Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাস্তার ওপর ময়লার ভাগাড়

লক্ষ্মীপুর-চাঁদপুর সড়কে চরম জনদুর্ভোগ

এ কে এম ফজলুল হক, রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৮ মে, ২০২২, ১২:০১ এএম

লক্ষ্মীপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক সড়কের পাশে জলাশয়ে দীর্ঘদিন ধরে রায়পুর পৌরসভার ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। ফলে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও আশপাশে বসবাসকারী লোকজন যেমন সার্বক্ষণিক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন, তেমনি দুর্গন্ধ থেকে বাঁচতে নাক চেপে চলাচল করতে হচ্ছে পথচারী ও বিভিন্ন যানবাহনে যাতায়াতকারী যাত্রীদের। এতে এক দিকে যেমন দূষিত হচ্ছে পরিবেশ তেমনি অন্যদিকে তৈার হচ্ছে নানা রকম স্বাস্থ্যঝুঁকি।

সড়কের পাশে বর্ডার বাজারস্থ আবর্জনা ফেলার স্থানটি লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলা ও চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী রায়পুর অংশে অবস্থিত হওয়ায় সেখানেই রায়পুরে প্রবেশ ও নির্গমনকারীদের জন্য বিদায় ও স্বাগত জানাতে রয়েছে দু’টি ফলক। কিন্তু আবর্জনা ফেলার স্থানটি সবসময় থাকে উৎকট দুর্গন্ধময়। মাঝে মাঝে উপচেপড়া আবর্জনার কারণে পথচারী চলাচলে তৈরি হয় বিঘ্ন। আবার প্রায়শই আবর্জনার স্তুূপে লাগানো আগুনের ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে পুরো এলাকা। এই পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বাজারের ব্যবসায়ী ও বাজার পরিচালনা কমিটির সদস্যসহ স্থানীয় ভুক্তভোগিরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ৫নং চরপাতা ইউনিয়নের একদম শেষ মাথায় লক্ষ্মীপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের বর্ডার বাজারে রাস্তার পাশে রয়েছে একটি জলাশয়। দীর্ঘদিন ধরে এখানেই রায়পুর পৌরসভার ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. লিটন নিজেকে জলাশয়টির ইজারাদারদের মধ্যে একজন দাবি করে বলেন, ‘আমরা ২০০৯ সাল থেকে ১০ জন সদস্য মিলে জেলা পরিষদ হতে জলাশয়টি ইজারা গ্রহণ করে মাছ চাষ করে আসছি। কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষ আমাদের সাথে কোন রকম আলোচনা ছাড়াই এখানে ময়লা আবর্জনা ফেলছেন। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে হয়রানির শিকার হতে পারি এই ভয়ে মুখ বুঝে সব সহ্য করে যাচ্ছি।’

বর্ডার বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আমিন বলেন, ‘পৌর কর্তৃপক্ষ আমাদের সাথে কোন আলোচনা না করে তাদের খেয়াল-খুশি মতো বাজারের পাশে জলাশয়ে আবর্জনা ফেলছেন। ফলে ব্যবসায়ীরা নিদারুন ভোগান্তি ও দুর্বিষহ কষ্টের মাঝে দোকান চালাতে বাধ্য হচ্ছেন।’

ভুক্তভোগী কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘এখানে ময়লা ফেলে আমাদেরকে ব্যবসায়িকভাবে চরম ক্ষতির মধ্যে ফেলা হয়েছে। ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধের কারণে বাজারে দিন দিন ক্রেতা কমে যাচ্ছে। আমরা প্রতিবাদ করলেও কেউ তা কানে তুলছেন না’।

এ সম্পর্কে ইউপি চেয়ারম্যান সুলতার মামুন রশীদ বলেন, ‘বিষয়টি পৌর মেয়রকে অবহিত করেছি। অতি দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন।’

জনসমাগমপূর্ণ বাজার এলাকায় ময়লা-আবর্জনা ফেলার বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বাহারুল আলম বলেন, ‘ধোঁয়া ও দুর্গন্ধে যেকোন ব্যক্তির ফুসফুস আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এতে বয়স্ক ও শিশুরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এ ছাড়াও যাদের শ্বাসকষ্ট রয়েছে তাদের শ্বাসকষ্ট আরো বেড়ে যেতে পারে।’

এ প্রসঙ্গে রায়পুর পৌর মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট বলেন, ‘বিষয়টি নজরে রয়েছে। যথাসম্ভব দ্রুত জনদুর্ভোগ লাঘবে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ