Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

২৫ গ্রামের মানুষের দুঃখ ধলাই নদীর বাঁশের সেতু

মো. খলিলুর রহমান, ফুলপুর (ময়মনসিংহ) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:৩৭ পিএম

ময়মনসিংহের তারাকান্দা ও নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলার সীমান্তবর্তী দুই ইউনিয়নের ২৫ গ্রামের মানুষের শতবর্ষের দুঃখ ধলাই নদী। আজও দুর্ভোগের সুরাহা হয়নি। তারাকান্দা উপজেলার কাঁমারগাঁও এবং পূর্বধলা উপজেলার আগীয়া ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেঁষে কাঁমারগাঁও ইউনিয়নের উলমাকান্দি গ্রামের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে দীর্ঘ ধলাই নদী। এপাড়ের কাঁমারগাঁও ইউনিয়নের উলমাকান্দি, রাজদারিকেল, কালিখা, শালিয়াকান্দা, প্রজাবতখিলা, ভেরুয়া, মাসকান্দা, হরিয়াতলা, ওয়াই, নাকিজানি, চকনাপাড়া, পানিয়াবর, ওপাড়ের আগীয়া ও হুগলা ইউনিয়নের আগীয়া, হুগলা, দুতিয়াবড়, আন্দা, কোকুয়াকান্দা, মহিজবের, বাট্টা, হাটকান্দা, খারচাইল, কৈলাটি, সাধুপাড়া, বিশকাকুনি, সুতারনাল, নৈগাঁও, বিশমপুর, পুটিয়া গ্রামের লক্ষাধিক মানুষকে ধলাই নদীতে ব্রিজ না থাকায় যাতায়াতের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যুগ যুগ ধরে এসব এলাকার মানুষজন ধলাই নদীর পাগল বাড়ির ঘাটে একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসলেও আজও হয়নি। ফলে, স্কুল, কলেজ, পড়ুয়া, ছাত্র-ছাত্রী, জনসাধারণের যাতায়াতে বছরের পর বছর ধরে দুর্ভোগের শেষ নেই। উৎপাদিত ফসলের বেচা কেনায় পরিবহন সম্যসায় জর্জরিত কৃষকরা ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ধলাইয়ের প্রবল স্রোতের মাঝে নৌকা আর ভেলাই হয় যাতায়তের মাধ্যম। গত ২ হাজার সালে নদীর এপাড়- ওপাড়ের মানুষজন মিলে ধলাই নদীর উপর ৫ লক্ষাধিক টাকা খরচ করে স্বেচ্ছাশ্রমে লোহার খুঁটি, কাঠ ও বাঁশ দিয়ে ১২০ ফুট দৈর্ঘ্যরে একটি সেতু নির্মাণ করেন। ৩ বছর পর পর নতুন করে এ সেতু নির্মাণ করতে হয়। প্রতি বছরের মেরামতে খরচ হয় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। এভাবে চলছে গত ১৬ বছর ধরে। কিন্তু এলাকাবাসীর ব্রিজ নির্মাণের প্রাণের দাবিটি আজো পূরণ হয়নি। কাঁমারগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও ইউপি সদস্য হাতেমা আক্তার জানান, উৎপাদিত পণ্যের মূল্য প্রাপ্তি থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছে। স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বিশাল এই এলাকার মানুষ ব্রিজের অভাবে বলতে গেলে, দ্বীপবাঁশীর মতো বিচ্ছিন্ন জীবন-যাপন করছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ