বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদের উপর হামলার ঘটনায় সাবেক সাংসদ মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ও তার পরিবার পরিবারের কেউ সম্পৃক্ত নয় বলে দাবি করেছেন অনুসারী নেতারা। তারা বলেন, নারায়ণগঞ্জের সরকারদলীয় প্রভাবশালী নেতাদের সাথে আঁতাত করে দলে বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা করছে একটি পক্ষ। তারই অংশ হিসেবে গিয়াস পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে বলেও অভিযোগ তাদের।
শনিবার (২১ মে) বেলা ১২টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ তোলেন বিএনপির নেতারা। তারা বিএনপির সাবেক সাংসদ গিয়াস উদ্দিনের অনুসারী।
গত ২৫ এপ্রিল রাতে রাজধানীর পল্টনে ছুরিকাহত হন মামুন মাহমুদ। তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক হয় জুয়েল মীর নামে এক ব্যক্তি। পরে এই ঘটনায় পল্টন থানায় মামলা হলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। একই মামলায় গ্রেফতার করা হয় জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি সাগর সিদ্দি হামলার ঘটনার তদন্তে গিয়াস উদ্দিনের ছোট
ছেলে গোলাম মুহাম্মদ কাউসার ওরফে রিফাতের উঠে এসেছে দাবি করে গত ২৯ এপ্রিল গিয়াস উদ্দিনের বাড়িতেও অভিযান চালায় পুলিশ।
এদিকে গিয়াস উদ্দিন ও তার পরিবারের পক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা আব্দুল বারী ভূঁইয়া বলেন, মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সংসদ সদস্য। বিএনপির নির্বাহী কমিটিরও সদস্য তিনি। নারায়ণগঞ্জে তার পরিবারকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। জিয়া পরিবারের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে জেলার যেখানে যাই ঘটুক না কেন গিয়াস উদ্দিন ও তার পরিবারের লোকজনকে সেই ঘটনার মামলায় আসামি করা হয়েছে। গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে অন্তত অর্ধশত রাজনৈতিক মামলা রয়েছে।
গিয়াস উদ্দিনকে ‘দক্ষ সংগঠক' উল্লেখ করে বিএনপির নেতারা বলেন, আগামী সংসদ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে তার। সরকারি দলের নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে নেতাদের জন্য গিয়াস উদ্দিন একজন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। তাই নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি থেকে তাকে বাদ দিতে সরকারি দলের নেতারা বিএনপির একটি অংশকে দিয়ে গিয়াস পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
লিখিত বক্তব্যের একটি অংশে আব্দুল বারী বলেন, দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিকারী হিসেবে মামুন মাহমুদও অন্যতম। তিনি প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, গিয়াস ‘গিয়াস অনুসারীদের কেউ পাবে না'। এ নিয়ে এ কমিটিতে স্থান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দলে পদ-পদবী পাওয়ার লোভে মামুন মাহমুদের উপর হামলার ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে কেউ। এর সাথে সরকারি দলের কিছু নেতাও জড়িত আছেন। তবে এই ঘটনায় গিয়াস উদ্দিনসহ তার পরিবারকে জড়ানোর যে ষড়যন্ত্র চলছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক, লজ্জাজনকও বটে। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এতে দলের ভেতরের কিছু ব্যক্তি যেমন জড়িত তেমনি তৃতীয় পক্ষও সম্পৃক্ত। উভয়পক্ষই গিয়াস উদ্দিন সাহে প্রতিপক্ষ, প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খোন্দকার মনিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা দল কেন্দ্রীয় কমিটির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর হোসেন মোল্লা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল হালিম আহ্বায়ক এসএম আসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা মাজেদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা তাঁতী দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন, কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আলাউদ্দিন খন্দকার শিপন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলাম রতন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।