বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সীতাকু-ের প্রগতি ইন্ড্রাস্ট্রিজে আসন্ন সিবিএ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের লক্ষে মহড়া দিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মাইক্রোযোগে অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে কারখানায় ঢুকে পড়ে তারা। এতে সাধারণ শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ধাওয়া দিলে সন্ত্রাসীরা গুলি ও কিরিস ফেলে পালিয়ে যায়। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর আনুমানিক ৩টায় সীতাকু-ের শুকলালহাটে অবস্থিত দেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়াত্ব গাড়ি সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ড্রাস্ট্রিজে ১০/১২ জনের একদল সন্ত্রাসী মাইক্রো যোগে উপস্থিত হয়ে সশস্ত্র অবস্থায় কারখানায় ঢুকে পড়ে। সেখানে তারা নন সিবিএ নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে এবং প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয়ভীতি প্রদর্শন শুরু করে। এতে আতঙ্কিত সাধারণ শ্রমিকরা থানায় খবর দিলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পুলিশের উপস্থিতি টেরে পেয়ে সেখানে সাধারণ শ্রমিকরাও তাদের সাথে যোগ দিলে দুস্কৃতরা গুলি, কিরিস ও মাইক্রো হায়েছটি ফেলে পালিয়ে যায়।
প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ সোলেমান অভিযোগ করে বলেন, আগামী ২৪ তারিখ কারখানায় সিবিএ নির্বাচন হবে। এ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের লক্ষে বর্তমান সিবিএ সভাপতি আতিকুর রহমানের পক্ষে বহিরাগত সন্ত্রাসী মামুন, সায়েদের নেতৃত্বে ১৪/১৫ জন সশস্ত্র অবস্থায় মহড়া দেয়। পরে পুলিশ ও সাধারণ শ্রমিকরা ধাওয়া দিলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলেও কিছু গুলি ও কিরিস ফেলে রেখে যায়।
প্রায় একই বক্তব্য রেখে বাড়বকু- ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ছাদাকাত উল্লাহ মিয়াজী প্রতিবেদককে বলেন, ২৪ নভেম্বর প্রগতিতে সিবিএ নির্বাচন। ঠিক এ সময় বহিরাগত সন্ত্রাসীরা অস্ত্র নিয়ে কিভাবে কারখানায় প্রবেশ করল তা বোধগম্য নয়। এ অবস্থায় শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে আছে। শ্রমিকরা এই পরিবেশে কিভাবে নির্বাচনে অংশ নেমে আমি বুঝতে পারছি না। তিনি কারখানায় সুষ্ঠ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান। এদিকে উক্ত সন্ত্রাসীদের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন বর্তমান সিবিএ সভাপতি আতিকুর রহমান। অবশ্য সীতাকু- থানার ওসি মোঃ ইফতেখার হাসান প্রতিবেদককে বলেন, উপরোক্ত সন্ত্রাসীরা আতিকুরের পক্ষে এসেছিলো বলে জানা গেছে। আমরা খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। তবে যাওয়ার সময় ৯ রাউন্ড গুলি ফেলে যায়। আমরা সেগুলো উদ্ধার করেছি। ঘটনার পর সেখানে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছিলো। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।