Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বোরোর ভালো ফলনেও কৃষকের মলিন মুখ

আবদুল হালিম দুলাল, মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৯ মে, ২০২২, ১২:০৩ এএম

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বোরো ধানের ভাল ফলন হলেও হাসি নেই কৃষকের মুখে। উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি, অশনির প্রভাব, বাজারমূল্য কম, সরকারি ধান ক্রয়ে শর্তের বেড়াজালে দিশেহারা কৃষক উৎপাদিত বোরো ধান নিয়ে চিন্তিত।
উপজেলা কৃষি অফিসের দেয়া তথ্য মতে এবছর উপজেলায় প্রায় ৩ হাজার ৩শ’ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। উৎপাদন লক্ষমাত্র ধরা হয়েছে প্রায় ২০ হাজার মেট্রিক টন। হাইব্রীডের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে হেক্টর প্রতি ৬ টন এবং উফষী হেক্টর প্রতি ৫ টন। এবছর বোরোর ফলন ভাল হলেও ঘূর্ণিঝড় অশনির কারণে কৃষক অনেক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। অধিকাংশ পাকা ধান ক্ষেতে থাকাবস্থায় অশনির পানিতে তলিয়ে গেলে ধানে গজ ফুটে ও বিবর্ণ হয়ে মূল্য কমে গেছে।
সরেজমিনে জানা যায়, কৃষকরা ধার-দেনা ও এনজিও থেকে ঋত নিয়ে বোরো ধান আবাদ করেছে। প্রতি একর জমি আবাদে কৃষকের খরচ হয়েছে ৩৫/৩৬ হাজার টাকা (জমির বান্দা টকাসহ)। প্রতি একরে ধান উৎপাদন হয়েছে সর্বোচ্চ ৬০ মন। প্রতি মন ধানের বর্তমান বাজর মূল্য ৬৫০/৭০০ টাকা। বাজার মূল্য অনুযায়ি এক একরে উৎপাদিত ৬০ মন ধানের মূল্য আসে ৪০/৪২ হাজার টাকা। ৪০/৪২ হাজার টাকা থেকে উৎপাদন খরচ ৩৫/৩৬ হাজার টাকা পরিশোধ করে কৃষকের মজুরির টাকাও থাকে না। তারপরে আছে এনজিওর ঋণের কিস্তির খড়গ।
উপজেলার মিরুখালী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ও কৃষক আ. লতিফ হাওলাদার জানান, তার দেড় একর জমিতে প্রায় ৮০ মন ধান উৎপাদন হয়েছে। বাজারে মূল্য কম হওয়ায় বিক্রি করতে পারছে না।
খাদ্য গুদামের কর্মচারিদের হয়রানির কারণে সেখানে বিক্রি করতে উৎসাহ পাচ্ছেন না। তিনি স্থানীয় হাট-বাজারে সরকারি ক্রয় কেন্দ্র খুলে ধান ক্রয়ের দাবি জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা সঞ্জিব চাকমার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমরা সরকারি শর্ত মেনে স্বছভাবে ধান ক্রয় করি। কোন অভিযোগ থাকলে কৃষকদের লিখিত অভিযোগ করতে বলেন।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান জানান, উৎপাদিত ধানের মান ঠিক রেখে যাতে সরকারি ক্রয় কেন্দ্রে ধান বিক্রি করতে পারে সেজন্য কৃষকদের আমরা নিয়মিত পরামর্শ ও উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুনিরুজ্জামান জানান, ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে বোরো ধানের কিছু ক্ষতি হলেও উৎপাদন লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ