Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সড়ক ভেঙে খালে, বাস চলাচল বন্ধ আড়াই মাস

রাজাপুর (ঝালকাঠি) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ নভেম্বর, ২০১৬, ৯:৩৪ পিএম

ঝালকাঠির রাজাপুর-কাঁঠালিয়া-আমুয়া সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় খানাখন্দ তৈরি হয়ে এবং কয়েক স্থানে সড়ক ভেঙে খালে পড়ে যাওয়ায় সড়ক সংকীর্ণ হয়ে প্রায় আড়াই মাস ধরে বাসসহ ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ ঝুঁকি নিয়ে টেম্পো, নছিমন, করিমন, আটোরিক্সা কিম্বা মোটরসাইকেলে যাতায়াত করছে। এতে প্রায়শ ঘটছে দুর্ঘটনা। অন্যদিকে পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকায় এসব এলাকার ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সড়ক নির্মাণ এবং সংস্কারে নি¤œমানের উপকরণ ব্যবহার করায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। তবে সড়কটি সংস্কারের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে বলে সড়ক ও জনপদ বিভাগ জানিয়েছে। এছাড়া বাস চলাচল বন্ধ না থাকায় টেম্পো ও মোটরসাইকেল চালকরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং যাত্রীদের সাথে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, রাজাপুর-কাঁঠালিয়া-আমুয়া-বামনা-পাথরঘাটা সড়কে প্রতিদিন দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক হাজার যাত্রী যাতায়াত করে এ সড়ক দিয়ে। এই সড়কের রাজাপুর-কাঁঠালিয়ার-আমুয়া ৩৭ কি.মি. অংশে বিভিন্ন জায়গায় বড়বড় গর্ত ও খানাখন্দক তৈরি হওয়াসহ কোথাও কোথাও ভেঙে খালে পড়ে যাওয়ায় সংকীর্ণ হয়ে গেছে। ফলে দীর্ঘ আড়াই মাস ধরে এ সড়কে বাসসহ ভারী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে এ সব এলাকার মানুষকে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া হয়ে ঘুরা পথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন করতে হচ্ছে। যাতে অর্থ এবং সময়ের অপচয় হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, এ সড়ক সংলগ্ন যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে টেম্পো, নছিমন, করিমন, অটোরিক্সা কিম্বা মোটরসাইকেলে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে। কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, বাস না চলায় অতিকষ্টে টেম্পোতে গাদাগাদি ও ঝুঁকি নিয়ে স্কুল-কলেজে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ফলে শিক্ষার্থীরা সঠিক সময়ে ক্লাসে যেতে পারছে না। বিপাকে পড়েছেন চাকরিজীবীরাও। এছাড়া ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করায় প্রায়শ ঘটছে দুর্ঘটনা। স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়ক নির্মাণ এবং সংস্কারে নি¤œমানের উপকরণ ব্যবহার করায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কটির বিভিন্ন স্থানে হাজারো খানাখন্দ। কয়েকটি স্থানের সড়ক ভেঙে খালে পড়েছে। এতে সড়কটি সংকীর্ণ হয়ে গেছে। পীচ উঠে লালচে হয়ে গেছে। বাস না চলায় শিক্ষার্থীসহ যাত্রীরা বিভিন্ন স্থানে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে আছে। এই সড়ক সংলগ্ন কাঁঠালিয়ার আওরাবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান নকীব জানান, সড়কের দুরবস্থার কথা বারবার কর্তৃপক্ষকে জানানো সত্ত্বে¡ও জনসাধনের দুর্ভোগ লাঘবে কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। ফলে যাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে টেম্পো, নছিমন, করিমন, আটোরিক্সা কিম্বা মোটরসাইকেলে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে। ঝালকাঠি সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলি মো. খালেদ সাহেদ সড়কটির সমস্যার কথা স্বীকার করে জানান, সংস্কারের জন্য ১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু করা হবে। এরপর নির্বিঘেœ যানবাহন চলাচল করতে পারবে। দ্রুত গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি সংস্কার করে যান চলাচলের উপযোগী করার দাবি রাজাপুর ও কাঁঠালিয়াসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ