বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গত বৃহষ্পতিবার খুলনায় হামলাতে বিএনপির ভণ্ডুল হওয়া সমাবেশের পর পুলিশ ওই রাতে অজ্ঞাত ৮শ’ নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলা ও গ্রেফতারের আতঙ্ক মাথায় নিয়েই খুলনায় গতকাল বেশ শো ডাউন করেছে বিএনপি।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনসহ গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি, দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহার এবং হেলমেটধারী ছাত্রলীগ-যুবলীগ ক্যাডারদের গ্রেফতারের দাবিতে নগরীতে বিশাল বিক্ষোভ মিছিলসহ শো ডাউন করে বিএনপি। গতকাল দুপুর ১২টায় খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনের সামনে থেকে মহানগর ও জেলা বিএনপির যৌথ আয়োজনে মিছিলটি শুরু হয়। এরপর সার্কিট হাউজ, স্টেডিয়াম মার্কেট, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, কেসিসি মার্কেট, জেলা পরিষদ ভবনের সামনের সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ হাদিস পার্ক সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। এখানে অনুষ্ঠিত পথসভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা, জেলা আহবায়ক আমির এজাজ খান, সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, মহানগর সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মো. তারিকুল ইসলাম জহির।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সিনিয়র সিটিজেনদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর করা কটূক্তির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে খুলনায় বিক্ষোভ সমাবেশ পুলিশের সহায়তায় সশস্ত্র হামলা চালিয়ে পণ্ড করে দেয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ ক্যাডাররা। পুলিশ প্রজাতন্ত্রের কর্মচারির দায়িত্ব ভুলে দলীয় ক্যাডারের ন্যায় আচরণ করে। পুলিশ বিএনপির সমাবেশের চেয়ার ও মঞ্চ ভাঙচুরে অংশ নেয়, যা বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের সরাসরি ভিডিও ফুটেজে প্রচার হয়েছে। পুলিশ নজিরবিহীন ইতিহাস সৃষ্টি করে তালা ভেঙ্গে বিএনপি অফিসে প্রবেশ করে, আসবাবপত্র ও কাঁচের গ্লাস ভাঙচুর করে, গুরুত্বপূর্ণ নথি ও কাগজপত্র লুটপাট করে। সেখান থেকে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, নারী নেত্রী সৈয়দা রেহানা ঈসাসহ বহু নারী কর্মীকে গ্রেফতার করে। সংঘর্ষের সময় ৪১ জনকে গ্রেফতারের পর রাতে পুলিশ বাদী হয়ে বানোয়াট মামলা দায়ের করে। শুক্রবার ১২ নারী নেত্রীকে জামিন দিলেও ২৯ জনকে জেল হাজতে পাঠায়।
পথ সভা থেকে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বিএনপি নেতারা বলেন, সরকারের পতন ঘণ্টা বেজে গেছে। হামলা চালিয়ে, মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে পতন ঠেকানো যাবেনা। তীব্র গণআন্দোলনের মুখে সরকার ও তার দোসররা পালাবার পথ পাবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।