বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কলাপাড়ায় মধুখালী শাখা নদীতে নির্মাণাধীন গার্ডার ব্রিজের মূল কাজ শেষ হলেও এখন সংযোগ সড়কের কাজ বন্ধ রয়েছে। এটির কাজ ২০২১ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার নির্দেশনা ছিলো। এর ফলে আশপাশের ১০ গ্রামের মানুষ পড়েছে চরম ভোগান্তিতে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মধুখালী শাখা নদীতে অবস্থিত ব্রিজটি ভেঙ্গে দীর্ঘ দিন পড়ে ছিলো। প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয় ৪৫ মিটার দীর্ঘ এই ব্রিজটি নতুন করে নির্মাণের জন্য কার্যাদেশ দেয়া হয় ২০১৯ সালে। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের ডিসেম্বরে। এরই মধ্যে দুই দফা সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু এখন কবে নাগাদ এটির কাজ শেষ হবে তা কলাপাড়ার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল ডিপার্টমেন্টও নিশ্চিত করে জানাতে পারেন নি।
ব্রিজের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় মিঠাগঞ্জের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। পূর্বমধুখালী আর পশ্চিম মধুখালীসহ আশপাশের ১০ গ্রামের মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছে শিশু ও বয়োবৃদ্ধ মানুষ। স্কুলগামী শতশত শিশুরা ঝুঁকি নিয়ে কাঠের পাটাতন দিয়ে চলাচল করছে এ পথে। কাঠের পাটাতনের ওই সাঁকোটিও ভেঙ্গে বড় ধরণের দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে। নিত্যকার এ দুর্ভোগ নিয়ে মানুষের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। ব্রিজটি বিধ্বস্ত হয়ে আনেচ প্যাদা নামের এক কৃষক মারা যায়। আহত হয় আরও চারজন। এরপরে অস্থায়ী ভিত্তিতে কাঠের পাটাতনের একটি নড়বড়ে সেতু দিয়ে হেঁটে চলাচল করছে মানুষ। তাও এখন জীর্ণদশায়, ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে। যানবাহন চলাচল বন্ধ দুই বছর। ব্রিজের মূল কাজ শেষ হয়েছে। পশ্চিম পাশের সংযোগ সড়কের জন্য বালু ফেলা হয়েছে। কিন্তু পূর্ব পাশে বালু ফেলার কাজ শুরু হয়নি। বর্তমানে সব কাজ বন্ধ রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানালেন। আর এভাবে ব্রিজটির কাজ বন্ধ থাকার ফলে মানুষের দুর্ভোগ ক্রমশ বাড়ছে। তারা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।
এ ব্যাপারে এলজিইডি কলাপাড়ার উপজেলা প্রকৌশলী মো. মহর আলী জানান, লার্জ ব্রিজ কনস্ট্রাকশন (এলভিসি) প্রকল্পের আওতায় এই ব্রিজটির কাজ ঢিমেতালে চলছে। গার্ডার বসানো হয়েছে। সøাপও বসানো হয়েছে। এপ্রোচ এখন বাকি আছে। ঠিকাদারকে কয়েক দফা চিঠি দিয়েছেন বলেও জানান এ প্রকৌশলী। এখন কবে নাগাদ এ কাজটি প্রকৃত অর্থে সম্পন্ন হবে তা এই দফতরও নিশ্চিত করতে পারেনি। জানালেন এ প্রকৌশলী গোটা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।