বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনা মহামারীর কারণে খুলনা-কলকাতা রুটে আন্তঃদেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধন এক্সপ্রেস বন্ধ হয়ে যায় ২০২০ সালের ১৫ মার্চ। ২ বছরেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর কলকাতা থেকে আজ রোববার দুপুর ১২ টা ৪৫ মিনিটে ১৯ জন যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি খুলনা পৌঁছে। ফিরতি ট্রিপে ৪৫ জন যাত্রী নিয়ে এক ঘন্টা পর পুনরায় কলকাতার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
খুলনা রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার জানান, রোববার সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে কলকাতার পুরোনো চিতপুরের আন্তর্জাতিক রেলস্টেশন থেকে ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ খুলনার উদ্দেশে রওনা দেয়। ১৯ জন যাত্রী নিয়ে বন্ধন এক্সপ্রেস ১৫ মিনিট দেরিতে ১২টা ৪৫ মিনিটে খুলনা স্টেশনে এসে পৌঁছেছে। পুনরায় দুপুর দেড়টায় ৪৫ জন যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
তিনি আরও জানান, ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর খুলনা-কলকাতার মধ্যে ৪৫৬ আসনের আন্তঃদেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেনটি চলাচল শুরু করে। ট্রেনটির নামকরণ করা হয় ‘বন্ধন’। করোনার কারণে ২০২০ সালের ১৫ মার্চ থেকে ট্রেনটির সার্ভিস বন্ধ রাখা হয়। ট্রেনটির ১০ টি বগির মধ্যে রয়েছে দুটি পাওয়ার কার, চারটি কেবিন বগি ও চারটি চেয়ার বগি। ট্রেনের ৪৫৬ আসনের মধ্যে ৩১২টি এসি চেয়ার ও ১৪৪টি প্রথম শ্রেণির আসন রয়েছে। কলকাতা-খুলনার মধ্যে দূরত্ব ১৭২ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশে ৯৫ কিলোমিটার ও ভারতে পড়েছে ৭৭ কিলোমিটার। ভারত থেকে প্রতি বৃহস্পতিবার ও রোববার ট্রেনটি আসতো। আবার সেই দিনই খুলনা-যশোর-বেনাপোল হয়ে ভারতে ফিরে যেত। এখনও সেভাবেই এটি চলাচল করবে। দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল ট্রেনটি। আজকের যাত্রায় যাত্রী কিছুটা কম রয়েছে। পরবর্তীতে যাত্রী আরও বাড়বে।
খুলনা রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, বন্ধন এক্সপ্রেস’ সকাল ৭টা ১০ মিনিটে কলকাতা থেকে যাত্রী নিয়ে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে বেনাপোল স্টেশনে পৌঁছাবে। পরে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে পৌঁছাবে ১২টা ৩০ মিনিটে। খুলনা থেকে আবার যাত্রী নিয়ে দুপুর দেড়টায় রওনা দিয়ে বেনাপোল পৌঁছাবে বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে। পরে বেনাপোলে রেলওয়ে ইমিগ্রেশনে পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটে রওনা দিয়ে কলকাতা পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে। সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আধুনিক এ ট্রেনে চেয়ার কোচ ভাড়া ১ হাজার ও কেবিনের সিট ভাড়া ১ হাজার ৫০০ টাকা। এছাড়া ভ্রমণ কর রয়েছে আরও ৫০০ টাকার। বেনাপোল স্থলবন্দরে যাত্রীর পাসপোর্ট, ভিসাসহ ইমিগ্রেশনের যাবতীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।