বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আওয়ামীলীগের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না এবং কোন নির্বাচন হতে দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম।
তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের অধীনে কোন নির্বাচন হবে না, বিএনপি যাবে না এবং কোন নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। গত কয়েকদিন আগে নির্বাচন কমিশনার বলেছেন এখন আর দিনের ভোট রাতে হবে না। এর মাধ্যমে রাতের ভোটের সত্যতা তারা স্বীকার করেছেন। কিন্তু নিশি রাতের ভোট বার বার হবে না।
এ সময় দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, হতাশ হবে না, ইনশাল্লাহ বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। প্রস্তুতি নিন শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে ডাক আসবে। প্রয়োজনে আমরা ঢাকায় যাব। জনরোষে এই সরকারের মসনদ উড়ে যাবে। সময়ের আগেই রাষ্ট্র ক্ষমতা থেকে এই সরকারকে বিদায় করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) বিকেল সাড়ে ৫টায় ময়মনসিংহ নগরীর হরিকিশোর রায় রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে মহানগর, দক্ষিণ এবং উত্তর জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির চেয়ারপার্সন তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে কটুক্তি, হত্যার হুমকি এবং দেশব্যাপী সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠন মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতিকে বিপদে ফেলে আওয়ামীলীগ নেতারা ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল। ওই সময় জাতির মহাদূযোর্গে মেজর জিয়াউর রহমান বলপেন কলমে নিজের হাতে লিখে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামীলীগের কোন কৃতিত্ব নেই জানিয়ে বিএনপি এই নেতা বলেন, আওয়ামীলীগ মুক্তিযুদ্ধ করেনি। তারা দেশের গণতন্ত্র হরণ করেছেন, আইনের শাসন ধংস্ব করেছে। এখন দেশে কোন নির্বাচন নেই। শেখ হাসিনা বলে দেশের জনগন নাকি বিপুল ভোটে তাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে, এটা মিথ্যাচার।
এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। অবিলম্বে পদত্যাগ ক্ষমতা ছেড়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। নইলে জনরোধে পালানোর পথ পাবে না।
এ সময় গ্রেফতারকৃত বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকমৃীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান ম্লোগান দিয়েছেন ফয়সালা হবে রাজপথে। প্রস্তুত থাকুন অচিরেই চূড়ান্ত আন্দোলনের ডাক আসবে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক ডা: মাহাবুবুর রহমান লিটন। এ সময় যৌথভাবে সমাবেশ সঞ্চালনা করেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী ও উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ ওয়ারেস আলী মামুন।
এছাড়াও সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসমাম, সাবেক সংসদ সদস্য শাহ শহীদ সারোয়ার, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জি. এম. ইকবাল হোসাইন, মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও সদর আসনের নমিনি আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ, সাবেক সংসদ সদস্য শাহ নূরুল কবীর শাহীন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব জাকির হোসেন বাবলু, ফখরুদ্দিন আহমেদ বাচ্চু, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আহমেদ তায়েবুর রহমান হিরন।
এর আগে কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও মোনাজাতের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু করে বিএনপি নেতারা।
এদিকে পূর্বনির্ধারিত এই সমাবেশকে ঘিরে দুপুর থেকেই খন্ড খন্ড মিছিল সহকারে দলীয় নেতাকর্মীরা কোন ধরনের বিশৃংখলা ছাড়াই সভাস্থলে উপস্থিত হতে থাকে। এ সময় পৃথক পৃথক ভাবে সমাবেশে শোডাউন করেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের র্শীষ নেতারা। এছাড়াও সমাবেশ সফল করার জন্য ময়মনসিংহ-৪ সদরের আসনে বিগত নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী আবু ওয়াহাব আকন্দের নেতৃত্বে ছবি সম্বলিত ব্যানার ফেষ্ট্যুনে ব্যাপক শোডাউন করে তাঁর অনুসারিরা। এতে সমাবেশ স্থলে ভিন্ন আবহের সৃষ্টি হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।