বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনায় বসার আহবান জানানো হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
শুক্রবার সাভার উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ঢাকা সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিস ও সাভার উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে হালনাগাদ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশন কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা নতুন একটি কমিশন। আমাদের আন্তরিক প্রত্যাশা যে একটি অংশগ্রহনমুলক প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হউক। গণতন্ত্র বিকশিত হউক। ভোটের মাধ্যমে একটা দায়িত্বশীল পার্লামেন্ট গঠিত হউক। পার্লামেন্টে তর্কবির্তকের মাধ্যমে জনগনের অধিকার সংরক্ষিত হউক।
তিনি বলেন, অচিরেই বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপে বা আলোচনায় বসার জন্য আহবান জানানো হবে। তবে ঠিক করে বলতে পারছিনা, হয়ত ২/১ মাসের মধ্যেই আমরা আলোচনায় বসতে পারি
সিইসি বলেন, ইভিএম এর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ইভিএম এর সক্ষমতা কতটুকু দরকার আরো কি কি করা যায়, আমরা আরো কিছু সভা-টভা করব। এরপরে আমরা ইভিএম এর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করব। আমি একা কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারবো না।
৩০০ আসনে সক্ষমতা সম্ভব কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন বলা সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশনকে সর্বোচ্চ স্বাধীনতা দেয়া হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সিইসি বলেন, রাজনীতিবিদরা প্রায় বলে থাকেন, আমরা যদি ক্ষমতায় যেতে পারি! আমি অনেক রাজনীতিবিদকে বলেছেলিাম, এই কথা এভাবে না বলে, আপনি তো বলতে পারেন, আমরা যদি সরকারের দায়িত্বে যেতে পারি। কথাটার মধ্যে একটা অহংবোধ আছে। যদি আমি ক্ষমতায় যেতে পারি, এ কথাটা না বলে আমরা তো বলতে পারতাম আমি যদি সরকারের দায়িত্বে যেতে পারি। কিন্তু আমাদের মধ্যে এক ধরনের অহংবোধ গড়ে উঠেছে যে ক্ষমতা গিয়ে আমরা দেখাবো বা দেশ চালাবো। ক্ষমতা নয়, এটা দায়িত্ব, ক্ষমতা বলে কোন কিছু নেই। আমরা যদি ক্ষমতাকে দায়িত্বের অর্থে বুঝতে ও পালন করতে পারি তাহলে আমাদের দায়িত্ববোধ ও সাংস্কৃতিক মনসতাত্বিক আরো উজ্জবিত হবে।
নির্বাচন কমিশনের সচিব মো: হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ আজকে শুরু হয়েছে যা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক ম্যান্ডেট। ভোটার তালিকা প্রণয়নের জন্য আমরা তিন ধরণের তথ্য গ্রহণ করছি। এই ভোটার তালিকা দিয়েই কিন্তু আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তাই এই ভোটার তালিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের যে এক্সিকিউটিভ যারা আছেন, তারা নির্বাচন কমিশনকে সহযোগীতা করার জন্য বাধ্য। আপনারা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে ভোটার তালিকা প্রণোয়নের কাজ করবেন। ট্রান্সজেন্ডার ও নিষিদ্ধ পল্লীর মা বোনদেরও কিন্তু এই তালিকায় আনার জন্য আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। কিভাবে নিয়ে আসবেন সে বিষয়ে আমরা প্রশিক্ষণও দিয়েছি।
হালনাগাদ কার্য্যক্রমে সাভারে ৩৮০ জন তথ্যসংগ্রহকারী, ৭৬ জন সুপারভাইজার, সরকারি কর্মকর্তা ও রেজিস্ট্রেশন অফিসার কাজ করবেন। সংবিধানে বলা আছে, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে বাড়ি বাড়ি যেতে হবে। আমরা মনে করি এই কাজটি সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হবে এবং আমরা জাতিকে একটি সুন্দর পরিচ্ছন্ন ভোটার তালিকা উপহার দিতে পারব।
নির্বাচন কমিশনের সচিব মো: হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বউপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মুনির হোসাইন খান, ঢাকা জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার, সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব, সাভার পৌর মেয়র আলহাজ্ব আব্দুল গণি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।