Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাত্র দুই লাখ টাকায় ঘরের মেঝে খুঁড়ে এক হাঁড়ি স্বর্ণ বের করে দেন তিনি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ মে, ২০২২, ১০:০৩ পিএম

গ্রামের সহজ সরল মানুষকে বোকা বানিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রুবেল মোল্লা (৪২) নামে এক কথিত ফকিরের বিরুদ্ধে। দুই লাখ টাকা দিলে ঘরের মেঝের মাটি খুঁড়ে তুলে দেওয়া হবে সেই হাঁড়ি ভর্তি সোনা, এমন প্রলোভন দেখিয়ে এক পরিবারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সেই পরিবারকে প্রতারিত করার অভিযোগ পাওয়া যায়।

বৃহস্পতিবার পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের পূর্ব কালাইয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পড়ে ওই প্রতারককে পুলিশ আটক করে নিয়ে গেছে।এ ঘটনায় প্রতারিত পরিবারের পক্ষ থেকে মুক্তা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেছেন। জানা যায়, প্রতারক রুবেল ভোলার বোরহান উদ্দিন উপজেলার আব্দুর রব মোল্লার ছেলে। তিনি নিজেকে বিশেষ ক্ষমতার মালিক দাবি করেন। রুবেল বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের পূর্ব কালাইয়া গ্রামে এক বাড়িতে আত্মীয় সম্পর্ক করে বসবাস শুরু করেন। এক পর্যায়ে ওই বাড়ির সদস্যদের বলেন, তার সঙ্গে ঝুমকা ও রতন মালা নামে দুই পরী থাকে। ওই পরী দিয়ে মাটির নীচের গুপ্তধন বের করে আনা সম্ভব। তাদের ঘরের মেঝের মাটির নীচে ৩টি হাঁড়ি আছে বলে দাবি করেন। প্রতি হাঁড়িতে তাকে দিতে হবে দুই লাখ টাকা।

বাড়ির সদস্য মুক্তা বেগম (২৫) বলেন, আমরা প্রতারক রুবেলকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা দিলে রাতের বেলা ঘর বন্ধ করে ঘরের মেঝের মাটি খুঁড়ে একটি মাটির হাঁড়ি বের করে। যার মধ্যে বেশ কিছু অলঙ্কার দেখা গেছে। অলঙ্কারগুলো স্থানীয় একটি সোনা রুপার দোকানে নিয়ে গেলে সেগুলো দস্তার তৈরি বলে জানান স্বর্ণালঙ্কার। তারপর প্রতারক রুবেলকে টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করলে এক পর্যায়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি পুলিশে খবর দেয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতারক রুবেল বাউফল এলাকার বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে এ ধরনের প্রতারণা করে ১০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে রুবেল মোল্লা বলেন, আমি মাত্র ২০ হাজার টাকা মুক্তাদের কাছ থেকে নিয়েছি। সোনার অলঙ্কার কীভাবে দেবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার মধ্যে অসীম শক্তি আছে। যার মাধ্যমে আমি হাঁড়ির এই গহনাগুলো সোনায় পরিণত করতে পারব। এই লোকগুলো আমাকে সেই সময় দিতে চায় না। আমাকে সময় দিলে আমি দিতে পারব। এ বিষয়ে বাউফল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতারককে আটক করে নিয়ে আসা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ