Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আ.লীগ মাফিয়ার রাজত্ব কায়েম করেছে

ঝিনাইদহে মির্জা ফখরুল

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ মে, ২০২২, ১২:০০ এএম

আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত না। তারা দেশকে মাফিয়ার রাজত্বে পরিণত করেছে, সন্ত্রাস কায়েম করেছে। মাফিয়া হচ্ছে তারা যারা অস্ত্র দিয়ে, জোর করে ক্ষমতা দখল করে। বর্তমান সরকার ঠিক সেটাই করেছে। ঝিনাইদহে জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

গতকাল শনিবার দুপুরে জেলা সদরের ডাকবাংলা আব্দুর রউফ ডিগ্রি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এসএম মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ ইসলাম অমিত, খুলনা বিভাগীয় বিএনপি সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এমএ মজিদসহ বিভিন্ন স্তরের নেতারা। এদিকে সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্যায়ে জেলা কমিটি গঠনের জন্য ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটের ফলাফল পরে ঘোষণা করা হবে বলে জানান আয়োজকরা।

সর্বশেষ ২০১৬ সালে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি সম্মেলন হয়েছিল। ৬ বছর পর কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বয়ে যায়। সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে নেতাকর্মীরা সমেমলনে আসতে থাকে। কলেজ মাঠে জড় হয়ে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে পুরো এলাকা মুখরিত করে তোলে। জেলা গঠনের লক্ষ্যে গত দুই বছরের অধিক সময় ধরে আহ্বায়ক কমিটির নেতৃত্বে চলে উপজেলা ও পৌর কমিটি গঠনের কাজ। এ সময়ে আহ্বায়ক কমিটি জেলা সদরসহ ৬ উপজেলার ১২ ইউনিটের মধ্যে কালীগঞ্জ বাদে বাকি ৫ উপজেলার ১০ ইউনিটের কমিটি গঠন সম্পন্ন করে।

সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, চোর ডাকাতের বিচার হবে এই দেশে। তারা বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বলে এখন আর কিছুই নেই। প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে, ছাত্রদের ধ্বংস করছে। এই আওয়ামী লীগ সরকারকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া হবে না। অতীতে যেভাবে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারকে পতন করান হয়েছিল, আগামীতেও ঠিক তাই করা হবে। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। সত্যিকার অর্থে দেশকে জনগনের রাষ্ট্রে পরিণত করা হবে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরো বলেন, এই সরকারের অধীনে আর কোন জাতীয় নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। তাদেরকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। এরপর সেই সরকার যে নির্বাচন কমিশন গঠন করবে তাদের অধীনে সর্বদলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, বর্তমানে সরকার পদ্মা সেতু নিয়েও রাজনীতি শুরু করেছে। জনগণের টাকা লুটপাটের উৎসবে পরিণত করেছে। এর সব হিসাব আগামীতে দেওয়া লাগবে। জনগণ সেই হিসাব নেবে নিরপেক্ষ সরকার গঠনের মাধ্যমে। আর বিএনপি হচ্ছে সেই ভরসার ঠিকানা।

সম্মেলনে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য মশিউর রহমান বলেন, আমরা বড় বড় নেতা সাজি, খালেদা জিয়া যখন কারাগারে যায় ঢাকা ছাড়া সারা বাংলাদেশে একমাত্র ঝিনাইদহ জেলাতে তার মুক্তির আন্দোলন হয়েছিল। তিনি আরো জানান, তারেক জিয়ার নেতৃত্বে বাংলার মানুষের মুক্তি হবে। আওয়ামী লীগ সরকার ১৪ বছর ক্ষমতায় আছে অথচ তারা ঝিনাইদহে একটি ইটও স্থাপন করতে পারেনি। অথচ বিএনপির আমলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ যেসকল উন্নয়ন হয়েছে তাই এখনও বহাল রয়েছে।

এই সম্মেলনে নিহত এক বিএনপি নেতার পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হয়। সেসময় ওই নেতার কন্যা সুমাইয়া বলেন, আমার বাবা ইমদাদুল হককে মিছিল থেকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। তার অপরাধ ছিল সে বিএনপির মিছিলে গিয়েছিল এবং বিএনপির রাজনীতি করত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মির্জা ফখরুল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ