রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
শরণখোলার উত্তর আমড়াগাছিয়া গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে চাচার মারপিটে পিতা জাহাঙ্গীর তালুকদার হত্যার অভিযোগ এনে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন ছেলে মো. নাইমুর রহমান ও তার পরিবার। গত রোববার সকাল ১০টায় শরণখোলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদিক সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
নিহতের ছেলে মো. নাইমুর রহমান লিখিত বক্তব্যে বলেন, জমি নিয়ে চাচাদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে আসছে। ঘটনার দিন গত ১১ এপ্রিল সকালে চাচা আলমগীর তালুকদার (৪৮) আমাদের বাড়ির সীমানার মধ্যের গাছ থেকে জোরপূর্ব ডাব পাড়ার চেষ্টা করেন। এসময় আমার বাবা জাহাঙ্গীর তালুকদার বাধা দিলে তাকে গাছের সঙ্গে বেধে লোহার রড দিয়ে বেধরক মারপিট করে। রডের আঘাতে তার একটি দাঁত ভেঙে যায় এবং দুটি দাঁত মারাত্মকভাবে জখমসহ বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। বাবার চিৎকার শুনে আমার মা তাসলিমা বেগম ছুটে গেলে তাকেও পরনের শাড়ি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেধে মারতে থাকেন তারা।
পরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় বাবাকে উদ্ধার করে শরণখোলা হাসপাতলে নেয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনায় রেফার্ড করেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসা শেষে বাড়ি আনার কয়েকদিন পর মারা যান তিনি। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা। আমার আরেক চাচা শরণখোলা সরকারি কলেজের প্রভাষক মো. জামাল হোসেন তালুকদারের পরিকল্পনায় আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। পরবর্তীতে তার ইন্ধনে হত্যাকারী আলমগীর তালুকদার ও তার ছেলে রোকন তালুকদার আমাদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। থানায় মামলা নিচ্ছেনা পুলিশ।
এব্যাপারে জানতে চাইলে প্রভাষক জামাল হোসেন তালুকদার বলেন, এসব ঘটনা সম্পর্কে আমার কোনো প্রকার সম্পৃক্ততা নেই। তারা অহেতুক আমাকে জড়িয়ে আমার মানসম্মান নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
শরণখোলা থানার ওসি মো. ইকরাম হোসেন বলেন, পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট মর্গে পাঠাই। এব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।