Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ, সমঝোতায় তৎপর প্রভাবশালীরা

চিলমারী(কুড়িগ্রাম)উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৮ মে, ২০২২, ৭:৩১ পিএম

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণি পড়–য়া এক শিশু শিক্ষার্থীকে (৯) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে অষ্টম শ্রেণি পড়–য়া এক কিশোরের (১৪) বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৭ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার রমনা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের পাত্রখাতা এলাকার মাঝি পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিশুটি অসুস্থ্য হয়ে পড়ায় তাকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে শিশুটির পরিবার। ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় প্রভাবশালীরা জোর তৎপরতা শুরু করেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশী কিশোর খেলার কথা বলে শিশুটিকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বাড়ির পাশে একটি স্থানে ‘ধর্ষণ’ করে। পরে রক্তক্ষরণের কারণে শিশুটি অসুস্থ্য হয়ে কান্নাকাটি শুরু করলে অভিযুক্ত কিশোর পালিয়ে যায়। পরিবারের লোকজন শিশুটিকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় বিশ্বজিৎ নামে স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসককে বাড়িতে ডেকে শিশুটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করে পরিবার। অবস্থা গুরুতর দেখে ওই চিকিৎসক শিশুটিকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন।
এদিকে ভুক্তভোগী শিশু ও অভিযুক্ত কিশোরের পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, ঘটনার পরপরই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও রমনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লাল মিয়া ভুক্তভোগী শিশুর পরিবারকে ঘটনাটি মিমাংসার পরামর্শ দেন। উভয় পরিবারকে নিয়ে তিনি ঘটনাটি সমাধান করে দেবেন বলেও জানান।
ভুক্তভোগী শিশুর ভাই জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা লাল মিয়া বিষয়টি মিমাংসা করে নিতে বলেছেন। তারাও চান বিষয়টি মিমাংসা হোক। এ নিয়ে তারা কোনও ঝামেলা বাড়াতে চান না বলেও জানান তিনি।
অভিযুক্ত কিশোরের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে ওই কিশোরের মা তার ছেলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, ‘একটা ঘটনা ঘটে গেছে। আমরা দুই পরিবার মিলে এটা সমাধান করে নেব।’
রমনা ইউনিয়নের পল্লী চিকিৎসক বিশ্বজিৎ বলেন, ‘ শুক্রবার দিবাগত রাত একটার দিকে আমাকে ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার ডেকে নিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে আমার কাছে এটি ধর্ষণ মনে হওয়ায় আমি কোনও ধরণের চিকিৎসা না দিয়ে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিয়ে চলে আসি।’
তবে ‘ধর্ষণের’ ঘটনা সমাধান করে দেওয়ার কোনও নির্দেশনা দেননি বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা লাল মিয়া। তিনি বলেন, ‘শনিবার সকালে এক পক্ষ থেকে ফোন পেয়ে বিষয়টি জানতে পেরেছি। এখনও কারও কাছে কোনও কথা হয়নি। আমি রৌমারীতে আছি। রৌমারী থেকে ফিরে বিষয়টি জানার পর করণীয় ঠিক করা যাবে।’
চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন,ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে ঘটনাটি ঘটেছে তার স্থান টি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ এলাকায়।পরিবার যদি সুন্দর থানায় অভিযোগ করতে চায় করতে পারে। আমরা এব্যাপারেও সহযোগিতা করবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ