক্ষক মাহবুবার রহমান। প্রধান শিক্ষক স্কুলের মাঠ অবৈধ দখল করে নেয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে পারছে না। মাঠে বিল্ডিং তৈরি করায় ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে যাতায়াত করতে পারছে না। ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।
অভিভাবকদের অভিযোগে জানা যায়, ২৯ শতাংশ জমির দলিল গোপন করে ৬৯ সালের (পোড়া-যাওয়া) নতুন দলিল সৃষ্টি করে তার ৩ ভাইবোনের নাম দেখিয়ে অন্য একটি দলিল সৃষ্টি করে স্কুল মাঠ দখল করে প্রধান শিক্ষক।
এ ব্যাপারে স্কুল কমিটির সভাপতি ইমরুল কায়েস জানান, প্রধান শিক্ষক মাহবুবার রহমান খেলার মাঠ দখল করে বিল্ডিং নির্মাণ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে দাখিল করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক নির্বাহী অফিসারের শুনানিতে অংশগ্রহণ না করে কাগজপত্র না দেখিয়ে জোরপূর্বক স্কুল মাঠে স্থাপনা নির্মাণ করছে বলেও জানান।
উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু এ বিষয়ে জানান, প্রধান শিক্ষক স্কুলের খেলার মাঠ দখলের বিষয়ে তিনি একটি অভিযোগ পেয়েছেন তদন্তপূর্বক উক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকার বলেন, প্রধান শিক্ষক সরকারি স্কুল মাঠে বিল্ডিং নির্মাণ করছেন সংবাদ পেয়ে গত শুক্রবার অবৈধ বিল্ডিং নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। উক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিরামপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মিনারা বেগম জানান, স্কুলের জায়গা দখলের বিষয়ে তাকে কয়েকবার সতর্ক করা হলেও তিনি জোরপূর্বক স্কুল মাঠে বিল্ডিং নির্মাণ করছেন। প্রধান শিক্ষকের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান।
অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মাহবুবার রহমান বলেন, দুই দলিলে জমি দেয়া হয়েছে ঠিক। ৩৩ শতক জমি স্কুলের নামে রয়েছে বলেও তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।