বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সরকারী সিদ্ধান্ত অমান্য করে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা রেলস্টেশন দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে আমদানি করা পেঁয়াজ অবশেষে আটকে দিলো কাস্টমস। গত ২৩ মে সোমবার রাত ৯টা ১০ মিনিটে ভারতের গেদে রেল স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা পেঁয়াজ বোঁঝায় মালবাহী ট্রেনটি এদেশের হাইকোর্টের একটি আদেশের বলে দেশে ঢোকার অনুমতি পায়। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ২৪ মে মঙ্গলবার দুপুরের পর আমদানীকারকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার পর ভারত থেকে অবৈধভাবে আমদানি করা পেঁয়াজের চালান আটকে দেয়।
ঢাকা খামার বাড়ীর উদ্ভিদ সংগনিরোধের মহাপরিচালক রনজিৎ কুমার পাল হাইকোর্টের একটি আদেশ সম্বলিত চিঠি চুয়াডাঙ্গার দর্শনা উদ্ভিদ সংগনিরোধ কার্যালয় বরাবর পাঠায়। তাতে উল্লেখ করা হয়, যেহেতু মেসার্স সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজের আমদানি অনুমতি নেই। কিন্তু পেঁয়াজ একটি পচনশীল দ্রব্য সে ক্ষেত্রে মানবিক বিবেচনায় তা ছাড় করার ব্যাপারে সহযোগীতা করা যেতে পারে। এই চিঠির বলে দর্শনা উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্তৃপক্ষ পেঁয়াজ ছাড়ের অনুমতি দেয়। এরপর কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে খবর আসে পেঁয়াজ আমদানীর জন্য ১ হাজার ৮৬ দশমি ৭৫ মেট্রিক টনের ডিক্লিয়ারেশ ছিলো কিন্তু আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান ১৫% বেশী পণ্য দেশে নিয়ে এসেছে। ওই দিন রাতেই যশোর কাস্টমস এক্সাসাইজ ভ্যাটের যুগ্ম-কমিশনার নাহিদ নওশাদ মুকুলের নেতৃত্বে একটি দল দর্শনায় পৌঁছে পেঁয়াজ ভর্তি মালবাহী ট্রেনে তল্লাশি চালিয়ে অবৈধ পেঁয়াজের অস্তিত্ব পায়। তারপর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ওই পেঁয়াজ হস্তান্তরের রোধ করে আমদানীকারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার নির্দেশ দেয়। বিভাগীয় মামলা হওয়ার পর আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান ২৫ লাখ টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দেয়ার অঙ্গিকার করে মামলাটি নিষ্পত্তি করে। ব্যাংকে উল্লেখিত টাকা জমা দেয়ার পর দর্শনা থেকে পেঁয়াজের চালানটি ছাড় করতে পারবে বলে কাস্টমস যুগ্ম-কমিশনার নাহিদ নওশাদ মুকুল জানান।
একটি সূত্র জানায়, মেসার্স সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারি মাসুদ আলম আমদানি করা পণ্য নিজে বিক্রি না করে গেট পাস বিক্রি করেন। যে একটি আমদানি নীতি বহির্ভূত। এছাড়া হাইকোর্টে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তটি ভুলভাবে উপস্থাপন করে তিনি রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। যা আমদানি নীতির পরিপন্থী।
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সি এন্ড এফ এজেন্ট ফিজা এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী রায়হান জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোয়ালপাড়ার ইমরান মার্কেটের মেসার্স সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী মাসুদ আলম ভারত থেকে ৪০ ওয়াগন পেঁয়াজ আমদানীর জন্য এলসি খোলে। পেঁয়াজ ভারত থেকে বেশী কম ঢোকার ব্যাপারে তাদের করণীয় কিছুই থাকে না। সেটা জানাও যায় না।
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মনিরুজ্জামান বলেন, ঢাকা থেকে দাপ্তরিক যে সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে ভাবেই পেঁয়াজ ছাড়ের ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।