Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সরকারের নীরবতায় সিলেটের বন্যার্ত মানুষের দুর্ভোগ বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণে- টুকু

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৬ মে, ২০২২, ৮:১৩ পিএম

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, আকস্মিক বন্যায় সিলেটের মানুষ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বিএনপি মানুষের জন্য রাজনীতি করে তাই জনগণের দুঃখ দুর্দশায় জনতার পাশে থাকে। সিলেটের বন্যার্ত মানুষের দুঃখ আমরা অনুভব করতে পারি। তাই দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে আপনাদের পাশে সাধ্যমত সহযোগিতা নিয়ে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু এই বন্যায় সরকারের কাউকে জনগণ পাশে পায়নি। তবে সরকারের কেউ কেউ বিয়ের সাজে নৌকা নিয়ে বন্যার্তদের দেখে গেছেন আবার কোন মন্ত্রী ত্রাণ দিয়ে ফটোশেসন শেষে আবার ত্রাণ ফিরিয়ে নিয়েছেন। এই কঠিন সময়ে সরকারের নীরবতায় সিলেটের বন্যার্ত মানুষের দুর্ভোগ বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, তাই তারা জনগণের নিকট দায়বদ্ধ নয়। বিএনপি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার, ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার রাজনীতি করছে। নিজের অধিকার ফিরে পেতে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামতে হবে।

তিনি আজ বৃহস্পতিবার সিলেট জেলা বিএনপির উদ্যোগে কোম্পানীগঞ্জের উপজেলার ইছাকলস ইউনিয়নের পুটামারা বাজারে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন সাবেক মন্ত্রী টুকু।

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু আরো বলেন, সিলেটের যা উন্নয়ন হয়েছে তা কেবল মরহুম অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের আমলে হয়েছে। আর বর্তমান সরকার উন্নয়নের নামে লুটপাট করেছে। সকল সেক্টরে ভয়াবহ দুর্নীতির কারণে দ্রব্যমূল্য আজ জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। সয়াবিন তেল এখন ২০০ টাকা লিটার। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালেও দেশে বন্যা হয়েছে। তখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সকল মন্ত্রী এমপিকে এলাকায় বন্যার্তদের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। যতদিন বন্যা ছিল আমরা জনগণের পাশে ছিলাম কেউ এলাকা ছেড়ে যাইনি। আর আজকে সরকারের মন্ত্রী এমপিদের বন্যার্ত মানুষ খোঁজে পাচ্ছেনা। জনগণের প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই। এই সরকারকে ক্ষমতায় রেখে কোন নির্বাচনে বিএনপি যাবেনা। বিএনপি মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিতে প্রস্তুত রয়েছে। তাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, বন্যায় সিলেটের মানুষের দুঃখ দুর্দশার শেষ নেই। কিন্তু এই বিপদে সরকার জনতার পাশে দাড়ায়নি। ভোটচুরি করে ক্ষমতায় গিয়ে তারা জনগণের সাথে উপহাস করছে। দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তারা জনগণের জন্য নয়, নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে কাজ করছে। এই তাবেদার সরকারকে বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্টা না হওয়া পর্যন্ত মানুষের মুক্তি নেই। তাই সরকারের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক জনতাকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

বিএনপি নেতা বদরুল ইসলামের পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সুচীত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মামুনুর রশীদ মামুন, জেলা আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, এডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলার সাবেক সহ-সভাপতি ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সভাপতি হাজী সাহাব উদ্দিন, সাবেক আহ্বায়ক হাজী আব্দুল মনাফ, জেলা বিএনপি নেতা এ কে এম তারেক কালাম, ইকবাল আহমদ তপাদার, সদর উপজেলা সভাপতি আবুল কাশেম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক কুহিনুর আহমদ, বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ মোহাম্মদ শায়েস্তা মিয়া চেয়ারম্যান, মাহবুব আলম, এডভোকেট বুরহান উদ্দিন খন্দকার ফরহাদ, জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এডভোকেট মোমিনুল ইসলাম মুমিন, যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন মানিক, এডভোকেট সাঈদ আহমদ, বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল, ব্যারিষ্টার রিয়াশাদ আজিম আদনান হক, রফিকুল ইসলাম শাহপরান, মনিরুল ইসলাম তুরন, ইসলাম উদ্দিন, আকবর হোসেন, হাজী পাবেল, আবুল কালাম, ডা. নুরুল আমীন, শুক্কুর আলী, মনির হোসেন, আজির উদ্দিন, মতিউর রহমান, ফখরুল আলম, আলী আহমদ, আতিকুর রহমান, সামছুল হক, ফয়জুল করিম, সেবুল মিয়া, নান্নু মিয়া, সাজ্জাদ হোসেন দুদু, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিনার, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি আহসান, সহ-সভাপতি আব্দুল করিম জোনাক, রেজাউল ইসলাম সুমন, সহ সভাপতি কামরান আহমদ গিয়াস উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি অঙ্গ সংগঠন নেতৃবৃন্দের মধ্য থেকে ইকবাল হোসেন, গিয়াস উদ্দিন, রজন মিয়া, এমদাদুর রহমান ইনজাদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আবু আল হেলাল, ফরিদ বিন বাছিত, আশরাফ আলী, আবু বাক্কার, সোনা মিয়া সোহান, নিজাম উদ্দিন, জামাল উদ্দিন, জোনায়েদ আহমদ, আসাদুজ্জামান মামুন মিয়া, হযরত আলী, মোজাফফর, আনছার উদ্দিন, মাসুদ রানা, দিলোয়ার হোসেন, ওয়ারিছ তালুকদার, বোরহান উদ্দিন সাদ্দাম, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মামুন রাজ্জাক রুমেল, যুবদল নেতা লোকমানুজ্জামান, আমিন উদ্দিন রানা, আব্দুস সোবহান ও ফাহিম আহমদ প্রমূখ।

সভাপতির বক্তব্যে আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় সিলেটের জনজীবন বিপর্যস্ত হলেও এ নিয়ে ক্ষমতাসীন সরকারের কোন মাথা ব্যাথা নেই। তারা বন্যার্ত মানুষকে ত্রাণ না দিয়ে উল্টো পুলিশ দিয়ে লাঠিপেটা করেছে। এই সরকারের জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, তাই জনগণের প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই। ফ্যাসিস্ট সরকারের সীমাহিন জুলুম নিপীড়ন উপেক্ষা করে বিএনপি আর্ত মানবতার কল্যাণে পাশে রয়েছে। অবিলম্বে বন্যার্তদের মাঝে পর্যাপ্ত ত্রাণ ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ