Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শেষ হয়েছে জনি ডেপ-অ্যাম্বার হার্ডের মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ মে, ২০২২, ৪:১১ পিএম

শেষ হয়েছে জনি ডেপ আর অ্যাম্বার হার্ডের মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ। মানহানির অভিযোগ দিয়ে শুরু এই শুনানিতে দুই তারকার অতীত দাম্পত্যের তিক্ত অনেকটুকুই প্রকাশিত হয়ে পড়ে। জনি ডেপ এবং তার প্রাক্তন স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ডের মধ্যকার মিলিয়ন ডলারের মানহানির মামলার জুরিকে তার রায় বিবেচনা করার জন্য পাঠানো হয়েছে।

সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাত সপ্তাহ ধরে চলা এই সাক্ষ্যগ্রহণ বৃহস্পতিবার (২৬ মে) শেষ হয়েছে। এই শুনানিতে ব্যয় হয়েছে আদালতের ১০০ ঘণ্টার বেশি সময়। শেষ দিনের শুনানিতে আবার কাঠগড়ায় দাঁড়ান ‘অ্যাকুয়াম্যান’ তারকা হার্ড। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার কাঠগড়ায় দাঁড়ান তিনি।

বৃহস্পতিবার সাক্ষ্য দিতে দাঁড়িয়ে হার্ড বলেন, এই মামলায় জনি ডেপের পক্ষে দাঁড়িয়ে অনেকে সাক্ষ্য দিয়েছেন, এতে তিনি অবাক হননি। “সে একজন ক্ষমতাশালী ব্যক্তি, আর মানুষ ক্ষমতাবানদের পাশেই থাকতে চায়। এই কারণে আমি ওয়াশিংটন পোস্টে লিখেছিলাম।”

৩৬ বছর বয়সী হার্ড বলেন, “আমি প্রতি মুহূর্তে হয়রানির শিকার হয়েছি, নিগৃহের শিকার হয়েছি, হুমকির মুখে পড়েছি। মানুষ আমাকে মেরে ফেলতে চাইছে, সেটা তারা বলছেও।” তিনি আরো বলেন, “জনি বলেছিল, সে আমাকে ধ্বংস করবে, আমার ক্যারিয়ার ধসিয়ে দেবে, আমার জীবন থাকবে না। যার ফলে আমি নিজেই নিজের মৃত্যুর কামনা করব”

এর আগে প্রথমবার দাঁড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে জনি ডেপের চালানো শারীরিক নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছিলেন তিনি।

এদিকে ‘পাইরেটস অব দ্য ক্যারাবিয়ান’ তারকা জনি ডেপ অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ বরাবরই প্রত্যাখ্যান করে আসছেন। ৫৮ বছর বয়সী জনি ডেপ এর আগে আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে দাবি করেছিলেন, তিনি কখনো অ্যাম্বার হার্ড বা কোনো নারীকে আঘাত করেননি বরং তার সাবেক স্ত্রীই তাদের সম্পর্কের অনৈতিক সুযোগ নিয়েছে।

ভক্তদের উচ্ছ্বাসে ভাসিয়ে ২০১৫ সালে ঘর বেঁধেছিলেন এই দুই হলিউড তারকা। কিন্তু দুই বছরের মধ্যে ঘটে তাদের বিচ্ছেদ। এরপর ১৯১৮ সালে ওয়াশিংটন পোস্টে এক কলামে নিজেকে পারিবারিক সহিংসতার শিকার হিসেবে তুলে ধরেন অ্যাম্বার হার্ড। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৫ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানহানির মামলা করেন ডেপ। তার পাল্টায় ১০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে পাল্টা মামলা করেন হার্ড। সেই মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার ফেয়ারফ্যাক্স কাউন্টি আদালতে বিচার শুরু হলে দুজনের দাম্পত্যের এমন অনেক বিষয় প্রকাশ্যে আসে, যা হতাশ করে দুই তারকার ভক্তকূলকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ