দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
আল্লাহ বলেন, “আমিই আকাশ হতে পানি বর্ষন করেছি; এরপর এর দ্বারা সর্বপ্রকার উদ্ভিদ উৎপন্ন করেছি। অতঃপর এ থেকে সবুজ ফসল উৎপন্ন করেছি, যা থেকে সবুজ পল্লব সৃষ্টি করি।” (আল-কোরআন) আল্লাহ আরও বলেন, “তুমি কি লক্ষ্য করোনা যে, আল্লাহ বারি বর্ষন করেন আকাশ থেকে, যাতে সবুজ শ্যামল হয়ে ওঠে ধরিত্রী। আল্লাহ সম্যক সূক্ষদর্শী, পরিজ্ঞাত।” (আল-কোরআন) সৃষ্টির আদিতে গাছপালা বলতে এ পৃথিবীতে কিছুই ছিল না। লক্ষ লক্ষ বছর আগে পৃথিবী তখন জলময় ছিল। সেই সময় উদ্ভিদের ও অন্যান্য জীব-জন্তুর মূল উপাদান “প্রোটোপ্লাজম” পানিতে দেখা গেল। এর চারদিকে একটি কঠিন আবরণ ছিল; আর ভেতরে ছিল সবুজ রং এর এক রকম পদার্থ যার নাম ক্লোরোফিল। হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) বলেন; “রাসূল (সাঃ) বলেছেন ঃ আসমান সমূহ ও জমিন সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বছর পূর্বেই আল্লাহ তার মাখলুকের তকদীর লিখে রাখেন। হুজুর (সাঃ) বলেন, আর (তখন) আল্লাহর আরশ আজীম (সিংহাসন) ছিল পানির উপর। (মুসলিম) গাছের সবুজ অংশ “ক্লোরোফিল” সূর্যের আলোর উপস্থিতিতে “কার্বন-ডাই-অক্সাইড” এবং পানির সহযোগে শর্করা জাতীয় খাদ্য প্রস্তুত করে এবং উপজাত হিসাবে বাতাসে “অক্সিজেন” ছেড়ে দেয়। মানুষ তথা সারা প্রাণীকূলের জীবন রক্ষার অপরিহার্য উপাদান-“অক্সিজেন” এভাবেই প্রকৃতিতে তৈরী হয় উদ্ভিদকে আশ্রয় করে। পায়ের নিচে তুচ্ছ ঘাসেও “অক্সিজেন” তৈরীর এই প্রক্রিয়া অতি নিখুঁতভাবে অবিরত কাজ করছে। সেজন্য একটা সবুজ পাতাকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ রহস্যময় রসায়ন গার’ বলা হয়। হযরত শেখসাদী (রঃ) তাই যথার্থই বলেছেন “বুদ্ধিমানের দৃষ্টিতে সবুজ বৃক্ষের প্রতিটি পত্র মহান স্রষ্টার পরিচয় লাভ করার জন্য এক একখানা মহাগ্রন্থ”। আল্লাহর নূরে (আলো) মোহাম্মদ (সাঃ) সৃষ্টি, আর তাঁর নূরে সমগ্র জগৎ। রাসূল, তাঁর জীবনে সবুজ রং বেশী ভালোবাসতেন। তাঁর শরীরে সবুজ কাপড়, মাথায় সবুজ পাগড়ী পড়তেন। রাসূল (সাঃ) বুর্দে ইয়ামানী চাদর; সবুজ রং জীবিতাবস্থায় ব্যবহার করতেন। ওফাতের পর ইয়ামানী বুটিদার সবুজ চাদরে তাঁকে ঢেকে রাখা হয়। বিজ্ঞানীদের মতে রঙ্গ হল আলোর ঢেউ। তাই সব রঙ্গ থেকেই অদৃশ্য আলোর দীপ্তি নিঃসৃত হয়। এ আলোমালা দেহে এবং তদীয় অবস্থার উপর গভীর প্রভাব সৃষ্ট করে। সবুজ বর্ণ; উদ্যান এবং পুষ্পের দিকে তাকানো-আত্মা ও দেহে প্রশান্তি বর্ধন করে। অনুরুপভাবে সবুজ পোশাক দেহে প্রশান্তি আনয়ণে বড়ই উপযোগী। ক্রোমোপ্যাথী (প্রজনন বিজ্ঞান) বিশেষজ্ঞদের মতে সবুজ পোশাক দেহের অসংখ্যরোগ উপসমের জন্য অসীম উপকারী। এ বিষয়ে রয়েছে বিশেষ্ণদের একটি পূর্ণাঙ্গ গবেষণা। উক্ত গবেষণা মতে সবুজ বসন নিম্নবর্ণিত রোগব্যাধি থেকে দেহকে রক্ষা করে। পাকস্থলীর আলসার; পাকস্থলীর পুরানো তেজসক্রিয়তা, স্নায়ু ও মস্তিষ্ক খিচুনী; নৈরাগ্য ব্যাধি; উচ্চরক্তচাপ; চর্মরোগ; বিশেষ করে যন্ত্রনাদায়ক ফুলা । চিন্তা করুন, রাসূল (সাঃ) এর একটি পছন্দনীয় বস্তু কতইনা মূল্যবান। (দ্রঃ সুন্নতে রাসূল (সাঃ) ও নব-বিজ্ঞান; ডা: তারেক মাহ্মুদ চুগতাঙ্গ। তিনি মদীনায় যেখানে বসে উম্মতের খবর রাখছেন দুনিয়া হতে যাবার পর তাও সবুজ গম্বুজ। ইসলামের রং সবুজ। তাই সৌদি আরব; বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পতাকায় সবুজের আধিক্য। সবুজের সমারেহা কেবল এ পৃথিবীতেই নয় জান্নাতেও এর অবদান রয়েছে। কোরানে বলা হয়েেেছ; “জান্নাতে বাগান থাকবে সবুজ শ্যামল গাছপালায় ভরপুর। ঝর্নাধারা সদা প্রবাহমান। আর ঘনো সবুজ শ্যামল সতেজ বাগান।” রাসূল (সাঃ) যখন মি’রাজে হযরত জিব্রাইল সহযাচ্ছিলেন। “ছিদ্রাতুল-মুন্তাহা’ পৌঁছে জিব্রাইল আর উর্ধে যেতে নারাজ। বোরাক ও থেমে গেল। রাসূল কে ওখান হতে নিয়ে যাবার জন্য আল্লাহর নিকট হতে সবুজ রং এর এক নূরের আসন প্রেরিত হলো। রাসূল, এতে আরোহন করলেন। সূর্যের আলোর চেয়ে এ আসন ছিল তেজোদিপ্ত ও উজ্জ্বল। এটা ছিল সিংহাসন আকৃতি বিশিষ্ট। রাসূল এটাকে “রাফÑরাফ” বলে উল্লেখ করেছেন। কোরআনে বলা হয়েছে, বেহেস্ত বাসিগণ “রাফ-রাফ” বা সবুজ বরণ আসন ও সুদৃশ্য বিছানায় হেলান দিয়ে বসবেন। এক হাদিসে আছে, “বেহস্তবাসিদের পোষাক হবে সবুজ”। আরও আছে; “বেহেস্তে শহীদদের আত্মা সুবজ পাখি হয়ে উড়ে বেড়াবে। মার্কিন দার্শনিক এমারসন; প্রকৃতির মধ্যে যে আধ্যাত্মিক আনন্দ মেলে, মানব জীবনে তার ইতিবাচক ভূমিকাকে খুবই গুরুত্ব দিয়েছেন। রুশো; রবীন্দ্রনাথসহ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ দার্শনিকেরা বারবার বলেছেন, “প্রকৃতি মানুষের শ্রেষ্ঠ পাঠশালা। এটি প্রথম ও আদি পাঠশালা। যে পশ্চিমাকে আমরা প্রায় অন্ধভাবে অনুসরণ করছি; তারা কিন্তু নগরকে প্রকৃতি বঞ্চিত করেনি, করে না। ইদানিং প্রকৃতিক বণ ও রাখা হচ্ছে।” (দ্রঃ প্রথম আলো-২৬-৭-১৯)। সূফী সাধক বারো শরীফের মহান ইমাম (রঃ) বলেছিলেন ঃ “প্রকৃতিকে জানতে হবে। এ প্রকৃতিই “রাসূল”-এর সাক্ষী। তাই ‘রাসূল’ কে জানতে হবে।” (১১-১২-৮৫)
২৯-০৯-১৯৮৫ তে বলেছিলেন ঃ রাসূলের নূরে সৃষ্টি জগৎ। তার নূর ছিল “সবুজ”। সবুজেই সৃষ্টি প্রতিটা প্রাণী। আর তার মাঝেই কল্যাণ নিহিত”। ১৩-১২-৮৪ মঙ্গলবার বলেন; “সবুজটুপি আমরা মাথায় দেই। আমাদের যে কলব্ এটা রাসূলের নূরে। আল্লাহর নূরে মোহাম্মদ, আর তার নূরে সব কিছু। এই আত্মাটাও তার নূরে তৈরী। তাই; আমরা সবুজ টুপি মাথায় দেই।
সবুজ মানে প্রাণের স্পন্দন, সবুজ মানে শক্তি। সবুজ দেয় বেঁচে থাকার প্রেরণা। প্রকৃতির সবুজ বনরাজিতে আটক সূর্যের শক্তি জোগান দিয়েছে মানুষকে বাঁচার খাদ্য। গত এক দশকের গবেষণার পর পুষ্টি বিজ্ঞানীরা প্রাচীন অপুস্পক জলজ উদ্ভিদকে সবেচেয়ে স্বাস্থ্যকর খাদ্য বলে দাবি করেছেন। এদের মধ্যে বিশেষত একটি প্রজাতির শৈবাল সর্বত্র সবচেয়ে জনপ্রিয় খাদ্য সম্পূরক হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সাধারণ ভাবে একে “ফ্যানি” নামে ডাকা হয়। আমেরিকায় এটি সিরাপ; পাউডার বা ক্যাপসুল হিসাবে কিনতে পাওয়া যায়। ১৯৭৬ সাল; অরিগণের- ক্ল্যাসাথ-লেকের পানিতে একটি অসাধারণ প্রজাতির শৈবাল খুঁজে পাওয়া যায়। একে মূলধন করে ৩০ মিলিয়ন পাউন্ডের শিল্প গড়ে উঠেছে। অ্যালজি বিশেষজ্ঞদের মতে এই বিশেষ ধরণের শৈবালের প্রতি গ্রামের ভেতরে মানব দেহে গ্রহণ করার মতো প্রোটিন খুব বেশী পারিমাণে উপস্থিত আছে। সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যের বিভিন্ন উপাদান যেমন-ভিটামিন, খনিজ পদার্থ এবং অ্যামাইনো এসিড ইত্যাদি শৈবালের ভেতরে সুষম পরিমাণে উপস্থিত। অ্যালজির এত বেশী জনপ্রিয়তার কারণ এটি একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ খাদ্য দেহের পুষ্টির জন্য। শুধু অ্যালজির একটা ট্যাবলেট খেলেই ক্ষুধা মিটে যায়। আমাদের এ সবুজ ভূমি বাংলাদেশে বহু জলাশয়ে ভাসমান, “নীলাভ সবুজ অ্যালজি বা শৈবালকে বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি প্রয়োগ করে পুষ্টিকর খাদ্যে পরিণত করা হলে এ দেশের কোটি কোটি ভুুখানাঙ্গা মানুষ, বিশেষ করে শিশুরা অকালে ঝড়ে যাওয়া থেকে বাঁচতে পারে। বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা সংস্থাগুলো এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে পারে। বিজ্ঞান বলে; সবুজ মানুষের প্রাণ শক্তি। সবুজ তরিতরকারি ও ফলমূলে যে পরিমাণ প্রাণশক্তি বা সবুজ শক্তি রয়েছে তা অন্য কোন জিনিসে নেই। চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে; “চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াবার জন্য সূর্য ওঠার পূর্বে সবুজ গাছের উপর দৃষ্টি ফেলে রাখলে চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়ে।” এর সাথে যদি দরূদ পড়া যায় তাহলে আরো সুন্দর। ধান, গম আমাদের প্রধান খাদ্য। এসব সবুজেরই ফসল। সবুজ এভাবে আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে। সবুজের সাথে মানুষ ও জীব জন্তুর বেঁচে থাকার নিবিড় সম্পর্ক থাকায় রাসূল বৃক্ষ রোপন কে উৎসাহিত করেছেন। বলেছেন; “কোন মুসলমান যদি বৃক্ষ রোপন করে, কিংবা খাদ্যশস্য বপন করে। অতঃপর তা থেকে কোন মানুষ, পাখি অথবা পশু কিছু অংশ খায় তবে তার (বৃক্ষরোপণকারী) জন্য তা সদ্কা স্বরূপ পরিগণিত হবে।” (বুখারী) রাসূল (সাঃ) একদা একটা বৃক্ষের নিচে বিশ্রাম নিচ্ছেন। এ সময় এক লোক এসে বৃক্ষের নিচে দাঁড়ালো। কিছুপর বৃক্ষের পাতা ছিড়তে শুরু করলো। রাসূল, বললেন ওহে তুমি অযথা বৃক্ষের পাতা ছিড়ছো কেন? লোকটি বললো এতে কি হয়েছে? রাসূল বললেন; গাছ কষ্ট পাচ্ছে। ওরও প্রাণ আছে।” আফসুস্ কোন মুসলমান এ জ্ঞান পেয়ে এর উপর গবেষণা করলো না। বিজ্ঞানী জগদিস চন্দ্র বসু বলে গেলেন; “গাছেরও প্রাণ আছে”।
বাংলাদেশ, সবুজের দেশ। সুজলা, সুফলা শস্য শ্যামলা এদেশ। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা কারণে কোন ফুল বা ফলের গাছ কেটে ফেলবে, আল্লাহ তাকে মাথা উপুড় করে দোজখে নিক্ষেপ করবেন।” তাই, মক্কা ও মদীনার বিশেষ এলাকায় গাছকাটা ও বণ্য পশুপাখি শিকার করা নিষিদ্ধ। তাই; পরিবেশ বিজ্ঞানীগণ; সবুজায়নের উপর জোর দিচ্ছেন। পৃথিবীতে মানুষ ও পশুপাখির অস্তিত্ব টিকে রাখার জন্য। আজ সময় এসেছে সবুজায়নের উপর একটি নতুন; সামগ্রিক এবং সুদুর প্রসারি দৃষ্টিতে তাকানো ও চিন্তা ভাবনা করা। আজ সবুজকে চর্মচক্ষু ও অন্তর চক্ষু দিয়ে উপলব্ধির সময় এসেছে। তাই, এ জন্যই মানুষের মাঝে এ জ্ঞান, এ শিক্ষা, সবুজের প্রতি ভালোবাসা যদি বদ্ধমুল করে দেয়া যায় তাহলে আমাদের এ দেশে সবুজ ছিল, সবুজ আছে; সবুজই থাকবে। এ সবুজই হবে আমাদের আগামী দিনের পথ ও পাথেয়। তারই সাথে প্রতিধ্বনি করে আমরা বলি আসেন, আমরা ‘সবুজের মারেফাত’ এর সাথে পরিচিত হয়। মারেফাত অর্থ এর অন্তরনিহিত রহস্য বা সবুজের রহস্য। কারণ; সবুজকে ভালবাসাই মুক্তির পথ। সবুজ যে কেবল বিশ্ব প্রকৃতিতেই নয়, সবুজ আরও বহু স্থান দখল করে আছে তা জানতে আমারা আগ্রহী হই। সবুজ আলোয় হৃদয় আলোকিত করি। সবুজকে ভালোবাসা তখনই স্বার্থক হবে যখন এ বিশ্বপ্রকৃতি কেন সবুজ হল সেটা জেনে তার মূলে যাবার চেষ্টা করবো। সবুজের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করবো নিবিড় ভাবে। এতে প্রানবন্ত হয়ে উঠবে আমাদের জীবন সুন্দর ও সুবজময় হয়ে। বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারার সমর্থক, যুগোপযোগি চিন্তা ধারার প্রবক্তক বারোশরীফ তথা মোহাম্মদী তরীকার প্রচারক সূফী সাধক ও দার্শনিক হযরত শাহ সূফী মীর মাস্উদ হেলাল (রঃ) সবুজের বড় প্রেমিক ছিলেন। সাধনা করেছিলেন মধুপুর জঙ্গলেও চট্টগ্রামের পাহাড়ের পাদদেশে। তিনি জ্ঞান পেয়ে “সবুজ তথা মোহাম্মদ প্রেমের” গুরুত্ব ও মহিমা প্রচার করে গেছেন। আসেন আমরা সূফী সাধক ও দার্শনিক হযরত শাহ্ সূফী মীর মাস্উদ হেলাল কর্তৃক প্রচারিত ও প্রতিষ্ঠিত বারো শরীফ দরবার; কোর্টপাড়া; কুষ্টিয়ার সাথে পরিচিত হই। আর সে জ্ঞানের আলোকে সবুজকে ভালোবেসে নিজেকে চিনি, এ দেশকে ভালোবাসি। আর শান্তি ও মুক্তির পথ করে যাই। কারণ; সেদিন মহাবিচারের দিনে মহা সঙ্কট কালে এ সবুজই দিবে মহাসঙ্কট মুক্তির সবুজ সিগ্ন্যাল। এজন্য জ্ঞান অর্জন করতে হবে। জ্ঞানের তো শেষ নেই। নামাজও জ্ঞান ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। তাই, পবিত্র কোরাণে; ৮২ বার বলা হয়েছে; নামাজ কায়েম কর ও যাকাত দাও; আর ৯২ বার বলা হয়েছে জ্ঞান অর্জন কর। একটা মানব শিশু তার আব্বা, মা’ও শিক্ষকের কাছে জ্ঞান পেয়ে বুঝতে পারে তার এক স্রষ্টা আছে, আছে এক জন্মদাতা বাপ ও মা। জ্ঞান পেয়েই তো আল্লাহ কে চিনে প্রথম সিজদা দিয়েছিলেন বাবা আদম (আঃ)। জ্ঞান পেয়েই তো মোহাম্মদের (সাঃ) ওছিলা ধরে ভুলের ক্ষমা পেয়েছিলেন-বাবা আদম। জ্ঞান পেয়েইতো মহানবী (সাঃ) ইসলাম প্রচার করেছিলেন। তাই বলি; “হে প্রভু! আমাদের জ্ঞান বৃদ্ধি করে দাও”, সবুজের রহস্য জানতে, বুঝতে ও ভালোবাসতে। কারণ মানুষ যে প্রকৃতির অংশ এবং প্রকৃতির মধ্যেই মানুষের জীবন বেঁচে থাকে। আল্লাহর কাছে এ বিনীত নিবেদন-
“হে আল্লাহ! সবুজে সবুজে এ ধরা
কবে যে হবে হারা
কবে বুঝিবে মানুষ এ সবুজের ভেদ
যার পথ দেখায়ে গেছেন মহান ইমাম।”
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত হিসাব কর্মকর্তা বি.টি.এম.সি কুষ্টিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।