পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে ভাষায় বক্তব্য রেখেছেন তার তীব্র সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে পদ্মা নদীতে টুস করে ফেলে দেয়ার যে হুমকি দিয়েছেন তা রীতিমতো ‘এটেম্পট টু মার্ডার‘। এটা স্পষ্টই হত্যার হুমকি। একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশের সিনিয়র নাগরিক সম্পর্কে শেখ হাসিনা যে ভাষায় কথা বলেছেন তা গোটা জাতির জন্য লজ্জাজনক। দেশবাসী তার কথায় বিস্মিত।
রোববার (২২ মে) দুপুরে এক বিক্ষোভ মিছিল শুরুর প্রাক্কালে রিজভী এসব কথা বলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কটূক্তির প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। রাজধানীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের নতুন ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি চানখাঁরপুলের দিকে এগিয়ে যায়। মিছিলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সহ বিএনপি নেতা আরিফুর রহমান নাদিম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ জাহেদুল কবির জাহিদ সহ অনেক নেতাকর্মী। তারা খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে "খালেদা জিয়ার কিছু হলে, জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে", অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, দিতে হবে দিয়ে দাও" বিভিন্ন স্লোগান দেন।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য যাবতীয় ভব্যতা ও শিষ্টাচারকে অতিক্রম করেছে। তার বক্তব্য সরাসরি নারীবিদ্বেষী ও বর্ণবাদী। গণতান্ত্রিক সভ্য দেশে কোনো প্রধানমন্ত্রীর মুখ দিয়ে এমন বক্তব্য বের হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হতো। তিনি সরাসরি দেশের একজন সম্মানিত ও সাবেক নারী প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে দেশের জনগণ একাধিকবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। দেশে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি সামনের সারিতে আছেন। তার সময়ই মেয়েদের জন্য অবৈতনিক শিক্ষা চালু করা হয়। এ ছাড়া দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তিনি আপোসহীন। অথচ শেখ হাসিনা তাকে নিয়ে শুধু বাজে মন্তব্যই করেননি, খালেদা জিয়াকে নিয়ে রাজনৈতিক বিদ্বেষও ছড়িয়েছেন। আমরা তার বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা জানাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।