রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার ১নং কুলকান্দি ইউনিয়ন যমুনার করাল গ্রাসে ১৯৭৮ সাল থেকে ২০২১-২২ সাল পর্যন্ত ১০০ ভাগের ৯০ ভাগই নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ওই সময় সরকার স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে হরিণধরা বাঁধ নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বাঁধটি যমুনা নদী গর্ভে বিলীন হয়।
জানা যায়, গত কয়েক দিনে অব্যাহত ভারী বর্ষণে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনায় ১০১ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধির পায়। ফলে হার্ডপয়েণ্টে বাঁধ ৫০মিটার ভেঙে নদীতে বিলীন হয়। গত ১৮ মে বিকাল ৪টার সময় কুলকান্দি হার্ডপয়েন্টের উত্তর পাশে সিসি ব্লকে ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে সিসি ব্লক। পানি উন্নয়ন বোর্ড খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পরিদর্শন করে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ভাঙন স্থানে ড্রাম্পিং শুরু করেছে।
এ দিকে নদী ভাঙন আতংকে রয়েছে পাইলিংপাড়, মধ্যপাড়া, বাজারীপাড়া, মিয়াপাড়া, বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান হাফিজুর রহমানের বাড়ি, পারিবারিক কবরস্থান, মাগুন মিয়ার বাজর, শাচ্ছুন্নাহার উচ্চ বিদ্যালয়, কুলকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, মাদরাসা, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।
এলাকাবাসী বদিউজ্জামান জানান, ১৯৯৫-৯৬ সালে ফ্যাপ ২১-২২ কাজের মাধ্যমে বাঁধ নির্মাণ হলে আমরা এলাকাবাসী স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলি। ২৫-২৬ বছরে বাঁধটি ভাল ছিল। বর্তমানে একশ্রেণীর বালু সিন্ডিকেট (বালু ব্যবসায়ী) বাঁধের পশ্চিমে অনেক উচা বালুরচর পড়লে ওই বালু ব্যবসায়ীরা দিনের পর দিন ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলন করলে ওই জায়গাটি গভীর হলে বন্যার সময় হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাঁধে আঘাত হানে। ফলে গত ১৮ মে বিকাল ৪টার সময় সিসি ব্লক নদীতে বিলীন হয়ে পড়ে। পানি উন্নয় বোর্ডের কর্মকর্তারা এসে ভাঙন স্থানে বালু বস্তা ফেলে ভাঙন প্রতিরোধ করার চেষ্টা চালায়।
এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বার বার নদী ভাঙনে আমরা আতংকের মধ্যে রয়েছি। সরকার স্থায়ী বাঁধের ব্যবস্থা করে না কেন?
এ ব্যাপারে পানি উন্নয় বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু ছাইদকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পানির স্রোত বেড়ে যায়। গত ১৮ মে সারাদিনে যমুনা নদীর পানি ১০১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা খবর পেয়ে সাথে সাথে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে জিও ব্যাগ বালু ভর্তি বস্তা ভাঙন স্থানে ড্রাম্পিং কাজ শুরু করি। ড্রাম্পিং চলমান থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।