Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেড়শ’ বছরের পুরোনো মসজিদ নিয়ে চরম বিরোধ

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ মে, ২০২২, ১২:০২ এএম

ফটিকছড়ির নানুপুর ঢালকাটায় অবস্থিত দেড়শ’ বছরের পুরোনো ‘মেহের আলী জামে মসজিদ’ নিয়ে কথিত ওহাবি-সুন্নির মধ্যে বিরোধ চরমে পৌঁছেছে। মূলত : মিলাদ-কিয়াম করা নিয়েই এ বিরোধ চলছে। এ বিরোধ এখন প্রতি জুমাউত্তর সংঘাতে রূপ নিয়েছে। এ ব্যাপারে সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষ্যে ফটিকছড়ি প্রেসক্লাব সভাপতি সৈয়দ জাহেদুল্লাহ কুরাইশী উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটিতে গত ২৩ মে’র সভায় প্রস্তাব উত্থাপন করলে কমিটির মূখ্য উপদেষ্টা ও স্থানীয় এমপি সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী একটি উপ-কমিটি গঠন করে দেন। এরপরও এমপিকে হেয় প্রতিপন্ন করণসহ মিথ্যাচার এবং দখল চেষ্টার প্রতিবাদে ওই মসজিদের মুতাওয়াল্লী মোহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ ফটিকছড়ি প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে গত শনিবার এক জরুরি সংবাদ করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মেহের আলী জামে মসজিদটি প্রায় ১৪০ বছর পূর্বে নানুপুর মৌজার ছুরানর বাড়ি নামক এলাকায় ১নং খাস খতিয়ানভূক্ত বিএস ৮১৯০নং দাগে স্থাপিত হয়। এই দাগের জমিটি মেহের আলী জামে মসজিদের অনুকূলে দীর্ঘ মেয়াদী বন্দোবস্ত প্রদানের জন্য বর্তমান মুতাওয়াল্লি হিসেবে আমি করলে চট্টগ্রামের ডিসি ‘৬ লাখ ৬৬ হাজার’ টাকা সরকারি কোষাগার জমা দিয়ে অগ্রক্রয় করার শর্তে আবেদনটি অনুমোদিত হয়।
তিনি বলেন, মসজিদটির নির্মাতা হলেন- ফটিকছড়ির খিরাম প্রেমপুর নিবাসী মরহুম মেহের আলী ছুফী নামক এক ধার্মিক ব্যক্তি। তাই উক্ত মসজিদ ‘মেহের আলী জামে মসজিদ’ নাম নামকরণ হয়। তার জীবিতকাল পর্যন্ত তিনি একাই মুতাওয়াল্লী হিসাবে মসজিদটি পরিচালনা করেছিলেন এবং তিনি মসজিদের জন্য প্রেমপুর মৌজায় আরএস ২২৩নং খতিয়ানভূক্ত আরএস ১৩৬৫ দাগে আরো ১.২০ একর জমি ‘ওয়াকফ ফি ছাবিলিল্লাহ’ করেছিলন।
তিনি বলেন, বিগত ২ নভেম্বর ২০১৬ তারিখ নতুন কমিটি হলে সে থেকে কয়েকজন দুস্কৃতকারী ক্ষমতার লোভে ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে আসছে।
সর্বশেষ গত ৮ মার্চ ওয়াকফ প্রশাসক আমাকে মুতাওয়াল্লী নিয়োগ করেন। পরে তারই নির্দেশক্রমে ফটিকছড়ি›র সাবেক ইউএনও মোঃ মহিনুল হাসান মসজিদে জমিদাতা ও সাবেক মুতাওয়াল্লীগণের ওয়ারিশদের নিয়ে ২৩ সদস্য বিশিষ্ট ব্যবস্থাপনা কমিটি করে দেন এবং তা ওয়াকফ প্রশাসক কর্তৃক অনুমোদিতও হয়।
সর্বশেষ গত ২৭ মে জুমার নামাজ শেষে মিলাদ-কিয়াম করার জন্য মাইক কেড়ে নিলে আমি প্রতিবাদ করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দুস্কৃতকারীরা আমার উপর আক্রমণ করে রক্তাক্ত করে দেয়। আমি তাদের এহেন ন্যাক্কারজনক হামলা, মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ