বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পায়রা বন্দরের জন্য ২টি ৭০ টন বোলার্ড পুল টাগ বোট-এর নির্মান কাজের সূচনা হয়েছে খুলনা শিপইয়ার্ডে। সোমবার কিল লেয়িং’এর মাধ্যমে এ নির্মান কাজের সূচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, এনইউপি, পিপিএম, পিএসসি-বিএন। খুলনা শিপইয়ার্ড-এর ব্যবস্থাপানা পরিচালক কমডোর এম সামছুল আজিজ-এল, এনজিপি, পিএসসি বিএন’এর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার এন্ড মেরিন) কমডোর এম মামুনূর রশীদ-বিএন ছাড়াও খুলনা শিপইয়ার্ড সহ উর্ধতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
পায়রা বন্দর কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান বন্দরের সদস্য হারবার এন্ড মেরিন ও খুলনা শিপইয়ার্ডের এমডি’কে নিয়ে নৌযান দুটির হালে হাতুরি পিটিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্মান কাজের সূচনা করেন। এ উপলক্ষে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও বিশেষ মোনাজাতও অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে ভাষনে পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হআসিনার গতিশীল নেতৃত্বে সঠিক দিক নির্দেশনায় পায়রা বন্দর তার অভিষ্ঠ লক্ষ্যে এগিয়ে চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় বন্দরর জন্য নতুন দুটি বোলার্ড টাগ নির্মিত হচ্ছে বলেও জানান তিনি। খুলনা শিপইয়ার্ড অতীতের মতই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এসব নৌযান সরবারহ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, এরফলে পায়রা বন্দরের সক্ষমতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে জাহাজ নির্মাণ শিল্পের পথিকৃৎ হিসেবে খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড প্রায় ৬৫ বছর আগে তার যাত্রা শুরুর পরে নানা ধাপ ও প্রতিকূলতা অতিক্রম করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূর প্রসারী সিদ্ধান্তে ১৯৯৯ সালের ৩ অক্টোবর বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর থেকে মৃতপ্রায় ও রুগ্ন শিল্পের তালিকাভ’ক্ত এ প্রতিষ্ঠানটি তার হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার করে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এমনকি করোনা মহামারীর মধ্যেও গত দু বছরে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ১৮৩ কোটি টাকা আয়কর ও ভ্যাট প্রদানের পরেও প্রায় ১২৫ কোটি টাকা নীট মুনফা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। এ ইয়ার্ডে ইতোমধ্যে যুদ্ধ জাহাজ সহ বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৮শ নৌযান নির্মাণ এবং আড়াই হাজার নৌযানের মেরামতের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করেছে।
এ পথ পরিক্রমায় খুলনা শিপইয়ার্ড বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর জন্য বড় ও মাঝারী ধরনের একাধীক যুদ্ধ জাহাজ সহ আন্তর্জাতিক মানের ২টি টাগ ছাড়াও কোস্টগার্ড বাহিনীর জন্য অনুরূপ আরো দুটি টাগ বোট নির্মাণ করেছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি পায়রা বন্দর কতৃপক্ষের জন্য ৪টি হেভি স্পীড বোট এবং পাইলট ভেসেল নির্মান শেষে হস্তান্তর করেছে।
সোমবার কিলÑলে করা দুটি বোলার্ড টাগ বোট আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমায় ও বন্দরের পরিচালন কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভ’মিকা রাখবে বলে বন্দর কতৃপক্ষ জানিয়েছেন। প্রায় সোয়াশ ফুট দৈর্ঘ এবং ৩৮ ফুট প্রস্থ এসব টাগ বোট পায়রা বন্দরে আগত যেকোন সমুদ্রগামী জাহাজের বার্থিং, আন বার্থিং ,টো, পুশ, পুল ও অগ্নি নির্বাপন সহ দূর্ঘটনা কবলিত নৌযানের উদ্ধার তৎপড়তাও দক্ষতার সাথে ব্যবহৃত হবে বলে বন্দর কতৃপক্ষ আশা করছেন। পাশাপাশি বন্দরের মাদার ভেসেল নিয়ন্ত্রন ও পরিচালন সহ উপক’লীয় বিভিন্ন কার্যক্রমেও দেশে নির্মিতব্য প্রথম ৭০ টন ক্ষমতার ‘বোলার্ড পুল টাগ বোট’ দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভ’মিকা পালন করবে বলে খুলনা শিপইয়ার্ড কৃতপক্ষ জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।